এটিকে ও মোহনবাগানের মধ্যে বৃহস্পতিবার সরকারি ভাবে ঘোষিত হওয়া মৈত্রীচুক্তির পরে নতুন ক্লাবের নাম কী হতে চলেছে? এটিকে-মোহনবাগান।

সরকারি ভাবে এই চুক্তির খবর ঘোষণার দিনই তা জানিয়ে দিলেন আরপিএসজি-র কর্ণধার সঞ্জীব গোয়েঙ্কা। দুই দলের সমর্থকদের আবেগ ও ক্লাবের ঐতিহ্য মেনেই যে নতুন ক্লাবের জার্সি বাছাই করা হবে, সেই নিশ্চয়তাও দিচ্ছেন তিনি। তাই কোনও মোহনবাগান সমর্থক যদি ভেবে থাকেন এটিকে-র সঙ্গে নতুন এই চুক্তির ফলে তাদের ক্লাবের ঐতিহ্যে দাগ লাগতে পারে, তা যে হবে না, সেই কথাই দিলেন সঞ্জীব গোয়েঙ্কা।

বৃহস্পতিবার এক বিশেষ সাক্ষাৎকারে গোয়েঙ্কা বলেন, “মোহনবাগান শুধু একটা ক্লাব নয়, এক ঐতিহ্য, এক আবেগ। আমি বড় হয়েছি মোহনবাগানের সঙ্গে, আমার বাবাও এই ক্লাবের সঙ্গে সক্রিয় ভাবে যুক্ত ছিলেন। আমার দাদুও যুক্ত ছিলেন এই ক্লাবের সঙ্গে। আমরা তিন প্রজন্ম এই ক্লাবে জড়িত রয়েছি। কিন্তু ইদানীং এই ক্লাবের অবস্থা খুব একটা ভাল যাচ্ছিল না বলেই মনে হয়েছিল আমার। অন্তত এই সিদ্ধান্তটা নেওয়ার পক্ষে তো নয়ই”।

নতুন ক্লাবের প্রশাসনিক পরিকাঠামো নিয়ে তিনি জানিয়ে দেন, “সংযুক্তির পরে ক্লাবের নতুন নাম হবে এটিকে-মোহনবাগান। অনেক দিন ধরেই কথাবার্তা চলছিল। এটিকে-র সব অংশীদারই নতুন এই ক্লাবের সঙ্গে একই অধিকারে যুক্ত থাকবেন”।  আর জার্সি নির্বাচন নিয়ে তাঁর বক্তব্য, “নতুন জার্সির ক্ষেত্রে কোনও ইগো বা আত্মগর্বের কোনও জায়গা নেই। তবে আবেগ ও ঐতিহ্যের জায়গা অবশ্যই আছে”।

নতুন ক্লাব এটিকে-মোহনবাগান যে আইএসএল ছাড়া দেশের অন্যান্য বড় টুর্নামেন্টগুলোতেও খেলবে, তাও স্পষ্ট করে জানিয়ে দেন গোয়েঙ্কা। এমনকী দেশের বাইরেও তিনি এই দলকে নিয়ে যেতে চান বলে ইচ্ছা প্রকাশ করেন। বলেন, “দেশের অন্যান্য টুর্নামেন্ট কেন খেলতে পারবে না, তার কোনও কারণ তো দেখছি না। তবে আমাদের ক্লাব কী ভাবে আন্তর্জাতিক ফুটবলেও খেলতে পারে, সেই পরিকল্পনাও তৈরি করতে হবে আমাদের”।

এ বছর জুন মাস থেকে চালু হচ্ছে এটিকে-মোহনবাগানের অভিযান। এবং গোয়েঙ্কার আশা, এই বছরেই এটিকে-মোহনবাগান  প্রথম ম্যাচ খেলতে ভারতের মাঠে নেমে পড়বে। তবে পরের মরশুমে হিরো আইএসএলে যে এটিকে-মোহনবাগান অবশ্যই থাকছে, তা নিয়ে তাঁর মনে কোনও সন্দেহ নেই।