মাত্র ন’দিন আগেই এক হতাশাজনক পারফরম্যান্সের পরে রবিবার জামশেদপুরে জয়ে ফিরল ইস্টবেঙ্গল এফসি। গত ম্যাচের হারের হতাশা কাটিয়ে উঠে এ দিন উজ্জীবিত ফুটবল খেলে লাল-হলুদ শিবির এবং ৩-১-এ জেতে। কী ভাবে এ ভাবে ঘুরে দাঁড়ানো সম্ভব হল, কাদের কৃতিত্ব দিচ্ছেন এই জয়ের জন্য – ম্যাচের পরে সাংবাদিক বৈঠকে এই সব প্রশ্নেরই উত্তর দিতে হল  ইস্টবেঙ্গল এফসি-র হেড কোচ স্টিফেন কনস্টান্টাইন-কে। কী বললেন তিনি, কী ব্যাখ্যা দিলেন এই ঘুরে দাঁড়ানোর, তা জেনে নিতে চোখ রাখুন সাংবাদিক বৈঠকের এই রিপোর্টে।

এর আগে আপনি বলেছিলেন টানা ৯০ মিনিট ভাল খেলতে পারছে না বলে আপনার দল ব্যর্থ হচ্ছে। আজ কি ৯০ মিনিট ভাল খেলায় সাফল্য এল বলে মনে করছেন?

আজকের ম্যাচটা খুব কঠিন হবে বলেই ধরে নিয়েছিলাম আমরা। ওদের ভাল ভাল খেলোয়াড় আছে, যাদের গড় উচ্চতা বেশি। আমরা বেশির ভাগ সেকেন্ড বলই নিজেদের নিয়ন্ত্রণে রাখতে পেরেছি আজ। সুযোগও কাজে লাগিয়েছি ঠিকমতো। যে ম্যাচগুলো আমরা জিতেছি, সেগুলোতে ৯০ মিনিটই আমরা ভাল খেলেছি। যখন আমরা পুরো ম্যাচ ভাল খেলি, তখন আমাদের হারানো কঠিন হয়ে ওঠে। আজ ছেলেরা যা খেলেছে, তাতে আমি খুবই খুশি। ওরা সত্যিই অসাধারণ খেলেছে আজ।

আপনার কি মনে হয়, জামশেদপুরের বিরুদ্ধে আজ আপনাদের ভাগ্য সহায় ছিল বলে জিততে পেরেছেন?

আমার তা মনে হয় না। আমরা যে সুযোগগুলো পেয়েছি, সেগুলো কাজে লাগিয়েছি। জামশেদপুর দু-একটা সুযোগ তৈরি করতে পেরেছিল। আমি যদিও ওগুলোকে সুবর্ণ সুযোগ বলব না। আমরা এ রকমই ফুটবল খেলি। গত সপ্তাহের ম্যাচে যে দুটো গোল করেছিলাম আমরা, সেগুলোও আজকের মতোই গোল ছিল। তাই শুধু ভাগ্যকে কৃতিত্ব দেওয়া যাবে না। এর আগে কয়েকটা ম্যাচে ভাগ্যের সহায়তা পাইনি আমরা।

নাওরেম মহেশ ও ক্লেটন সিলভার ধারাবাহিক পারফরম্যান্স নিয়ে কী বলবেন?

শুধু ক্লেটন নয়, কমলজিৎ, ইভান আজ আমাদের গোলের সামনে দুর্দান্ত খেলেছে। সার্থক, জেরিও ভাল খেলেছে। প্রত্যেকেই আজ ভাল খেলেছে। দু-একজন ভাল খেললেই দল জেতে না। দু-একজন ফুটবলার দলকে জেতাতে পারে না। যারা গোল করেছে, তাদের গোল করার জন্যই খেলানো হয়। মহেশকে বল সাপ্লাই দেওয়ার কাজই দেওয়া হয়েছে। প্রথম গোলে সুহেরের টাইমিং একেবারে নিখুঁত ছিল। জর্ডন ও লিমা দু’জনেই দুরন্ত খেলেছে। মাঝমাঠে ওরাই বল নিয়ন্ত্রণে রেখেছিল। ওদের নিয়ন্ত্রণ থেকে বল ছিনিয়ে নেওয়া বেশি কঠিন হয়ে ওঠে। প্রত্যেকেই তাদের ভূমিকা যথাযথ ভাবে পালন করেছে। যে রক্ষণ নিয়ে গত ম্যাচের পরে প্রচুর অভিযোগ উঠেছিল, সেই একই খেলোয়াড়রা আজ রক্ষণে খেলেছে। আশা করি, সব অভিযোগের জবাব দিতে পেরেছে তারা।

আপনারা ক্রমশ বাইরের ম্যাচে জয়ের ব্যাপারে বিশেষজ্ঞ হয়ে উঠছেন। এর কারণ কী?

ম্যাচ জিতলে এটা কোনও ব্যাপার নয়। আমরা ন’পয়েন্ট নিয়ে এসেছি বাইরে থেকে, অবশ্যই ঘরের মাঠে জিততে চাই আমরা। কারণ, আমাদের সমর্থকেরা সেটা চান। হয়তো অদূর ভবিষ্যতে তাও পাব। এটা ঠিকই যে বাইরে এসে আমরা ভাল খেলছি।