মুম্বইয়ের বিরুদ্ধে শেষ পরীক্ষায় নামার আগে বৃহস্পতিবার বেঙ্গালুরুর পরীক্ষায় পাস করতেই হবে সবুজ-মেরুন বাহিনীকে। সম্ভবত এই ম্যাচেও তারা পাবে না হেড কোচ হাবাসকে। মাঠে সহালকেও পাওয়ার সম্ভবনা ক্ষীণ।

ইস্টবেঙ্গলের এই হারের সঙ্গে সঙ্গে এ দিন ২১ ম্যাচে ২৭ পয়েন্ট নিয়ে লিগ তালিকায় ছ’নম্বর জায়গাটা পাকা করে ফেলল চেন্নাইন এফসি। অর্থাৎ, আইএসএলের এই মরশুমের সেরা ছ’টি দল নিশ্চিত হয়ে গেল, যারা খেলবে প্লে-অফ রাউন্ডে।

মাদি তালাল, উইলমার জর্ডনদের হারাতে না পারলে সব স্বপ্ন ভেঙে চুরমার হয়ে যাবে তাদের। তবে গত দু’টি ম্যাচে যে রকম খেলেছেন ইস্টবেঙ্গলের তারকারা, তা সমর্থকদের যথেষ্ট আশাবাদী করে তোলার মতোই।

‘পাঞ্জাব যেহেতু প্লে-অফের দৌড় থেকে ছিটকে গিয়েছে, তাই ওদের সে রকম তাগিদ নেই এই ম্যাচটা জেতার। যেটা আমাদের আছে। তবে ওরা খেলাটা উপভোগ করবে। সেক্ষেত্রে আমরা সমস্যায় পড়তে পারি’।

‘কোচ সব সময়ই বিকল্প পরিকল্পনা করে রাখেন এবং দলের অন্যান্য খেলোয়াড়দের সুযোগ দেন। তাই যে-ই মাঠে নামে সে জার্সির সন্মান রাখতে নিজেদের উজাড় করে দেয়। যে-ই খেলুক, নিজের সেরাটা দেবে’।

‘খুব ভাল ফুটবল যে খেলতে পেরেছি আমরা, তা নয়। বেঙ্গালুরু এফসি আমাদের চেয়ে ভাল খেলেছে। তবে ওরা খুব একটা ভাল সুযোগ তৈরি করতে পারেনি। কিন্তু শেষ পর্যন্ত আমরাই তিন পয়েন্ট পেয়েছি। আমি খুবই খুশি’।

ছ’নম্বরের দৌড়ে আপাতত তাদের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী চেন্নাইন এফসি ও নর্থইস্ট এফসি, যারা একে অপরের মুখোমুখি হতে চলেছে মঙ্গলবার। অন্যদিকে, চলতি লিগে বেঙ্গালুরুর অভিযান কার্যত শেষ হয়ে গেল এই হারের সঙ্গে।

‘আমাদের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত ফোকাসড থাকতে হবে এবং বেঙ্গালুরুর মতো একটা ভাল দলকে হারাতে গেলে ভাল খেলতে হবে। নির্দিষ্ট পরিকল্পনা অনুযায়ীই প্রস্তুতি নিচ্ছি আমরা’।

আগের দিন অধিনায়ক শুভাশিস বোস সাংবাদিকদের যে নিজেদের দায়িত্ব নিয়ে ঘুরে দাঁড়ানোর কথা বলেছিলেন, তা এ দিন কাজেও করে দেখান তাঁরা। তবে ফল ১-০ হলেও এ দিন আরও বেশি ব্যবধানে জিততে পারত তারা।

ক্লেটন সিলভা গত ছ’টি ম্যাচে গোল পাননি। অস্ত্রোপচারের কারণে মরশুম থেকে ছিটকে গিয়েছেন নন্দকুমার শেকর । তাঁদের গোলখরার প্রভাব দলের ওপর যাতে না পড়ে, সে জন্য অন্যদের গোল করতে হবে।

“এখানে এসে আমি আমার স্ত্রীকে বলি, মনে হচ্ছে এখানে আমি আগেও এসেছি। বিমানবন্দরে যে ভাবে আমার নামে ধ্বনী উঠছিল, মনে হচ্ছিল যেন বাড়িতেই এসেছি”, আইএসএলের ইউটিউব চ্যানেলে ‘ইন দ্য স্ট্যান্ডস’ অনুষ্ঠানে বলেছেন রয় কৃষ্ণা।

‘হাবাসের ভূমিকা ও প্রভাব এই দলে অনেক বেশি। উনি অসুস্থ, সহালেরও চোট। কিন্তু যারা খেলবে, তারা নিজেদের সেরাটা দিয়ে দলকে জিততে সাহায্য করবে’।