অভিষেক সূর্যবংশীর সঙ্গে চুক্তির মেয়াদবৃদ্ধি মোহনবাগান এসজি-র
আন্তোনিও লোপেজ হাবাস মোহনবাগান শিবিরের কোচের দায়িত্বে আসার পর থেকে দলের হয়ে খেলার নিয়মিত সুযোগ পান মহারাষ্ট্র থেকে উঠে আসা অভিষেক।

তরুণ মিডফিল্ডার অভিষেক সূর্যবংশীকে দলে রেখে দিল মোহনবাগান সুপার জায়ান্ট। গত মরশুমের লিগ শিল্ড চ্যাম্পিয়নদের সঙ্গে তিন বছরের চুক্তিতে সই করলেন ২৩ বছর বয়সী এই মিডফিল্ডার। অর্থাৎ, আগামী ২০২৬-২৭ মরশুম পর্যন্ত তিনি সবুজ-মেরুন শিবিরে থাকছেন বলে সরকারি ভাবে জানিয়েছে ক্লাব।
আন্তোনিও লোপেজ হাবাস মোহনবাগান শিবিরের কোচের দায়িত্বে আসার পর থেকে দলের হয়ে খেলার নিয়মিত সুযোগ পান মহারাষ্ট্র থেকে উঠে আসা অভিষেক। আইএসএল ২০২৩-২৪-এর প্রথম ম্যাচে পুরো ৯০ মিনিট খেলার পর দশটি ম্যাচে তাঁকে মাঠে নামানো হয়নি। প্রথম কলকাতা ডার্বির পরে হায়দরাবাদ এফসি-র বিরুদ্ধে তিনি ফের মাঠে নামেন ও পুরো ৯০ মিনিটই খেলেন। এর পরে নিয়মিত তাঁকে মাঠে নামান হাবাস। মোট ১৯টি ম্যাচে স্কোয়াডে ছিলেন অভিষেক। তার মধ্যে আটটি ম্যাচে প্রথম এগারোয় ছিলেন ও চারটি ম্যাচে পরিবর্ত হিসেবে নামেন।
LOCKED IN 🔏
— Mohun Bagan Super Giant (@mohunbagansg) June 7, 2024
We are thrilled to announce Abhishek Suryavanshi has committed his future to Green and Maroon! 🤩
Catch all the #ISL action on @officialjiocinema 👉 https://t.co/8B4Uziht37 📺#MBSG #JoyMohunBagan #আমরাসবুজমেরুন #Abhishek2027 pic.twitter.com/wUoVVJJEA2
বেশিরভাগ ম্যাচে হাবাস তাঁকে হোল্ডিং মিডফিল্ডার হিসেবে ব্যবহার করেছেন। মাঝমাঠে থেকেও তাই রক্ষণেরও দায়িত্ব পালন করেন অভিষেক। মাঠে নেমে মাথা ঠাণ্ডা রেখে খেলতে পারেন তিনি। সেই জন্যই প্রথম এগারোয় জায়গা পান তিনি। গত মরশুমে তাঁর নিখুঁত পাসের হার ছিল ৮৬%। প্রতি ম্যাচে গড়ে ৩৪টি করে পাস দেন অভিষেক। রক্ষণেও যথেষ্ট তৎপরতা দেখান। ৬২ বার বল পুনরুদ্ধার করেন, ২৬টি ইন্টারসেপশন ও ১৫বার ক্লিয়ারেন্স করেন তিনি। দলের লিগ শিল্ড জয়ে গুরুত্বপূর্ণ অবদান ছিল তাঁর। দুটি সেমিফাইনালেই মাঠে নামেন তিনি। তবে ফাইনালে খেলার সুযোগ পাননি। সম্ভবত তারই পুরস্কার হিসেবে সবুজ-মেরুন বাহিনীতে তাঁর চুক্তির মেয়াদ আরও তিন বছর বাড়ল।
এর আগে তরুণ ডিফেন্ডার দীপ্পেন্দু বিশ্বাসকে দলে রেখে দেওয়ার সিদ্ধান্ত ঘোষণা করে মোহনবাগান। ২১ বছর বয়সী দীপ্পেন্দু গত বারই প্রথম আইএসএলে সবুজ-মেরুন জার্সি পরে আইএসএলের আসরে নামেন। পাঁচটি ম্যাচে ২২৩ মিনিট খেলেন তিনি। এবং ভাল লাগার মতো পারফরম্যান্সই দেখান। পাঁচটির মধ্যে দুটি ম্যাচে তিনি প্রথম এগারোতেও ছিলেন। তিনটি ম্যাচে নামেন পরিবর্ত হিসেবে।