গত মরশুম পর্যন্ত তাঁরা ছিলেন সতীর্থ ও ভাল বন্ধু। কিন্তু এ বার তাঁরা আর একই দলে নেই। একজন দলবদল করায় তাঁরা আজ দুই শিবিরে এবং শুক্রবার যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে আইএসএলের উদ্বোধনী ম্যাচেই মুখোমুখি হবেন লালিয়ানজুয়ালা ছাঙতে ও আপুইয়া।

গত মরশুম পর্যন্ত মুম্বই সিটি এফসি-র হয়ে খেলতেন ভারতীয় দলের দুই নির্ভরযোগ্য মিজো মিডফিল্ডার। কিন্তু এ মরশুমের আগে মোহনবাগান সুপার জায়ান্টে যোগ দিয়েছেন আপুইয়া। মুম্বই ও ভারতীয় দলে অন্যতম প্রিয় সতীর্থরা শুক্রবার যুবভারতীতে মুখোমুখি হতে চলেছেন। সে জন্য রোমাঞ্চিত দুই তারকাই।

ম্যাচের আগে সাংবাদিকদের আপুইয়া বলেন, “ছাঙতে মুম্বই শিবিরে আমার খুব ভাল বন্ধু ছিল। ভারতীয় দলেও ও আমার পছন্দের সতীর্থ। ওকে এই ম্যাচের জন্য শুভেচ্ছা জানাই। তবে অবশ্যই চাইব না ও আমাদের বিরুদ্ধে গোল করুক। আমাদের কাছে কালকের ম্যাচ খুব কঠিন হবে। মুম্বই সিটি এফসি অন্যতম সেরা দল। প্রতিবারই ওরা ট্রফির জন্য লড়াই করে। শুধু ছাঙতে নয়, ওদের দলের সবাই ভাল খেলোয়াড়। তবে আমরা ওদের বিরুদ্ধে খেলার জন্য প্রস্তুতি নিয়েছি। কাল জিততেই নামব”।

আইএসএলে আপুইয়া ও ছাঙতে দুজনে মিলে একসঙ্গে ৪৬টি ম্যাচ খেলেছেন। এর মধ্যে ২৯টি ম্যাচে দলকে জেতান দুই মিজো তারকা। ড্র করেছেন দশটিতে। অর্থাৎ সাফল্যের হার ৬৩ শতাংশ। এই ম্যাচগুলিতে তাদের দল ৯৯টি গোল করেছে। দুই তারকা মোট ১৯টি গোল করেছেন ও ১৩টি গোল করেছেন এবং দু’জনে ৯৮টি গোলের সুযোগ তৈরি করেছেন। ছাঙতে ও আপুইয়া যে দলে একসঙ্গে খেলেন, তারা যে কতটা উপকৃত হয়, তা এই পরিসংখ্যানেই স্পষ্ট।

গত মরশুমে যে দলের বিরুদ্ধে খেলে গিয়েছেন যুবভারতীতে, সেই দলের জার্সি গায়ে এ বার সেই যুবভারতীতেই নামবেন, এই কথা ভেবে যে বেশ উত্তেজিত ২৩ বছর বয়সী মিডফিল্ডার, তা তাঁর কথাতেই বোঝা গেল। বলেন, “গতবছর মুম্বইয়ের হয়ে এখানে খেলেছিলাম। এ বার মুম্বইয়ের বিরুদ্ধে খেলব। অবশ্যই ম্যাচটা আমার কাছে স্পেশ্যাল।। সমর্থকদের সামনে খেলা আমার কাছে বেশ রোমাঞ্চকর। গতবার মোহনবাগান সমর্থকেরা বেশ চাপে ফেলে দিয়েছিল আমাদের। এ বার ওরা আমার জন্য গলা ফাটাবে। এটা আমাকে দারুণ ভাবে উজ্জীবিত করবে”।

অন্যদিকে, ২৭ বছর বয়সী ছাঙতেও তাঁর প্রাক্তন সতীর্থর বিরুদ্ধে খেলা নিয়ে বেশ রোমাঞ্চিত। শুধু বলেন, “গতবছর আমরা সতীর্থ ছিলাম, এ বার আমরা প্রতিপক্ষ। ব্যাপারটা খুব রোমাঞ্চকর। ওর প্রতি শুভেচ্ছা রইল”।

মোহনবাগানের বিরুদ্ধে ম্যাচ নিয়ে তিনি বলেন, “মোহনবাগানের জন্য আলাদা মানসিকতা নিয়ে খেলব না। একই মানসিকতা নিয়ে সব ম্যাচ খেলতে হবে আমাদের। সব ম্যাচেই দল হিসেবে খেলতে হবে। তবে মোহনবাগানকে তো সমীহ করতেই হবে। ওরা কী করতে পারে, তা আমাদের জানতে হবে। মোহনবাগানের বিরুদ্ধে শারীরিক সক্ষমতার চূড়ান্ত জায়গায় তো থাকতেই হবে। তবে ম্যাচের খুঁটিনাটি বিষয়গুলোও খুবই গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠবে। আমরা সে জন্য প্রস্তুত”।