‘আমরা জানি, মোহনবাগানকে হারানো কঠিন। কিন্তু অঙ্কের হিসেবে কাল হারলেও আমাদের সেরা ছয়ে যাওয়ার সুযোগ থাকবে। আরও ১২ পয়েন্ট পেতে পারি আমরা। এই ক’দিনে অনেক কিছুই হতে পারে’।

‘আমাদের একটাই লক্ষ্য, ডার্বি জিতে তিন পয়েন্ট অর্জন করা। সমর্থকদের কাছে এটা স্পেশাল হতে পারে। কিন্তু আমি চাই ছেলেরা আর পাঁচটা ম্যাচে যে মানসিকতা ও দক্ষতা দিয়ে খেলেছে, এই ম্যাচেও সে রকমই খেলুক’।

“আমাদের পরিবারের সবাই ইস্টবেঙ্গল সমর্থক। তাই আমিও ছোট থেকে ইস্টবেঙ্গলকেই সমর্থন করে এসেছি। আমার সবচেয়ে প্রিয় ডার্বি-মুহূর্ত ১৯৯৭-এর ফেডারেশন কাপ ডার্বিতে বাইচুং ভুটিয়ার হ্যাটট্রিক”।

‘পেট্রাটস, কামিংস, সাদিকুরাও এই ম্যাচের পর বাড়তি মানসিক শক্তি অর্জন করল। ডার্বির আগে এই জয় আমাদের আরও উজ্জীবিত করে তুলেছে’।

যদি ডার্বিতে এক পয়েন্ট নিয়ে ৩৪-এ পা দেয় মোহনবাগান এসজি, তা হলে আর তাদের পরের দলগুলির পক্ষে তাদের নাগাল পাওয়া সম্ভব হবে না। ফলে তাদের প্লে-অফে জায়গা নিশ্চিত হয়ে যাবে।

আগামী ২১ মার্চ ও ২৬ মার্চ আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে দুটি ম্যাচ খেলবে তারা। প্রথমটি অ্যাওয়ে ম্যাচ, যা হবে সৌদি আরবে ও পরেরটি হোম ম্যাচ, যা হবে গুয়াহাটিতে।

ইস্টবেঙ্গলের প্লে-অফ ভাগ্য শুধু নিজেদের হাতে নেই, রয়েছে আরও তিনটি দলের হাতে। অবকাশের পরে পারফরম্যান্সের বিচারে এক নম্বরে রয়েছে মোহনবাগান এসজি। এই পরিস্থিতির মধ্যেই আগামী রবিবার ডার্বিতে মুখোমুখি হচ্ছে দুই প্রধান।

‘ডার্বির জন্য আলাদা করে মোটিভেশনের প্রয়োজন নেই। প্রত্যেক ফুটবলারই এই ম্যাচে খেলতে চায়। তবে মাত্র চারদিনের মধ্যে এই রকম গুরুত্বপূর্ণ একটা ম্যাচের জন্য নিজেদের মানসিক ও শারীরিক ভাবে স্বাভাবিক জায়গায় ফিরে আসতে হবে আমাদের’।

চলতি লিগে আট নম্বর হারের পরেও অবশ্য প্লে-অফের দৌড়ে টিকে রইল ইস্টবেঙ্গল এফসি। অঙ্কের হিসেব বলছে পাঁচ নম্বরে থেকেও লিগ শেষ করতে পারে তারা।

এমন আকর্ষণীয় জায়গায়, যেখানে দুই দলেরই প্লে-অফের ভবিষ্যৎ নির্ভর করছে, এর আগে আইএসএলের কোনও ডার্বি এসেছে বলে মনে পড়ে না কারও।

জিততে পারলে ছ’নম্বরে থাকা বেঙ্গালুরু এফসি-কে সরিয়ে ওই জায়গায় বসে পড়বে লাল-হলুদ বাহিনী। কারণ, গোলপার্থক্যে বেঙ্গালুরুর চেয়ে এগিয়ে তারা। জিতলে পয়েন্ট ও ম্যাচের সংখ্যাও সমান হয়ে যাবে দুই দলের। 

‘গোয়ার মতো ছন্দ আমরা কখনও পাইনি। ছন্দে এলেও তা ক্ষণস্থায়ী হয়েছে। যেমন সুপার কাপে আমরা ভাল ছন্দে ছিলাম। লিগে মোহনবাগানের বিরুদ্ধেও খুবই ভাল খেলি। কিন্তু তার পরেই হঠাৎ এমন হল যে আমরা তিন পয়েন্ট খোয়ালাম। ছন্দটা নষ্ট হয়ে গেল”