ক্লান্তির জন্যই মহেশ, নন্দদের প্রথম দলে রাখা হয়নি, ব্যাখ্যা কুয়াদ্রাতের সহকারী জর্জের
“বিষ্ণু প্রথমে গোল পেয়ে যাওয়ায় ওর আত্মবিশ্বাসও বেড়ে যায়। আমরা একটা প্রকল্প নিয়ে কাজ করছি। যা যা ভুল হচ্ছে, সেগুলো শোধরানোর চেষ্টা করছি”।
ওডিশা এফসি-র কাছে হেরে গেলেও ছ’নম্বরে থেকে শেষ করার আশা ছাড়তে রাজি নয় ইস্টবেঙ্গল শিবির। এর আগে একাধিক ম্যাচে হেড কোচ কার্লস কুয়াদ্রাত যা বলেছেন, বৃহস্পতিবার ভুবনেশ্বরে ওডিশার কাছে ১-২-এ হারার পরে দলের সহকারী কোচেদের অন্যতম বিনো জর্জের মুখেও একই কথা শোনা গেল।
এ দিন পিভি বিষ্ণু ৩২ সেকেন্ডের মাথায় একক দক্ষতায় দুর্দান্ত এক গোল করে দলকে এগিয়ে দিলেও তাঁর এই মনে রাখার মতো গোল দলের কাজে আসেনি। ৪০ মিনিটের মাথায় পেনাল্টি থেকে গোল করে সমতা আনেন ওডিশার দলের ব্রাজিলীয় ফরোয়ার্ড দিয়েগো মরিসিও ও ৬১ মিনিটের মাথায় কর্নার থেকে গোল করে দলকে জয় এনে দেন ম্যাচের সেরা প্রিন্সটন রেবেলো। এই নিয়ে টানা দশটি হোম ম্যাচে অপরাজিত রইল ওডিশা এফসি।
কুয়াদ্রাতের অন্যতম সহকারী জর্জ অবশ্য এই হারকে অতটা নেতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি দিয়ে দেখতে চান না। তিনি ম্যাচের পরে সাংবাদিকদের বলেন, “ব্যাপারটাকে আমি সে ভাবে ভাবছি না। আমাদের নতুন খেলোয়াড় অনেকেই এসেছে। যেমন বিষ্ণু, সুহের। বিষ্ণু প্রথমে গোল পেয়ে যাওয়ায় ওর আত্মবিশ্বাসও বেড়ে যায়। আমরা একটা প্রকল্প নিয়ে কাজ করছি। যা যা ভুল হচ্ছে, সেগুলো শোধরানোর চেষ্টা করছি”।
দ্বিতীয়ার্ধে রিজার্ভ বেঞ্চ থেকে নাওরেম মহেশ, নন্দকুমার শেকর, শৌভিক চক্রবর্তীর নামার পরে ইস্টবেঙ্গলের আক্রমণের তীব্রতা ও গতি অনেকটাই বাড়ে। কিন্তু দ্বিতীয়ার্ধে যে পারফরম্যান্স দেখায় তারা, তা যদি প্রথমার্ধে দেখাতে পারত, তা হলে বোধহয় ম্যাচের ছবিটা অন্যরকম হত। ৯০ মিনিটে ওডিশা যেখানে ১৫টি গোলের সুযোগ তৈরি করে, সেখানে ইস্টবেঙ্গল ১০টি গোলের সুযোগ তৈরি করে। কিন্তু এর মধ্যে বেশিরভাগই ছিল দ্বিতীয়ার্ধে। প্রথম এগারোয় পাঁচ-পাঁচটি বদল আনার সিদ্ধান্তেরই মাশুল কার্লস কুয়াদ্রাতের দলকে এ দিন দিতে হয়।
প্রথম দলে এতগুলি পরিবর্তনের ব্যাখ্যা দিয়ে জর্জ বলেন, “তিন দিন আগেই আমরা চেন্নাইনের বিরুদ্ধে একটা কঠিন ম্যাচ খেলেছি। তাই যারা সে দিন খেলেনি, তাদের এই ম্যাচে নামানোরই পরিকল্পনা ছিল আমাদের। তা সত্ত্বেও ওডিশার চেয়ে আমরা বেশি গোলের সুযোগ তৈরি করেছি। পরপর ম্যাচ খেলার ব্যাপারটা আইএসএলের নিয়মের মধ্যেই পড়ে। আমাদের তা মানতেই হবে। কিছু করার নেই”।
ওডিশার কাছে হেরে তাদের সেরা ছয়ে যাওয়ার রাস্তা আবার বেশ কঠিন হয়ে গেল। ইস্টবেঙ্গলের পরবর্তী তিনটি ম্যাচ এফসি গোয়া, মোহনবাগান এসজি ও কেরালা ব্লাস্টার্সের বিরুদ্ধে। অর্থাৎ, এই তিন ম্যাচেই তাদের সামনে কঠিন প্রতিপক্ষ। এই ম্যাচগুলিতে অসাধ্য সাধন করার চ্যালেঞ্জ নিয়ে মাঠে নামতে হবে ক্লেটন সিলভাদের।
তবে এখনও আশা শেষ হয়ে যায়নি বলেই মনে করেন বিনো জর্জ। তিনি বলেন, “এখনও অনেক (পাঁচটি) ম্যাচ খেলা বাকি আছে। আমরা চেষ্টা করে যাচ্ছি। পরিশ্রম করছি। সেরা ছয়ে থাকাই লক্ষ্য আমাদের। সেই লক্ষ্যেই মনোনিবেশ করছি”।