আরও তিন বছরের জন্য প্রতিভাবান গোলকিপার অর্শ আনোয়ার শেখকে চুক্তিবদ্ধ করল এটিকে মোহনবাগান। হিরো আইএসএলে তিনি এখন পর্যন্ত একটিও ম্যাচ খেলার সুযোগ না পেলেও এএফসি কাপে তাঁর দুর্দান্ত পারফরম্যান্স দেখে তাঁকে আরও তিন বছরের জন্য দলে রেখে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিল গত বারের সেমিফাইনালিস্টরা। এই সিদ্ধান্তের কথা ক্লাব জানিয়ে দিয়েছে তাদের সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডলে।

২০২০-র অগাস্টে সবুজ-মেরুন শিবিরে যোগ দেন ছত্তিশগড় থেকে উঠে আসা এই তরুণ গোলকিপার। কিন্তু এখন পর্যন্ত হিরো আইএসএলে একটিও ম্যাচ খেলার সুযোগ পাননি তিনি। এ বারের এএফসি কাপে তিনি দলের হয়ে প্রথম গোলরক্ষার ভূমিকা পালন করেন এবং সুযোগ পেয়েই কোচের নজর কেড়ে নেন। এএফসি কাপ বাছাই পর্বে একটি ও গ্রুপ পর্বে দু’টি ম্যাচে তাঁকে নামান দলের স্প্যানিশ কোচ হুয়ান ফেরান্দো।

বাছাই পর্বে একটি ম্যাচ (ব্লু স্টার এফসি) খেলেন, যাতে কোনও গোল খাননি অর্শ। গ্রুপ পর্বে বসুন্ধরা এফসি ও মাজিয়া এফসি-র বিরুদ্ধে দু’টি ম্যাচের মধ্যে প্রথমটিতে ‘ক্লিন শিট’ রাখেন তিনি। এই দুই ম্যাচেই একাধিক অবধারিত গোল বাঁচিয়ে সমর্থকদেরও প্রশংসা কুড়োন ১৯ বছর বয়সি এই গোলরক্ষক।

ক্লাবের যুব দল থেকে ক্রমশ উঠে এসে এখন সিনিয়র দলেও জায়গা করে নিয়েছেন অর্শ। দলের প্রথম গোলকিপার অভিজ্ঞ অমরিন্দর সিং গত মরশুমে যে ভাল পারফরম্যান্স দেখিয়েছেন, তা বলা যাবে না। এটিকে মোহনবাগানের হয়ে লিগপর্বে ২০টি ম্যাচ খেলে ২৬টি গোল হজম করেন তিনি। প্লে অফে হায়দরাবাদ এফসি আরও চারবার তাঁকে পরাস্ত করে। বাছাই পর্ব ও গ্রুপ লিগ মিলিয়ে আরও পাঁচটি গোল খান অমরিন্দর। হিরো আইএসএলে সব মিলিয়ে মাত্র পাঁচটি ম্যাচে ‘ক্লিন শিট’ রেখে মাঠ ছাড়েন তিনি। ২০২০-২১ মরশুমে সব মিলিয়ে ২৭টির মধ্যে ১১টি ম্যাচে গোল খাননি তিনি।

অমরিন্দরের এই ফর্মের কথা ভেবেই হয়তো অর্শকে তৈরি রাখতে চান ফেরান্দো। যে ভাবে এফসি গোয়ায় তিনি ধীরজ সিংকে সুযোগ দিয়ে সুফল পেয়েছিলেন, সে রকমই হয়তো তিনি অর্শ আনোয়ারকেও সুযোগ দিয়ে দলের নতুন প্রজন্মের গোলকিপারকে তৈরি করে নেওয়ার পরিকল্পনা করেছেন। এ ছাড়াও এটিকে মোহনবাগান দলে রয়েছেন বর্ষীয়ান গোলকিপার সুব্রত পাল। অমরিন্দর ও সুব্রতর ছত্রছায়ায় থেকে নিজেকে আরও উন্নত করে তুলছেন অর্শ।