ফিরে দেখা: আইএসএল ২০২৪-২৫-এ সবচেয়ে বেশি ফুটবলার মাঠে নামিয়েছে কারা?
পিছন ফিরে পরিসংখ্যানের দিকে নজর দিয়ে দেখা যাক, কোন দলগুলো পুরো মরশুম জুড়ে নিয়মিতভাবে গোল করেছে।

ইন্ডিয়ান সুপার লিগ (আইএসএল)-এর ক্রমবর্ধমান প্রতিযোগিতায় টিকে থাকার জন্য যে কোনও দলের গভীরতা ও ফুটবলারদের কৌশলগত ব্যবহার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। আইএসএল ২০২৪-২৫ মরশুমেও দেখা গিয়েছে, ক্লাবগুলি বিভিন্ন সময়ে তাদের প্রথম একাদশে পরিবর্তন এনেছে। দলগুলির প্রধান কোচেদের কৌশলেরই অঙ্গ বলা যায় একে। মরশুমের শেষে, দেখে নেওয়া যাক, এ বারের লিগে কোন কোন দল সবচেয়ে বেশি সংখ্যক খেলোয়াড় ব্যবহার করেছে। সঙ্গে তাদের অভিযানের কিছু আকর্ষণীয় দিকও তুলে ধরা হয়েছে।
ইস্টবেঙ্গল এফসি - ৩২ জন ফুটবলার
পুরো মরশুম জুড়ে তাদের সেরা একাদশ খুঁজে বার করতে যথেষ্ট বেগ পেতে হয়েছে ইস্টবেঙ্গল এফসি-কে। গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড়দের চোট এবং একাধিক সাসপেনশন বারবার তাদের দলে পরিবর্তন করতে বাধ্য করেছে এবং বিকল্পও খুঁজতে হয়েছে। কিন্তু লাল-হলুদ ব্রিগেডের সঠিক কম্বিনেশন খোঁজার চেষ্টা ফের ব্যর্থ হওয়ায় টানা পঞ্চমবার তাদের প্লে-অফ স্বপ্ন ভেঙে দেয়।
মহমেডান এসসি ও কেরালা ব্লাস্টার্স এফসি- ২৯
কলকাতার মহমেডান স্পোর্টিং ক্লাব ও কেরালা ব্লাস্টার্স এফসি-র মরশুম এ বার ছিল প্রায় একই রকমের। দুই ক্লাবেই প্রধান কোচ আন্দ্রে চেরনিশভ ও মিখায়েল স্তাহরে লিগের মাঝেই পদত্যাগ করেন। যার পর অন্তর্বর্তীকালীন ভারতীয় কোচ হিসেবে মেহরাজউদ্দিন ওয়াডু ও টিজি পুরুষোত্তমন দায়িত্ব নেন। ব্লাস্টার্স ও সাদা-কালো ব্রিগেড দুই দলই কম্বিনেশনে ঘনঘন পরিবর্তন এনেছে। যার ফলে তাদের পারফরম্যান্সে ধারাবাহিকতা দেখা যায়নি।
মুম্বই সিটি এফসি- ২৮
এ মরশুমে গত বছরগুলির মান ধরে রাখতে পারেনি মুম্বই সিটি এফসি। প্লে-অফে জায়গা করে নিতে পারলেও পিটার ক্রাতকির দল ধারাবাহিকতার অভাবে ভোগে এবং মুম্বই ফুটবল এরিনায় দাপুটে পারফরম্যান্স দেখাতে ব্যর্থ হয়। নিকোলাওস কারেলিস, জন টোরাল এবং ব্র্যান্ডন ফার্নান্ডেজের দীর্ঘমেয়াদি চোট প্রথম এগারোয় তাদের বারবার পরিবর্তন আনতে বাধ্য করে এবং গুরুত্বপূর্ণ পজিশনগুলিতে পরীক্ষানিরীক্ষাও করে তারা। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই সেই পরীক্ষাগুলি সফল হয়নি।
পাঞ্জাব এফসি- ২৭
গত বারই প্রথম আইএসএলে অংশ নেওয়া পাঞ্জাব এফসি-র শুরুটা এ বার দুর্দান্ত ভাবে হলেও মরশুমের মাঝামাঝি একাধিক পয়েন্ট হারানোর কারণে তারা সেরা ছয়ের বাইরে চলে যায়। এখানেও চোট-আঘাত বড় ভূমিকা পালন করেছে—ফিলিপ ম্রজলিয়াক, লুকা মাজেন, এজিকিয়েল ভিদাল ও ইভান নভোসেলিচ মরশুমের বিভিন্ন সময়ে একাধিক ম্যাচে খেলতে পারেননি। ভবিষ্যতের জন্য একটি ভারসাম্যপূর্ণ দল গঠনের লক্ষ্যে এই মরশুমে অ্যাকাডেমির কয়েকজন খেলোয়াড় যেমন মুহাম্মদ সুহেল, মাংলেনথাং কিপজেন ও পরমবীর সিং-কে স্কোয়াডে অন্তর্ভুক্ত করেন কোচ পানাগিওটিস দিলম্পেরিস।
বেঙ্গালুরু এফসি, নর্থইস্ট ইউনাইটেড এফসি, জামশেদপুর এফসি ও হায়দরাবাদ এফসি- ২৬
এই চার দল পুরো মরশুমে ২৬ জন করে খেলোয়াড় ব্যবহার করেছে। হায়দরাবাদ এফসি ছাড়া অন্যেরা প্লে-অফে জায়গা করে নেয়। দুর্দান্ত মরশুম কাটিয়েছে বেঙ্গালুরু এফসি, যদিও তারা আইএসএল কাপ ফাইনালে জিততে পারেনি। 'হাইল্যান্ডার্স' ও ইস্পাতবাহিনীও সাহসী পারফরম্যান্স দেখিয়ে বহুদিন পর প্লে-অফে জায়গা করে নেয়।