চেন্নাইনের বিরুদ্ধে হারার পর প্রতি ম্যাচকেই নক আউটের মতো নিয়েছিলাম আমরা। সে রক

গত আটবার যা পারেনি তারা, সোমবার যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে সেটাই করে দেখাল মোহনবাগান সুপার জায়ান্ট। এক নয়, জোড়া অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটিয়ে প্রথমবার আইএসএলে লিগসেরার খেতাব জিতল এবং লিগের ইতিহাসে এই প্রথম তারা হারাল মুম্বই সিটি এফসি-কে। 

এতদিন যা করতে পারেনি সবুজ-মেরুন বাহিনী, সেই এক জোড়া অসাধ্য সাধন করার চ্যালেঞ্জ নিয়ে সোমবার সন্ধ্যায় মাঠে নামবেন দিমিত্রিয়স পেট্রাটস, জনি কাউকো, মনবীর সিং, শুভাশিস বোসরা।                                                                     

‘আমাদের মাথা ঠাণ্ডা রেখে, ধৈর্য্য সহকারে ম্যাচটা খেলতে হবে। প্রত্যেককেই যার যার নিজস্ব খেলা খেলতে হবে। আমি আত্মবিশ্বাসী। গোল করার অনেক লোক আছে আমাদের। যদি নিজেদের দূর্গ অক্ষত রাখতে পারি, তা হলে ম্যাচটা জেতা সম্ভব’।

এই ম্যাচে মুম্বইয়ের রক্ষণ যে গোল না খাওয়ার সংকল্প নিয়ে মাঠে নামবে, এই নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই। মুম্বই সিটি এফসি-র এই দুর্ভেদ্য প্রাচীরে ভাঙন ধরিয়ে তাদের জালে একাধিকবার বল জড়ানোই হবে সবুজ-মেরুন বাহিনীর লক্ষ্য।             

‘ম্যাচটা মোটেই সোজা নয়। মোহনবাগান ভাল দল, ওরা ঘরের মাঠে খেলছে। সব রকম সুবিধাই ওরা পাবে। আমাদের প্রথম মিনিট থেকে শেষ মিনিট পর্যন্ত সঙ্ঘবদ্ধ থেকে লড়াই করতে হবে’।

‘লিগশিল্ড জিততে গেলে আর একটা ম্যাচ জিততে হবে আমাদের। তার ওপর ম্যাচটা হবে আমাদের ঘরের মাঠে সমর্থকদের সামনে। তাই এই সাফল্য উদযাপন করার এটাই সবচেয়ে ভাল সুযোগ’।

সবুজ-মেরুন বাহিনীর আইএসএল অভিযানে পেট্রাটসের সঙ্গে কি কারও তুলনা করা যায়? এ প্রশ্ন করলে উত্তরে একজনের নামই একডাকে মুখে চলে আসে, রয় কৃষ্ণা। যিনি হয়ে উঠেছিলেন বাংলার ফুটবলপ্রেমীদের নয়নের মণি।

‘৬৫ মিনিট ধরে আমরা ওদের ওপর আধিপত্য বিস্তার করেছি এবং সেটাই ম্যাচটা নিয়ন্ত্রণের জন্য যথেষ্ট ছিল। এখন সপ্তাহান্তে আমাদের খেলোয়াড়দের বিশ্রাম দিতে হবে। তার পরে সোমবারের ম্যাচের প্রস্তুতি শুরু হবে’।

প্রচুর মোহনবাগান সমর্থকে ভরা কান্তিরাভায় প্রথমার্ধে এক গোলে এগিয়ে থাকার পর দ্বিতীয়ার্ধে মাত্র ন’মিনিটের মধ্যে তিন-তিনটি গোল করে লিগ শিল্ডের দোরগোড়ায় পৌঁছে গেল গতবারের নক আউট চ্যাম্পিয়নরা। 

শীর্ষে থেকে লিগ শেষ করে কারা লিগশিল্ড জিতবে, তা এখনও জানা যায়নি। কে কত নম্বরে শেষ করবে, তা নির্ধারিত হওয়ার পরই প্লে অফ ম্যাচের ভেনু ঘোষণা করা হবে।

‘ওদের তৃতীয় গোলের পর আমাদের আর তেমন কিছু করার ছিল না। তখন ম্যাচের শেষ দিক। শারীরিক ভাবে আর পারছিল না ছেলেরা। এক ঘণ্টা পর্যন্ত আমরা লড়াই করেছি। কিন্তু তৃতীয় গোলের পর সেই লড়াই শেষ হয়ে যায়’।