রবিবার ঘরের মাঠে কেরালা ব্লাস্টার্সের বিরুদ্ধে ম্যাচের শেষ কয়েক মিনিটে অসংযত আচরণ করে লালকার্ড দেখে মাঠের বাইরে চলে যেতে হয় এটিকে-র কোচ আন্তোনিও লোপেজ হাবাসকে। তাই ম্যাচের পরে সাংবাদিকদেরও মুখোমুখি হননি তিনি। পাঠিয়ে দেন সহকারী কোচ ম্যানুয়েল পেরেজকে। চলতি হিরো আইএসএলে ঘরের মাঠে প্রথম হার নিয়ে তাঁর ব্যাখ্যা, “আমার মনে হয় না কৌশলের দিক থেকে ওরা আমাদের চেয়ে এগিয়ে ছিল। বেশ কয়েকটা সুযোগ নষ্ট করেছে দুই দলই। কয়েকটা কর্নার থেকেও গোল হতে পারত। কিন্তু কিছুই হয়নি। ম্যাচটার ফল আসলে হওয়া উচিত ছিল ০-০। কিন্তু ওরা একটা ভাল গোল করে দেয়। সে জন্য ওদের অভিনন্দন। ফুটবল এ রকমই। যাই ফল হোক না কেন, মেনে নিতে হয়। এখন আমাদের পরের ম্যাচে ফোকাস করতে হবে”।

পরবর্তী ম্যাচ লিগ শীর্ষে থাকা এফসি গোয়ার বিরুদ্ধে। সে ম্যাচে মাঠে থাকতে পারবেন না হাবাস। গ্যালারিতে বসে খেলা দেখতে হবে তাঁকে। এর প্রভাব দলের ওপর পড়বে কী না, জিজ্ঞেস করলে পেরেজ বলেন, “কোচ ম্যাচে না থাকলেও ট্রেনিংয়ে তো থাকবেন। ওঁর অভাব অবশ্যই অনুভব করব। তবে উনি আমাদের এও জানি যে, উনি যথাসাধ্য পারামর্শ দিয়ে সাহায্য করবেন।  গোয়ার বিরুদ্ধে ম্যাচটা সোজা হবে না। ওরা এক নম্বরে থাকা টিম। আর হেড কোচের না থাকাটাই হয়তো আমাদের দলের সবচেয়ে বড় মোটিভেশন হতে চলেছে ওই ম্যাচে”।

রবিবারের ম্যাচে অগাস্টিন ইনিগেজকে বসিয়ে জয়েশ রানেকে নামানো হয় ও ভিক্টর মনজিলকে নীচের দিকে নামিয়ে আনা হয়। এই সিদ্ধান্ত অনেকের কাছে অপ্রত্যাশিত মনে হলেও পেরেজ এতে কোনও ভুল দেখছেন না। বলেন,  “অগাস্টিনের পায়ে সমস্যা হচ্ছিল হাফ টাইমে। এমন সম্ভাবনার কথা জানা ছিল আমাদের। তাই তার পরিবর্ত আমাদের তৈরিই ছিল। ফুটবলে এমন হতেই পারে। এমন হলে যে ভিক্টরকে নীচের দিকে নামতে হতে পারে, তাও ঠিক ছিল। কারণ, ও সেটা পারে”।

কেরালা ব্লাস্টার্সের কাছে এই লিগে দ্বিতীয় হার এটিকে-র। ২০১৬-র পর থেকে এই দলটাকে কখনও হারাতে পারেনি কলকাতার দল। সেই প্রসঙ্গে পেরেজ বলেন, “কেরালা যে ভাল খেলবে, তা প্রত্যাশিতই ছিল। ওদের দলে ভাল খেলোয়াড় আছে, স্ট্রাইকার আছে, কেন ভাল খেলবে না? সেই মতো আমরাও প্রস্তুত ছিলাম। তবে দুই দলই প্রচুর সুযোগ নষ্ট করেছে। দিনটা আমাদের খারাপ গিয়েছে। গোয়ার বিরুদ্ধেও কঠিন ম্যাচ হবে। তবে এটাই তো ভাল ফুটবল। তীব্রতা, উত্তেজনা, প্রতিযোগিতা সবই ছিল আজকের ম্যাচে। দুর্ভাগ্য যে আমরা হেরে গেলাম”।

অন্য দিকে ব্লাস্টার্সের কোচ এলকো শাতোরি বলেন, ম্যাচের আগেই জানতে পারি জুইভারলুনকে পাচ্ছি না। এটা সমস্যা বাড়িয়ে দেয়। এই সমস্যায় অবশ্য শুরু থেকেই পড়েছি। তবু আমরা অনেকগুলো সুযোগ পেয়েছি। আমাদের বল পজেশনও ভাল ছিল। মুহামাদু তো গোলটা করেই ফেলেছিল। টিম স্পিরিট ও ফাইটিং স্পিরিট ফিরে আসছে দলে, এটা খুব ভাল ব্যাপার”।

গোলদাতা হলিচরণকে নিয়ে শাতোরি বলেন, “পেশাদার ফুটবলারদের জানতে হয়, হতাশা কাটিয়ে কী ভাবে স্বাভাবিক খেলায় ফিরে আসতে হয়। হলিচরণ সেই ধরনের ফুটবলার। ওর গোলটা দুর্দান্ত”।