কলকাতার দুই ঐতিহ্যবাহী ক্লাবের ফুটবল যুদ্ধ, যা ‘কলকাতা ডার্বি’ নামে বিখ্যাত, তা প্রতিবার মাঠের সীমানা ছাড়িয়ে চলে যায় দুই শিবিরের ড্রেসিংরুমেও। ভারতীয় ফুটবলের এই মহারণের আগে পরে শোনা যায় দুই শিবিরের সেনাপতি অর্থাৎ কোচেদের বাগযুদ্ধ। প্রাক আইএসএল যুগে তা মাঝে মাঝে ভয়ঙ্কর পর্যায়েও পৌঁছেছে। আইএসএলে এখন অতটা আগ্রাসী বাগযুদ্ধ না হলেও ‘কথা-কাটাকাটি’ কম হয়নি। প্রথম চারটি ডার্বি নিয়ে আলোচনা হয়েছে এই বিশেষ প্রতিবেদনের প্রথম পর্বে। শেষ পাঁচটি কলকাতা ডার্বিতে এই বাগযুদ্ধ কেমন ছিল? তা জেনে নিন দ্বিতীয় পর্বে।

কলকাতা ডার্বি-৫, ২৯ অক্টোবর, ২০২২, মোহনবাগান ২-০ ইস্টবেঙ্গল

ম্যাচের আগে

মোহনবাগান কোচ হুয়ান ফেরান্দো: আমরা যদি কাল দল হিসেবে খেলতে পারি, তা হলে কোনও বিশেষ খেলোয়াড়ের দিকে বাড়তি মনযোগ দেওয়ার প্রয়োজন হবে না। একজন বা দু’জন খেলোয়াড়কে নিয়ে আলাদা করে আলোচনা করাটা বোধহয় ঠিক নয়। কাল ২২জন প্রতিভাবান ফুটবলার মাঠে নামবে। তাদের প্রত্যেকের সামনেই সমান সুযোগ থাকবে।

ইস্টবেঙ্গল কোচ স্টিফেন কনস্টান্টাইন: কয়েক দিনে দারুন উন্নতি হয়েছে দলের। এখন আমরা অনেক ভাল জায়গায় রয়েছি। গত ৮-৯টা ডার্বিতে যে আমাদের দল জিততে পারেনি, সে কথা মাথায় আছে আমার। শনিবারই তার হিসেব হবে। তবে এটা মানতেই হবে, ওদের দলটা অসাধারণ। কয়েকজন খুব ভাল ফুটবলার আছে ওদের দলে। ওদের প্রতি শ্রদ্ধা আছে, তবে ওদের ভয় পাই না। আমার বিশ্বাস, আমাদের দলে এক ঝাঁক ফুটবলার আছে, যারা টানা দৌড়তে ও লড়াই করতে পারে। এক পয়েন্ট নিয়ে আমার আগ্রহ নেই, তিন পয়েন্টেই বেশি আগ্রহী। জয়ের কথা না ভেবে ডার্বিতে নামলে সেটা চরম ভুল হবে।

ম্যাচের পর

ফেরান্দো: ফাঁকা জায়গা খুঁজে বের করাটা ছিল আজকের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার। ম্যাচের পরের দিকে প্রতিপক্ষের রাইট ও লেফট ব্যাকের পিছনে সেটা করতে সমর্থ হয় আমাদের ছেলেরা। আমরা পেশাদার। এই জয় নিয়ে তাই বেশি উচ্ছ্বাসের কোনও প্রয়োজন আছে বলে মনে হয় না। তিন সপ্তাহ আগে যেমন আমরা সবচেয়ে খারাপ দল ছিলাম না, এখনও সবচেয়ে ভাল দল নই। মাথা ঠাণ্ডা রেখে এগোনোটা খুব জরুরি।

কনস্টান্টাইন: প্রথমার্ধে আমরাই আধিপত্য করেছি। গোলের একাধিক সুযোগ পেয়েছি। আমরা আগে গোল করে দিতে পারলে ম্যাচের ছবিটাই হয়তো অন্য রকম হত। আজ আমরা এখন পর্যন্ত সেরা দলের বিরুদ্ধে খেললাম, যে দলের ৫-৬ জন খেলোয়াড় অসাধারণ। যে দলে বুমৌস, কাউকো, আশিক, প্রীতমের মতো ফুটবলার রয়েছে, তারা অবশ্যই ভাল দল। এই ম্যাচ থেকে অনেক কিছুই শেখা হল আমাদের।

কলকাতা ডার্বি-৬, ২৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩, ইস্টবেঙ্গল ০-২ মোহনবাগান

ম্যাচের আগে

ইস্টবেঙ্গল কোচ স্টিফেন কনস্টান্টাইন: সব ম্যাচই কঠিন। তবে ডার্বির চেয়ে কঠিন কোনও ম্যাচই নয়। দু’পক্ষের সমর্থকদেরই আকাশছোঁয়া প্রত্যাশা থাকে। এই ম্যাচের জন্য যথাসম্ভব প্রস্তুতি নিয়েছি আমরা। গত সপ্তাহে মুম্বইয়ের বিরুদ্ধে দুর্দান্ত একটা ম্যাচ খেলেছি। ওদের ঘরের মাঠে ওদের হারানো, সত্যিই দিনটা আমাদেরই ছিল। ডার্বিতেও আমরা আত্মবিশ্বাসী হয়েই নামব। তিন পয়েন্টের জন্য লড়াই করব। গত ডার্বিতে প্রথমার্ধে আমরাই আধিপত্য বিস্তার করেছিলাম। এফসি গোয়া, ওডিশা এফসি-র বিরুদ্ধেও দাপট দেখিয়েছিলাম আমরা। হায়দরাবাদ আমাদের বিরুদ্ধে দুই ম্যাচেই কার্যত হাঁটু গেড়ে বসে পড়েছিল। অনেকগুলো ম্যাচেই আমরা ভাল খেলেছি।

মোহনবাগান কোচ হুয়ান ফেরান্দো: দলের সবার প্রতি আস্থা আছে আমার। তিন বিদেশি না খেলতে পারলেও যারা আছে, তাদের নিয়েই লড়ে যাব। এর আগেও আমাদের ছেলেরা কঠিন সময় কাটিয়ে উঠেছে। নিজেদের চারিত্রিক দৃঢ়তার পরিচয় দিয়েছে। আশা করি, এ বারও সফল হবে। দলের সবাই যদি গোল করার লক্ষ্য নিয়ে মাঠে নামে, তা হলে তা দলের পক্ষেই ভাল। বিপক্ষের দু-একজন খেলোয়াড়কে নিয়েও ভাবি না, পুরো দলটার ১১ জনের বিরুদ্ধে খেলতে হবে। তাই সবাইকে নিয়ে ভাবতে হচ্ছে।

ম্যাচের পর

কনস্টান্টাইন: প্রথমার্ধে আমরা ভাল খেলেছি। দ্বিতীয়ার্ধে রেফারির একাধিক ভুল সিদ্ধান্ত আমাদের বিরুদ্ধে যায়। এই ধরনের ম্যাচে এই ধরনের ভুল হলে বড় ক্ষতি হয়। আমাদেরও ক্ষতি হল। প্রথমার্ধের মতো ভাল আমরা দ্বিতীয়ার্ধে খেলতে পারিনি। কিন্তু আমরা যদি একটা পেনাল্টি পেতাম আর ক্লেটন যদি তা থেকে একটা গোল করত, তা হলে ম্যাচের ছবিটাই বদলে যেত। তবে এটা ঠিকই যে, আজ জেতার মতো খেলিনি আমরা। জয় আমাদের প্রাপ্য ছিল না। ওদের যথেষ্ট উঁচু মানের ফুটবলার রয়েছে। আমাদের সেই মানের খেলোয়াড় নেই। তবু আমাদের ছেলেরা অনেক চেষ্টা করেছে।

ফেরান্দো: তিন নম্বর জায়গা পাওয়াটা খুবই জরুরি ছিল। সেটা পেয়েছি ঠিকই। কিন্তু আমি পুরোপুরি খুশি নই। ৫০ শতাংশ সন্তুষ্ট আমি। দল সেরা দুইয়ে থাকলে আরও খুশি হতাম। প্রথমার্ধে আমাদের ছেলেরা ভালই খেলেছে। আমি চেয়েছিলাম দ্বিতীয়ার্ধে ওরা আরও ভাল খেলুক। প্রথমার্ধে ইস্টবেঙ্গল অনেক সঙ্ঘবদ্ধ ছিল। আমাদের জায়গা খুঁজে বের করতে বেশ বেগ পেতে হয়। কিন্তু দ্বিতীয়ার্ধে আমরা আরও আক্রমণাত্মক হয়ে উঠি। তখন ওদের রক্ষণ ও মাঝমাঠের মধ্যে দূরত্ব ক্রমশ বাড়তে থাকে। আমার কাছে স্বাভাবিক পারফরম্যান্স এটা। তবে খুব খুশি বা হতাশও নই। সাধারণত যে রকম পারফরম্যান্স দেখাই আমরা, সে রকমই হয়েছে।

কলকাতা ডার্বি-৭, ৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪, মোহনবাগান ২-২ ইস্টবেঙ্গল

ম্যাচের আগে

মোহনবাগান কোচ আন্তোনিও হাবাস: আমার বিশ্বাস, দলের দুঃসময় কেটে যাবে এবং আমরা ফের নিজেদের ছন্দে ফিরব। আমাদের একটা ভাল দল রয়েছ। সাফল্য পাওয়ার জন্য যা যা প্রয়োজন, তার সব কিছুই রয়েছে আমাদের কাছে। প্রতি ম্যাচেই জেতার মানসিকতা নিয়ে নামতে হবে আমাদের। আমার মনে আছে এর আগে কোনও এক মরশুমে যে দল লিগ টেবলের একেবারে নীচে নেমে গিয়েছিল, সেই দল সেমিফাইনালে উঠেছিল। আমাদের লড়াই করার শক্তি আছে। নিজেদের ক্ষতি পূরণ করার ক্ষমতা আছে। আশা করি, আমরা সফল হব।

ইস্টবেঙ্গল কোচ কার্লস কুয়াদ্রাত: সম্প্রতি আমরা ছজন বিদেশী-সহ খেলে (সুপার কাপে) সাফল্য পেয়েছি। আইএসএলে কিন্তু আমাদের ফের চার বিদেশী নিয়েই খেলতে হবে। কালকের ম্যাচে আমাদের হাতে যারা আছে তাদের নিয়েই খেলতে হবে। এটা ঠিকই যে আমাদের ছেলেরা সব সময় হার না মানার মানসিকতা নিয়ে মাঠে নামে। ওরা লড়াই করবেই। কিন্তু নিজেদের ‘ফেভারিট’ বলতে পারছি না। এটা ওপেন গেম। সমর্থকেরা এই ম্যাচ দেখে নিশ্চয়ই আনন্দ পাবেন।

ম্যাচের পর

হাবাস: আমাদের আজ চারবার রক্ষণের লাইন-আপ বদলাতে হয়েছে। বারবার চোট লেগেছে আমার ডিফেন্ডারদের। তবে আমার দলের মানসিকতা আমাকে মুগ্ধ করেছে। নিজেদের ওপর আস্থা, হার না মানার মানসিকতা— এ গুলো আমার কাছে আজ বেশি গুরুত্বপূর্ণ ছিল। শুরুতেই একজন খেলোয়াড় (আনোয়ার আলি) চোট পেয়ে বেরিয়ে যাওয়ায় আমরা সমস্যায় পড়ে যাই। তার ওপর একটা গোলও খেয়ে যাই। দ্রুত মানসিকতা বদল করে খেলায় ফেরাটা বেশ কঠিন ছিল। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুর দিকে আমাদের আরও সতর্ক হওয়া উচিত ছিল। তবে পেনাল্টিটাই সব হিসেব পাল্টে দিল।

কুয়াদ্রাত: আমরা আজ গোল করার অনেক সুযোগ পেয়েছি। যেগুলো কাজে লাগাতে পারলে জিততেও পারতাম। এডুইনের যে শটটা গোলের বাইরে চলে গেল, ওটা খুব ভাল একটা সুযোগ ছিল। নন্দকুমারও ভাল সুযোগ পেয়েছে। আরও দু-তিনটে সুযোগ পেয়েছি আমরা। আমাদের এই ম্যাচটা একশো শতাংশ জেতা উচিত ছিল। আমরা শুরু থেকেই আধিপত্য বিস্তার করে তিন পয়েন্টের জন্য খেলেছি। অনেক সুযোগও তৈরি করেছি। আমাদের কৌশল একদম ঠিক ছিল। যে পরিকল্পনা নিয়ে নেমেছিলাম, তাতে আমাদের অবশ্যই তিন পয়েন্ট পাওয়া উচিত ছিল।

কলকাতা ডার্বি-৮, ১০ মার্চ, ২০২৪, ইস্টবেঙ্গল ১-৩ মোহনবাগান

ম্যাচের আগে

ইস্টবেঙ্গল কোচ কার্লস কুয়াদ্রাত: হ্যাঁ, আমরা কাল আন্ডারডগ হয়েই মাঠে নামব। কারণ, সাম্প্রতিক ফলের বিচারে মোহনবাগানই এগিয়ে থাকবে। এই ব্যাপারে আমাদের সৎ ও নম্র হওয়া উচিত। তবে দলের খেলোয়াড়দের ওপর আমার ভরসা আছে। আমি জানি, ওরা সেরাটাই দেবে। আমাদের নির্দিষ্ট পরিকল্পনা থাকবে। এ মরশুমে মোহনবাগানের বিরুদ্ধে ম্যাচে যত পরিকল্পনা করেছি, প্রায় সবই কার্যকরী হয়েছে।

মোহনবাগান কোচ আন্তোনিও হাবাস: এই ম্যাচে কখন কী হবে, কেউই বলতে পারে না। ডার্বি ডার্বির মতোই হবে। তবে যে কোনও ডার্বিতেই আমাদের কাছে জেতার সুযোগ থাকে। ম্যাচটা কুড়ি দিন পর হলেও আমি হয়তো একই কথা বলব। এটা আমার কাছে কোনও বিশেষ মুহূর্ত বা বিশেষ সময় নয়। আমাদের একটাই লক্ষ্য, জিতে তিন পয়েন্ট অর্জন করা। আমি চাই আমাদের ছেলেরা আর পাঁচটা ম্যাচে যে মানসিকতা ও দক্ষতা দিয়ে খেলে, এই ম্যাচেও সে রকমই খেলবে। আমরা পেশাদার। আমাদের কাছে সব কিছু একই রকম হওয়া উচিত।

ম্যাচের পর

কুয়াদ্রাত: দ্বিতীয়ার্ধে আমার দলের ছেলেরা যেভাবে ম্যাচে ফিরে আসে, সে জন্য আমি গর্বিত। ওরা দেখিয়ে দিল যে, ওদের কাছে আরও বড় লক্ষ্য আসলে কী। ওরা পাগলের মতো লড়াই করেছে। আমার মনে হয়, দ্বিতীয় গোলটা করে দিতে পারলে ওরা সমস্যায় পড়ে যেত। আমরা বিরতির পর যখন মাঠে নামি, তখন আমাদের পরিস্থিতি খুবই প্রতিকুল ছিল। একেই পেনাল্টি মিস হয়েছে, তার ওপর নুঙ্গার চোট। এমনিতেই আজ আমরা অন্য সিস্টেমে খেলেছি। কিন্তু প্রথমার্ধের বাড়তি সময়ে নন্দকুমার এমন একটা ছোট ভুল করে ফেলল যে তৃতীয় গোলটাও খেতে হল।

হাবাস: প্রথমার্ধের খেলা যদি বিশ্লেষণ করেন, তা হলে দেখবেন, আমরা তখন আরও গোল পেতে পারতাম। কিন্তু দ্বিতীয়ার্ধে ছবিটা পুরো বদলে গেল। আমরা তখন শুধু ডিফেন্স করতে ব্যস্ত ছিলাম। কিন্তু তখনও আমাদের আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলা উচিত ছিল। প্রতিপক্ষকে তখনও চাপে রাখা প্রয়োজন ছিল। জানি না কেন এমন হল। বিরতিতে কিন্তু ছেলেদের বলেছিলাম দ্বিতীয়ার্ধেও প্রতিপক্ষকে চাপে রাখতে হবে। কিন্তু জানি না, কেন ওরা তা পারল না।

কলকাতা ডার্বি-৯, ১৯ অক্টোবর, ২০২৪, ইস্টবেঙ্গল ০-২ মোহনবাগান

ম্যাচের আগে

ইস্টবেঙ্গল কোচ বিনো জর্জ: দলের ছেলেরা সবাই তাদের দায়িত্ব জানে। ওরা জানে এই পরিস্থিতিতে কী করতে হবে। ওদের ওপর আমার আস্থা আছে। গত ম্যাচেই আমরা প্রায় তিরিশের কাছাকাছি আক্রমণ করেছি। কিন্তু সেগুলো গোলে পরিণত করতে পারিনি। গোলে পরিণত করতে পারলে আমরাই জিততাম। এই ম্যাচে আমাদের সুযোগ কাজে লাগাতে হবে। খেলাটা মাঠেই হবে। তাই যা প্রমাণ করার আমরা মাঠেই করব। অনুশীলনে আমি দলের ছেলেদের মধ্যে লড়াকু মনোভাব দেখছি। আশা করি, কাল ম্যাচেও এই মনোভাব থাকবে এবং কাল আমরা মোহনবাগানের বিরুদ্ধে ভাল লড়াই করব।

মোহনবাগান কোচ হোসে মোলিনা: আমরা যে রকম স্টাইলে খেলি, সে রকম স্টাইলেই খেলব। উল্টোদিকে ইস্টবেঙ্গল আছে বলে কিছু পরিবর্তন হবে না। আক্রমণাত্মকই খেলব, রক্ষণ যতটা সম্ভব আঁটো সাঁটো করে রাখব। গোল করতে হবে। ম্যাচ যথাসম্ভব নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে। ইস্টবেঙ্গলও নিশ্চয়ই ওদের অস্ত্রগুলো ব্যবহার করবে আমাদের বিরুদ্ধে। তবে আশা করি, আমরা যথাসম্ভব সেরা খেলাটাই খেলব। আমার একমাত্র লক্ষ্য জয়। গত কয়েক দিনে সমর্থকেরা আমাকে শুধু জেতার কথাই বলেছে। জিতলেই সবাই খুশি হবে। এটাই আমাদের মাথায় রাখতে হবে। সে জন্য ৯০ মিনিট ধরে প্রচুর খাটতে হবে।

ম্যাচের পর

ইস্টবেঙ্গলের নয়া কোচ অস্কার ব্রুজোন: আমাদের দলে আক্রমণাত্মক মনোভাবের অভাব আছে, তীব্রতার অভাব আছে, এবং মাঝেমধ্যে আমরা আক্রমণে ওঠায় ভুল করছি। মোহনবাগান এসজি আমাদের চেয়ে দক্ষতায় ও শারীরিকভাবে আমাদের চেয়ে এগিয়ে। আমাদের দলে প্রতিভাবান খেলোয়াড় আছে, তাদের মধ্যে কয়েকজন ভারতীয় দলে খেলে। তীব্রতা বাড়ানোর জন্য আমাদের আরও কাজ করতে হবে। আমাদের দল পাঁচ ম্যাচে ১১টি গোল হজম করেছে। সবার আগে এই সমস্যার সমাধান করতে হবে। আমি সদ্য এসেছি। পুরো ব্যাপারটা বুঝে নিয়ে সব সামলানোর জন্য আমাকে সময় দিতেই হবে।

মোলিনা: আজ আমি খুবই খুশি। আমি একজন কোচ, যে একটা ভাল দলের কয়েকজন ভাল খেলোয়াড়দের সঙ্গে কাজ করছে। শুরু থেকেই আমরা একসঙ্গে অনেক পরিশ্রম করছি। শুরু থেকেই বলে আসছি যে, আমাদের সময় দিতে হবে, সবাইকে ধৈর্য্য ধরতে হবে। একটা প্রক্রিয়ার জন্য সময় দিতে হয়। এখন মনে হচ্ছে সব কিছুই খুব ভাল হচ্ছে। তবে এখনও আরও উন্নতির জায়গা রয়েছে।