পরপর বেশ কয়েকজন সিনিয়র তারকার পরে এ বার এক উঠতি তারকার সঙ্গে চুক্তি পাকা করে ফেলল এটিকে মোহনবাগান। শনিবার দেশের ৭৪তম স্বাধীনতা দিবসে সমর্থকদের আরও এক খুশির খবর দিলেন ক্লাবের কর্তারা। গত মরশুমে নিজেকে দারুণ ভাবে প্রমাণ করা ডিফেন্ডার সুমিত রাঠিকে পাঁচ বছরের জন্য চুক্তিবদ্ধ করল কলকাতার ক্লাবটি। এর আগেই আর এক ডিফেন্ডার শুভাশিস বসুকে দলে নিয়েছে তারা। গত মরশুমে রক্ষণে যেটুকু ফাঁকফোকর ছিল, তাও এ বার ভরাট করার চেষ্টায় রয়েছে তারা।

মুজফ্ফরনগর থেকে আসা এই তরুণ সবুজ মেরুনের মতো ঐতিহ্যবাহী জার্সি গায়ে মাঠে নামার সুযোগ পেয়ে রীতিমতো রোমাঞ্চিত। তাও আবার দু-এক বছর নয়, পাঁচ-পাঁচটা বছর এমন এক ক্লাবের হয়ে খেলার সুযোগ পেয়ে উৎফুল্ল সুমিত বলেন, “ক্লাব যে আমার ওপর আস্থা রেখে এত বড় সুযোগটা দিল, সে জন্য আমি তাদের কাছে খুবই কৃতজ্ঞ। এটিকে মোহনবাগানের প্রতিনিধিত্ব করা আমার কাছে যথেষ্ট গর্বের। সবুজ-মেরুন জার্সি গায়ে মাঠে নামতে পারাটা আমার কাছে বিরাট সম্মানের”।

২০১৮-১৯ মরশুম শুরুর আগে এটিকে-র যুব শিবিরে যোগ দেন সুমিত। তার আগে ইন্ডিয়ান অ্যারোজের হয়ে খেলে যাত্রা শুরু করেন তিনি। অনুশীলনে তাঁর পারফরম্যান্স দেখে স্প্যানিশ কোচ আন্তোনিও লোপেজ হাবাস তাঁকে সিনিয়র দলে ডেকে নেন। সিনিয়র ডিফেন্ডার আনাস এডাথোডিকা চোট পেয়ে যাওয়ায় তাঁর সামনে সুবর্ণ সুযোগও এসে যায়। অগাস্টিন ইনিগেজ, জন জনসনদের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে দুর্দান্ত ফুটবল খেলেন সুমিত ও প্রথম দলে নিজের জায়গা পাকা করে নেন। গত হিরো আইএসএলে ১৪টি ম্যাচে খেলনে তিনি এবং প্রতিটিতেই উল্লেখযোগ্য পারফরম্যান্স দেখান। মোট ১১৫টি ক্লিয়ারেন্স, ২৭টি ট্যাকল, ১৯টি ইন্টারসেপশন ও ১৮টি ব্লক জমা করে নেন নিজের পারফরম্যান্সের খতিয়ানে।

গত মরশুমে যে দল নিয়ে হিরো আইএসএলে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল এটিকে এফসি, এ বার সেই দলের বেশির ভাগ খেলোয়াড়কেই যে সবুজ-মেরুন জার্সি পরে খেলতে দেখা যাবে, তা নিশ্চিত করার পথে এটিকে মোহনবাগান। রয় কৃষ্ণা, প্রবীর দাস, প্রীতম কোটাল, জবি জাস্টিন, এডু গার্সিয়ার সঙ্গে এ বার তারা নিয়ে নিল সুমিতকেও। এঁদের সঙ্গে শুভাশিস, শেখ সাহিলদের মতো নতুন ছেলেরা সহজেই নিজেদের মানিয়ে নিতে পারবেন বলেই আশা করা যায়।