রবিবার রাতে যখন যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনের গ্যালারির একদিকে চলছিল বেলাগাম আনন্দের জোয়ার, তখন অপর দিকের গ্যালারিকে যেন গ্রাস করে হতাশার স্তব্ধতা। 

চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী মোহনবাগান সুপার জায়ান্টকে শেষ আটে থেকে ছিটকে দিয়ে শেষ চারে ডায়মন্ড হারবারের মুখোমুখি লাল-হলুদ বাহিনী।

বাগান-বাহিনীর চেয়ে তারা বেশ কয়েকদিন আগেই শুরু করেছে প্রস্তুতি। হয়তো এই কারণেই বেশ আত্মবিশ্বাসী লাগছে লাল-হলুদ কোচ অস্কার ব্রুজোনকে।

রবিবার বাংলার ফুটবলে চিরকালীন সম্মানের লড়াইয়ে দুই দলই পূর্ণশক্তি নিয়ে নামবে, এমনই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। 

ভারতীয় দলের কোচ হিসেবে জামিলের প্রথম পরীক্ষা বেশ কঠিন হতে চলেছে, চলতি মাসের শেষ দিকে কাফা নেশনস কাপে। 

এসিএল ২-এর গ্রুপ ‘সি’ মোহনবাগান সুপার জায়ান্টের কাছে এক কঠিন পরীক্ষার মঞ্চ হতে চলেছে, যেখানে তিন শক্তিশালী প্রতিপক্ষই তাদের পথে কঠিন বাধা হয়ে উঠতে পারে।  

মোহনবাগান সুপার জায়ান্টের গ্রুপে থাকা ইরানের সেপাহান এশিয়ান ফুটবলে বড় নাম। ২০০৭ সালে এএফসি চ্যাম্পিয়নস লিগ এলিট-এ রানার্স আপ হয়েছিল। 

‘আমাদের টিম স্পিরিট দারুণ— সবাই চায় সবাই ভাল করুক। মাঠের বাইরে আমরা আনন্দ করি, আড্ডা দিই। মাঠে নামলেই সিরিয়াস হয়ে যাই’।  

এশিয়ার দ্বিতীয় স্তরের ক্লাব প্রতিযোগিতার গ্রুপ পর্বে নিজেদের ভাগ্য জানার অপেক্ষায় রয়েছে মেরিনার্স ও সৈকতনগরীর দল।   

এখন থেকে পুরো সময়ের জন্য ভারতীয় দলের দায়িত্ব নেবেন জামিল এবং ১৫ আগস্ট থেকে তাঁর প্রথম প্রশিক্ষণ শিবির শুরু করবেন।

অর্থাৎ, নিশ্চিত ভাবে বলা যায় যে, কলকাতার দুই প্রধান ক্লাবের একটিকে এই পর্ব থেকেই ছিটকে যেতে হবে। 

বিশ্ব ফুটবলের এমন অসংখ্য মহাতারকা, যাঁদের সারা বিশ্ব এক ডাকে চেনে, যাঁরা খেলোয়াড় ও সমর্থক — সবার কাছেই অনুপ্রেরণার উৎস, তাঁরা নেমেছেন ভারতের সেরা লিগে।