হিরো আইএসএল ২০১৯-২০-র খেতাবী যুদ্ধে জিতবে কে? এটা যেমন একটা বড় প্রশ্ন, তেমনই বড় প্রশ্ন এ বার সোনার বুট জিতবেন কে? গত দু’বার ধরে যিনি সোনার বুট জিতে আসছেন, সেই এফসি গোয়ার স্প্যানিশ তারকা ফেরান কোরোমিনাস এ বার আর দৌড়ে নেই। এ বার উঠে এসেছেন নতুন তারকা এটিকে এফসি-র ফিজিয়ান ফরোয়ার্ড রয় কৃষ্ণা। যিনি গোটা ১৫ টি গোল করে আপাতত সর্বোচ্চ গোলদাতাদের তালিকার শীর্ষে।

তবে শুধু তিনি নন। এই তালিকায় শীর্ষে রয়েছেন আরও একজন, কেরালা ব্লাস্টার্সের বার্থোলোমিউ ওগবেচে। তাঁরও গোল সংখ্যা ১৫। কৃষ্ণার গোলের সংখ্যা বাড়ার সম্ভাবনা এখনও আছে। কারণ, তিনি ফাইনালে খেলছেন। ওগবেচের কিন্তু আর সেই সুযোগ নেই। সর্বোচ্চ স্কোরারদের এই তালিকায় একেবারে ওপর দিকে আরও এক ফুটবলার আছেন, যিনি আগামী শনিবার গোয়ার ফতোরদা স্টেডিয়ামে ফাইনালে নামবেন। তিনি চেন্নাইন এফসি-র লিথুয়ানিয়ান ফরোয়ার্ড নেরিজাস ভাল্সকিস। যিনি ১৯টি ম্যাচে ১৪টি গোল করে কৃষ্ণার ঘাড়ে নিঃশ্বাস ফেলছেন।

গত দু’বারের সোনার বুটজয়ী কোরেমিনাসেরও ১৪টি গোল। কিন্তু তাঁর দল এফসি গোয়া ফাইনালে উঠতে না পারায় তাঁর আর গোলসংখ্যা বাড়ার সম্ভাবনা নেই। আর ওগবেচের গোলের সংখ্যা কৃষ্ণার গোলের সমান হলেও ‘অ্যাসিস্ট’ বা তাঁর সাহায্যে হওয়া গোলের সংখ্যা যেহেতু কৃষ্ণার (৫) চেয়ে কম (১), তাই তিনি এই লড়াই থেকে ছিটকে গিয়েছেন। এখন লড়াইটা মূলত কৃষ্ণা ও ভাল্সকিসের মধ্যে। কারণ, ভাল্সকিসের ‘অ্যাসিস্ট’-এর সংখ্যা কৃষ্ণার চেয়ে বেশি (৬)।

তবে সোনার বুট জয়ের ব্যাপারে রয় কৃষ্ণাকেই এগিয়ে রাখতে চান ৩৫ বছর বয়সি নাইজেরিয়ান ফরোয়ার্ড। এক ফেসবুক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছেন, “লিগের শুরুর দিকে আমি ভেবেছিলাম, কোরোমিনাসই এ বারও হয়তো সোনার বুট জিতবে। কিন্তু আমার দ্বিতীয় পছন্দ সবসময়ই ছিল রয় কৃষ্ণা। এখন মনে হচ্ছে ও-ই এ বারের সোনার বুটটা নিয়ে দেশে ফিরবে। ভাল্সকিসের পক্ষে ব্যাপারটা অত সোজা হবে না”। ফাইনালে একটা গোল করলেই কৃষ্ণা এ বারের সর্বোচ্চ স্কোরার হিসেবে সোনার বুট জিততে পারেন। অবশ্য যদি না ভাল্সকিস একাধিক গোল করে কৃষ্ণাকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেন।

সোনার বুটের দাবিদার হিসেবে কৃষ্ণাকে এগিয়ে রাখলেও তাঁর দল এটিকে এফসি-কে অবশ্য এ বারের হিরো আইএসএল খেতাব জয়ের দৌড়ে এগিয়ে রাখতে পারছেন না ওগবেচে। তিনি চেন্নাইন এফসি-কে এই লড়াইয়ে ফেবারিটের তকমা দেওয়ার পক্ষে। এর ব্যাখ্যা করতে গিয়ে ওগবেচে বলেন, “আমার মনে হয় চেন্নাইন-ই খেতাব জিতবে। লিগের প্রথম দিকের কয়েকটা ম্যাচের পরে ওরা অপ্রতিরোধ্য হয়ে উঠেছে। একদম সঠিক সময়ে ওরা ঘুরে দাঁড়িয়েছে। এখন ওদের হারানো কঠিন। তাই ফাইনালে ওরা হেরে যাবে বলে মনে হচ্ছে না আমার। কোচ আওয়েন কোইল দলটাকে যে রকম মসৃণ গতিতে ফুটবল খেলতে শিখিয়েছেন, ফাইনালেও ওরা মনে সেটাই খেলবেন। যদিও প্রতিপক্ষ (এটিকে এফসি) বেশ কঠিন। কিন্তু তারাও ওদের থামাতে পারবে বলে মনে হয় না”।

দুই ফাইনালিস্ট দলের সমর্থকদের অবশ্য শনিবার দু’টো লড়াইয়ের দিকে তাকিয়ে থাকতে হবে। এটিকে বনাম চেন্নাইন। কৃষ্ণা বনাম ভাল্সকিস। কোন যুদ্ধে কে জিতবে, সেটাই দেখার।