এখন পর্যন্ত দুই দলের ছ’বার মুখোমুখি লড়াইয়ে ইরান জিতেছে চারবার, ভারত জিতেছে দু’বার। ভারতের শেষ জয় এসেছিল ১৯৫৯-এ।  

সব প্রতিদ্বন্দ্বিতার জন্মই যে আইএসএলে হয়েছে, এ কথা বলাটা ঠিক হবে না। কিছু লড়াইয়ের জন্ম হয়েছে সুদূর অতীতে, যা নিয়ে উন্মাদনা দেখা গিয়েছে যুগ যুগ ধরে। 

আয়োজকেরা অজস্র গোলের সুযোগ তৈরি করলেও দুর্ভেদ্য ভারতীয় রক্ষণের তৎপরতায় তারা সফল হতে পারেনি। এমনকী দ্বিতীয়ার্ধে পেনাল্টি পেয়েও সফল হয়নি তারা। 

ফিফা ক্রমতালিকায় তারা এখন ১০৬ নম্বরে। বর্তমানে এএফসি এশিয়ান কাপের বাছাই পর্বে নিজেদের গ্রুপে শীর্ষে রয়েছে তাজিকিস্তান। 

নর্থইস্ট চ্যাম্পিয়ন হলেও অন্যান্য কয়েকটি দলের কয়েকজন ফুটবলারের পারফরম্যান্সও নজর কেড়েছে এ বারের ডুরান্ড কাপে।  

‘ব্যক্তিগতভাবে এই ক্লাবকে গভীর আবেগ দিয়ে চালাই আমি। একটা সময় পরিস্থিতি কঠিন ছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত, আমরা প্রমাণ করতে পেরেছি যে, আমরা দীর্ঘদিন টিকে থাকার জন্যই এসেছি’।  

মোট দু’টি গ্রুপে ভাগ করা হয়েছে দলগুলিকে। টুর্নামেন্টের ফরম্যাট অনুযায়ী প্রতি গ্রুপ থেকে দু’টি করে দল নক আউট পর্বে খেলার যোগ্যতা অর্জন করবে। 

নির্ধারিত সময়ে এত বড় (৬-১) ব্যবধানে কেউ ডুরান্ড কাপ ফাইনালে জেতেনি। ফাইনালে হাফ ডজন গোল করে জেতা, স্বাধীন ভারতে ডুরান্ড কাপের ইতিহাসে এই প্রথম।  

আলাদিনকে আটকে রাখতে পারলে অর্ধেক কাজ সেরে ফেলতে পারবে ডায়মন্ড হারবার এফসি। অতীতে এমন কৌশল অবলম্বন করে সফল হয়েছে কলকাতার আইএসএল ক্লাবগুলি।

এই বিদেশি ফুটবলাররা শুধু মাঠেই অবদান রাখেননি, বরং প্রমাণ করেছেন যে সঠিক পরিকল্পনায় করা বিদেশি নিয়োগ সাফল্যের দরজা খুলে দিতে পারে।  

ইস্টবেঙ্গলের বিরুদ্ধে কখনও না হারার নজির নিয়ে এ দিন দল নামিয়েছিলেন ডায়মন্ড কোচ কিবু ভিকুনা। সেই নজির এ দিনও অক্ষত রাখলেন তিনি। 

লাল-হলুদ বাহিনীর মতো অপরাজিত না হলেও ডায়মন্ড হারবার এফসি-ও শেষ আটে ওঠার আগে বেশ বড় ব্যবধানে জয় পায়। বিএসএফ-কে তারা হারায় ৮-১-এ।