ফুটবল স্পোর্টস ডেভলপমেন্ট লিমিটেডের চেয়ারপার্সন এবং ইন্টারন্যাশনাল অলিম্পিক কমিটির সদস্যা নীতা অম্বানি ভারতীয় ফুটবলপ্রেমীদের ২০২০-২১-এর হিরো আইএসএল মরশুম নির্বিঘ্নে ও সফলভাবে উপহার দিতে পেরে আপ্লুত।

শনিবার ফাইনালের আগে এক ভিডিও বার্তায় শ্রীমতি অম্বানি বলেন, “হিরো আইএসএলের সপ্তম মরশুম খেলাধুলার আসল শক্তি ও ফুটবলের আসল গৌরবের প্রতি আমাদের শ্রদ্ধার্ঘ্য”। এমন অসময়ে ক্রীড়াসূচিতে একটিও পরিবর্তন না করে পুরো লিগ আয়োজন করা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়া অতিমারির সঙ্গে লড়াই করে যাবতীয় বাধা-বিপত্তি পেরিয়ে, আতঙ্ক ও অনিশ্চয়তাকে জয় করে এই মরশুম আমাদের জীবনে অনেক আনন্দ, উৎসব ও উল্লাস ফিরিয়ে এনেছে। এই দুঃসময়ের মধ্যে প্রথম এত দীর্ঘ ও সফল এক খেলাধুলার আসর আয়োজন করতে পেরে আমরা গর্বিত”।

সংশ্লিষ্ট সমস্ত ব্যক্তিদের প্রশংসা করে ও তাদের অভিনন্দন জানিয়ে শ্রীমতি অম্বানি বলেন, “খেলোয়াড়, সাপোর্ট স্টাফ, ক্লাব ও লিগ ম্যানেজমেন্ট ও ব্রডকাস্ট কর্মীদের নিয়ে প্রায় ১৬০০ মানুষ ছ’মাস ধরে কঠোর জৈব সুরক্ষা বলয়ের মধ্যে থেকে প্রায় ৭০,০০০ আরটি-পিসিআর টেস্ট দিয়ে এই মহাযজ্ঞে যুক্ত ছিলেন”।

গত বছর ২০ নভেম্বরে শুরু হয়ে চার মাস ধরে বিনা বাধায় চলেছে হিরো আইএসএলের সপ্তম মরশুম। ১১টি ক্লাব খেলায় এ বার ম্যাচের সংখ্যা ৯৫ থেকে বেড়ে হয় ১১৫। পুরো গোয়ার তিনটি স্টেডিয়ামে মরশুমের সব ম্যাচ এ বার হয় রুদ্ধদ্বার অবস্থায়, যাবতীয় সুরক্ষা-বিধি মেনে।

দেশের আপামর ফুটবলপ্রেমীদের উদ্দেশ্যে শ্রীমতি অম্বানি বলেন, “স্টেডিয়ামে ফুটবলপ্রেমীদের অভাব এ বার আমরা ভীষণ ভাবে উপলব্ধি করেছি। কিন্তু তাঁরা আমাদের সঙ্গে ছিলেন ডিজিটাল মাধ্যমে। সারা মরশুম ধরে মানসিক ভাবে তাঁরা ছিলেন আমাদের সঙ্গে। গোয়ার প্রতিটি মানুষকে জানাই অসংখ্য ধন্যবাদ। ফুটবলের প্রতি এই অপরিসীম ভালবাসার জন্য। খেলাই যে সারা বিশ্বকে ঐক্যবদ্ধ, আপ্লুত ও উজ্জীবিত করে তুলতে পারে, আমাদের এই বিশ্বাসকে আরও দৃঢ় করে তোলার জন্য সকলকে ধন্যবাদ”।

এ বারের লিগে উঠতি, তরুণ ফুটবলারদের উদ্দেশ্যে শ্রীমতি অম্বানি বলেন, “আইএসএল-এর মতো আসরে এত জন তরুণ ফুটবলারকে দেখে আমি খুবই খুশি। লিস্টন কোলাসো, আকাশ মিশ্র, রাহুল কেপি, আশিস রাই, বিপিন সিং, জিকসন সিং এবং আপুইয়ার মতো ফুটবলাররা তাঁদের দৃঢ়চরিত্র ও প্রত্যয়ের পরিচয় দিয়েছেন। এই তরুণরাই ভারতকে আন্তর্জাতিক স্তরে এগিয়ে নিয়ে যাবেন”।

মুম্বই সিটি এফসি-কে লিগশিল্ড জয়ের জন্য অভিনন্দন জানান শ্রীমতি অম্বানি। মুম্বইয়ের দলকে ও ফাইনালের অপর প্রতিদ্বন্দী ক্লাব এটিকে মোহনবাগানকেও শুভেচ্ছা জানান তিনি। বলেন, “এফসি গোয়ার পর মুম্বই সিটি এফসি এএফসি চ্যাম্পিয়ন্স লিগে খেলার যোগ্যতা অর্জন করেছে। ফাইনালে কারা জিতবে, সেটা বড় কথা নয়। আমার কাছে ফুটবলের মাধ্যমে আশা ও ইতিবাচকতা প্রসারের জন্য এই মরশুমে প্রতিটি ক্লাবই সফল”।