টানা দুই হারের পর এ বার সুপার কাপের গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে জয়ে ফেরার লড়াই কলকাতার ঐতিহ্যবাহী ক্লাব মহমেডান এসসি-র। বুধবার বিকেলে তারা গোকুলাম কেরালা এফসি-র মুখোমুখি হবে বাম্বোলিমের জিএমসি অ্যাথলেটিক স্টেডিয়ামে।

চলতি সুপার কাপে আগের দুটি ম্যাচে বেঙ্গালুরু এফসি এবং পাঞ্জাব এফসি-র বিরুদ্ধে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই করলেও হারের মুখ দেখেছে মহমেডান এসসি। তবে তরুণদের নিয়ে গড়া এই দলটি নিশ্চয়ই এবার জয়ে ফিরতে মরিয়া এবং জয় দিয়েই তাদের অভিযান শেষ করতে চাইবে। প্রধান কোচ মেহরাজউদ্দিন ওয়াডুর তত্ত্বাবধানে এই ম্যাচের জন্য সম্পূর্ণ প্রস্তুত বলে জানিয়েছেন কোচ।

গ্রুপের প্রথম ম্যাচে গত বৃহস্পতিবার তারা বেঙ্গালুরু এফসি-র বিরুদ্ধে লড়াকু ফুটবল খেলে। এক গোলে পিছিয়ে যাওয়ার পরেও প্রতিপক্ষকে চাপে রাখে কোচ মেহরাজউদ্দিন ওয়াডু-র দলের তরুণ ফুটবলাররা। বেঙ্গালুরু এফসি-র কিংবদন্তি ফরোয়ার্ড সুনীল ছেত্রী ও তাঁর সতীর্থদের বেশিরভাগ সময়েই নিজেদের এলাকায় ঢুকতে দেননি সাজ্জাদ হুসেন পারে, মহম্মদ জসিমরা।

ম্যাচের ৩৪ মিনিটে এক গোল করার পর বেঙ্গালুরুর দ্বিতীয় গোল পেতে লেগে যায় আরও ৫০ মিনিটেরও বেশি, তাও পেনাল্টি থেকে এই গোলটি করেন সুনীল। সব মিলিয়ে সে দিন দারুন ফুটবল না খেললেও লড়াইয়ের ইঙ্গিত রাখেন অ্যাডিসন সিং, লালথানকিমা-রা। তবে রবিবারের ম্যাচে সেই লড়াই তাদের করার সুযোগ দেয়নি পাঞ্জাব এফসি। মহমেডান এসসি-কে ৩-০ গোলে কার্যত উড়িয়ে দেয় তারা বিরতির আগেই জোড়া গোলে এগিয়ে যায় পাঞ্জাবের দল। দ্বিতীয়ার্ধে আরও একটি গোল করে মহমেডানকে টুর্নামেন্ট থেকে বিদায়ের রাস্তা দেখিয়ে দেয় তারা।

গোকুলাম কেরালা এফসি-ও মহমেডানের মতো দুই ম্যাচে হেরেছে ও কলকাতার দলের চেয়ে দু’টি গোল বেশি, সাত গোল খেয়েছে। এ ছাড়া ইতিমধ্যেই বিদায় নিশ্চিত হওয়ায় সাদা-কালো বাহিনী পুরোপুরি চাপমুক্ত হয়েই খেলতে পারবে এই ম্যাচে। ফলে কলকাতায় ফেরার আগে হয়তো এই ম্যাচে জিততেও পারে তারা।

এ দিনের দ্বিতীয় ম্যাচটি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। গ্রুপের শীর্ষস্থানীয় দুই দল বেঙ্গালুরু এফসি এবং পাঞ্জাব এফসি এই ম্যাচে মুখোমুখি হবে। দু’পক্ষই ছ’পয়েন্ট করে পেয়ে সেমিফাইনালের দোরগোড়ায় দাঁড়িয়ে রয়েছে। কার্যত কোয়ার্টার ফাইনাল এই ম্যাচে যারা জিতবে, তারাই শেষ চারে পৌঁছে যাবে এবং ফাইনালে ওঠার পথে ইস্টবেঙ্গল এসসি-র মুখোমুখি হবে।