ডুরান্ড কাপ: নবাগত ম্যাক্সিয়নের জোড়া গোলে জয় দিয়ে গ্রুপ পর্ব শেষ মহমেডানের
এই ম্যাচে নামার আগে প্রথম দুই ম্যাচে হারের ফলে গ্রুপ পর্ব থেকে ছিটকেই গিয়েছিল মহমেডান। একই অবস্থা ছিল বিএসএফ-এরও।

অবশেষে ডুরান্ড কাপে জয় পেল মহমেডান এসসি। গ্রুপ ‘বি’-তে তাদের শেষ ম্যাচে বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্স দলকে তারা ৩-০-য় হারিয়ে তিন পয়েন্ট অর্জন করল। এই তিন পয়েন্ট জিতে অবশ্য তাদের কোনও লাভ হল না। কারণ, এই ম্যাচে নামার আগে প্রথম দুই ম্যাচে হারের ফলে তারা গ্রুপ পর্ব থেকে ছিটকেই গিয়েছিল। একই অবস্থা ছিল বিএসএফ-এরও। তারা এ বারের ডুরান্ড কাপে জয়হীনই রয়ে গেল। মহমেডান তিন ম্যাচে তিন পয়েন্ট নিয়ে রয়ে গেল গ্রুপের তিন নম্বরে।
বৃহস্পতিবার দলের নবাগত ফরোয়ার্ড মাহারাবাম ম্যাক্সিয়ন জোড়া গোল করে দলের জয় নিশ্চিত করেন। তার আগে ম্যাচের শুরুতেই পেনাল্টি থেকে গোল করে দলকে এগিয়ে দেন অধিনায়ক সজল বাগ। শুরু থেকেই কলকাতার দল আগের দুই পরাজয়ের হতাশা ভুলে ঘুরে দাঁড়ানোর দৃঢ় সংকল্প নিয়ে মাঠে নামে এবং মাত্র পাঁচ মিনিটের মধ্যেই গোলের খাতা খুলে ফেলে।
অভিজ্ঞ খেলোয়াড় সজল বাগ ঠাণ্ডা মাথায় পেনাল্টি থেকে গোল করে দলকে এগিয়ে দেন। তাঁর আত্মবিশ্বাসী শট বিপক্ষ গোলরক্ষকের জন্য অপ্রতিরোধ্য ছিল। এই গোলটি সীমান্ত বাহিনীকে ধাক্কা দেয় ও সেই সুযোগের পূর্ণ সদ্ব্যবহার করে মহমেডান।
২১তম মিনিটে বিএসএফ গোলকিপার হরপ্রীত সিংয়ের সেভ করা একটি ফিরতি বল থেকে ম্যাক্সিয়ন ক্ষিপ্র ও নিখুঁত ফিনিশে গোল করে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন। ম্যাচ যত এগোতে থাকে, মহমেডানের মাঝমাঠের ত্রয়ী চমৎকার পাসিং ও গতি নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে প্রতিপক্ষের রক্ষণভাগকে ব্যতিব্যস্ত করে তোলে।
৩৫তম মিনিটে আসে প্রথমার্ধের সেরা মুহূর্ত। দলীয় উদ্যোগে আসে তৃতীয় গোল। ডান দিক থেকে নিখুঁত ক্রস আসে বক্সের মধ্যে থাকা ম্যাক্সিয়নের উদ্দেশে। চমৎকার দৃষ্টি ও উপস্থিত বুদ্ধির পরিচয় দিয়ে তিনি নিখুঁতভাবে বল জালে পাঠান। প্রথমার্ধের শেষ দিকে বিএসএফ গোলের সুযোগ পেলেও, কিশোরীর পাসে বল পেয়ে নভজোত সিং তা কাজে লাগাতে ব্যর্থ হন।
দ্বিতীয়ার্ধে বিএসএফ কিছুটা ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করে। মাঝমাঠ থেকে কিশোরী সিং কয়েকটি ভাল মুভমেন্ট তৈরি করেন এবং নভজোত সিং এক দারুণ সুযোগও পান, কিন্তু তাঁর শট লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। বিএসএফ চাপ বাড়ালেও মহমেডানের রক্ষণ অটল থেকে গোল খেতে দেয়নি। বদলি খেলোয়াড় শিবা মান্ডি আক্রমণে নতুন প্রাণের সঞ্চার করে ব্যবধান বাড়ানোর খুব কাছাকাছি পৌঁছে যান, কিন্তু তাঁর শটও অল্পের জন্য বাইরে চলে যায়।
শেষ দিকে মহমেডান খেলায় পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ ধরে রাখে এবং জায়গা কমিয়ে দিয়ে প্রতিপক্ষের আক্রমণ ব্যর্থ করে দেয়। শেষ পর্যন্ত তারা তিন গোলের ব্যবধান ধরে রাখে এবং গ্রুপ পর্বের অভিযান জয় দিয়েই শেষ করে।