মহমেডানের সুপার কাপ অভিযান শুরু আইএসএল ফাইনালিস্ট বেঙ্গালুরুর বিরুদ্ধে
সুপার কাপই চলতি মরশুমে বেঙ্গালুরুর প্রথম টুর্নামেন্ট। সে দিক থেকে দেখতে গেলে প্রতিপক্ষদের নিয়ে তেমন হোমওয়ার্ক করার সুযোগ পাচ্ছে না মহমেডান এসসি।
ঠিকমতো দল গড়া নিয়ে সমস্যায় পড়লেও সুপার কাপে অংশ নিচ্ছে কলকাতার ঐতিহ্যবাহী ক্লাবমহমেডান এসসি। বৃহস্পতিবার তারা ফতোরদার নেহরু স্টেডিয়ামে এই টুর্নামেন্টের প্রথম ম্যাচ খেলতে নামছেবেঙ্গালুরু এফসি-র বিরুদ্ধে, যারা এই মরশুমে প্রথম কোনও জাতীয় ক্লাব টুর্নামেন্টে অংশ নিচ্ছে।
এ মরশুমে ডুরান্ড কাপে মহমেডান এসসি অংশ নিলেও গত আইএসএলের ফাইনালিস্ট বেঙ্গালুরু এফসি সেই আসরে অংশ নেয়নি। সুপার কাপই তাদের চলতি মরশুমের প্রথম টুর্নামেন্ট। সে দিক থেকে দেখতে গেলে এই ম্যাচে নামার আগে প্রতিপক্ষদের নিয়ে তেমন হোমওয়ার্ক করার সুযোগ পাচ্ছে না মহমেডান এসসি।
তবে প্রতিপক্ষ কেমন অবস্থায় আছে, তা দেখার চেয়ে তারা নিজেরা কী অবস্থায় রয়েছে, তা দেখা বেশি জরুরি মহমেডান এসসি-র। ক্লাবের আভ্যন্তরীন সমস্যার জন্য ক্লাব এখনও ঠিকমতো দল তৈরি করতে পারেনি। ২২ জনের বদলে ২১ জনের দল নিয়ে তারা গোয়া যাচ্ছে বলে খবর। কোচ মেহরাজউদ্দিন ওয়াডু তাই দলের ছেলেদের হার-জিতের কথা না ভেবে শুধু বড় মঞ্চে বড় দলের বিরুদ্ধে নিজেদের প্রমাণ করার ও ফুটবল উপভোগ করার আহ্বান জানিয়েছেন।
ম্যাচের আগে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, “আমরা ঠিকমতো প্রস্তুতি নিতে পারিনি। তিন দিন আগে কলকাতায় দলের খেলোয়াড়রা জমায়েত হয় ও প্রস্তুতি শুরু হয়। তবে ছেলেরা ভাল অবস্থায় আছে বলেই মনে হচ্ছে। বেঙ্গালুরুর মতো শক্তিশালী দলের বিরুদ্ধে ম্যাচ কঠিন হবে। ওদের খেলোয়াড়রা যথেষ্ট অভিজ্ঞ। আমাদের তরুণ খেলোয়াড়রা এই টুর্নামেন্টে নিজেদের প্রমাণ করার সুযোগ পাবে। আশা করি, ওরা সফল হবে এবং ম্যাচটা ভাল হবে। কলকাতা লিগে আমরা বড় দলগুলির বিরুদ্ধে ভাল খেলেছি। প্রতিপক্ষকে চাপে রাখতে পেরেছি। আশা করি, এখানেও একই রকম খেলব আমরা। ছেলেদের বলেছি নিজেদের স্বাভাবিক ও সেরা খেলা খেলো এবং ফুটবলকে উপভোগ করো”।
ডুরান্ড কাপে তিনটির মধ্যে মাত্র একটি ম্যাচ জিতে গ্রুপ পর্ব থেকেই ছিটকে যায় মহমেডান এসসি। কলকাতা লিগে অবনমনের আওতায় পড়ে যায় তারা। তবে শেষ পর্ন্ত অবনমন পর্বে একটি ম্যাচে ওয়াকওভার পাওয়ায় ও একটি ম্যাচে বড় ব্যবধানে জেতায় কোনও মতে অবনমন এড়াতে পারে তারা। ফিফার নিষেধাজ্ঞা থাকায় নতুন কোনও ফুটবলারকেও এই মরশুমে সই করাতে পারেনি তারা। তাই খুব একটা ভাল অবস্থায় সুপার কাপে নামতে পারছে না তারা।
গ্রুপ ‘সি’-তে তাদের সঙ্গে বেঙ্গালুরু এফসি ছাড়াও রয়েছে পাঞ্জাব এফসি ও গোকুলাম কেরালা এফসি। গোকুলামকে হারিয়ে ইতিমধ্যেই তিন পয়েন্ট অর্জন করে নিয়েছে পাঞ্জাব এফসি। তাদের সঙ্গে পাল্লা দিতে বেঙ্গালুরুর এই ম্যাচে জয় চাই।
এ মরশুমে অনেক দেরিতে প্রস্তুতি শুরু করেছে গতবারের ফাইনালিস্টরা। তাই এই টুর্নামেন্টে যে পুরোপুরি তৈরি হয়েই এসেছে তারা, এ কথা বলা যায় না। কোচ জেরার্ড জারাগোজাও সেই কথাই জানান সংবাদিকদের। তিনি বলেন, “সেপ্টেম্বর-অক্টোবরে প্রস্তুতি শুরু করা কোনও ক্লাবের কাছেই খুব একটা ভাল ব্যাপার নয়। তবু দলের অনুশীলনে যা দেখেছি, তাতে আমি খুশি। আশা করি গোয়ার মাঠে দল ভালই খেলবে”।
দলের সিনিয়র তারকা ও গোলকিপারগুরপ্রীত সিং বলেন, “চার-পাঁচ মাস খেলার মধ্যে না থাকার পর খেলা শুরু করাটা একটু কঠিন। তবে আমরা যেরকম প্রস্তুতি নিয়েছি, তাতে মনে হচ্ছে দল ভালই খেলবে। কয়েকজনের চোট-আঘাত নিয়ে সমস্যা রয়েছে ঠিকই। তবে যারা খেলার অবস্থায় রয়েছে, তারা তাদের সেরাটা দিতে তৈরি”।













