ভারতের ম্যাচে বলবয় থেকে সুনীল ছেত্রীর সতীর্থ, স্বপ্নের ফুটবল অভিযানে রোমাঞ্চিত সুহেল ভাট
সুনীল ছেত্রী যখন ভারতের হয়ে প্রথম গোল করেন, তখন সুহেলের বয়স মাত্র দু’মাস। সেই সুনীল ছেত্রীর সঙ্গে এখন একই ড্রেসিংরুমে থাকার সুযোগ পেয়েছেন। স্বাভাবিক ভাবেই বেশ উত্তেজিত তিনি।
কাশ্মীরের আবহ নিয়ে কাশ্মীরিরা যতই দুশ্চিন্তায় থাকুক, একজনকে নিয়ে তারা বেশ খুশি। তিনি সুহেল আহমেদ ভাট, যিনি সবুজ-মেরুন জার্সি গায়ে বাংলার মানুষের মন ভরানোর পর এ বার ভারতীয় সিনিয়র দলের জার্সি গায়ে মাঠে নামার জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছেন। তাঁর সঙ্গে অপেক্ষায় রয়েছে তাঁর রাজ্যের মানুষেরাও। ":0,"335559740":256}"="">
ভারতীয় ফুটবল দলে কাশ্মীরের ফুটবলার অবশ্য প্রথম নয়, এর আগেও খেলেছেন একাধিক ফুটবলার। ১৯৮০-র দশকে আবদুল মজিদ কাকরু এবং মুশির আহমেদের পরে, ২০০৫ থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত মেহরাজউদ্দিন ওয়াডু এবং ২০২২ সালে দানিশ ফারুক ভাটও খেলেছেন দেশের হয়ে। ভারতের আসন্ন জোড়া ম্যাচগুলিতে যদি খেলার সুযোগ পান সুহেল, তা হলে জম্মু ও কাশ্মীর থেকে জাতীয় দলে খেলা ফুটবলারদের তালিকায় পঞ্চম খেলোয়াড় হবেন। এটা শুধু তাঁর স্বপ্ন নয়, সারা কাশ্মীরের স্বপ্ন বলা যায়।":0,"335559740":256}"="">
এর আগে অনূর্ধ্ব ১৬, ১৯, ২৩ ভারতীয় দলের হয়ে খেলেছেন শ্রীনগরের বেমিনা অঞ্চল থেকে দ্রুত উঠে আসা এই ফুটবলার। কিন্তু সিনিয়র দলের হয়ে খেলার সুযোগ হয়নি কখনও। ২০২২-এ সারা বিশ্বের সেরা ৬০জন উদীয়মান ফুটবলারের যে তালিকা প্রকাশ করেছিল ‘গার্ডিয়ান’, তাতে জায়গা করে নিয়েছিলেন সুহেল। অবশেষে ভারতীয় শিবিরে ডাক পেয়ে রোমাঞ্চিত তিনি। ":0,"335559740":256}"="">
“প্রতিটি জুনিয়র দলে, সে বিবিয়ানো (ফার্নান্ডেজ) স্যারের অধীনে অনূর্ধ্ব-১৬ হোক, (শুভেন্দু) পান্ডা স্যারের অধীনে অনূর্ধ্ব-১৯ হোক বা ক্লিফোর্ড (মিরান্ডা) স্যারের অধীনে অনূর্ধ্ব-২৩ — সবাই আমাকে বলেছিলেন যেন সিনিয়র দলে ডাক পাওয়াকেই আমার লক্ষ্য হিসেবে স্থির করি। সামনেই সেই পরবর্তী ধাপ। সেই লক্ষ্য পূরণের জন্য আমি নিজেকে আরও উন্নত করতে চাই”, ভারতীয় ফুটবল ফেডারেশনের ওয়েবসাইটকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেছেন মোহনবাগান সুপার জায়ান্টের তরুণ ফরোয়ার্ড। ":0,"335559740":256}"="">
এই পর্যায়ে পৌঁছনোর আগে বয়সভিত্তিক দলগুলিতে যে তিনি অনেক কিছু শিখেছেন, তা স্বীকার করে নিয়ে সুহেল বলেন,“এই কোচেদের অধীনে আমি অনেক কিছু শিখেছি। শুধু খেলার দিক থেকে নয়, শৃঙ্খলার দিক থেকেও। প্রতিটি অনুশীলন, খাবার, টিম মিটিং এবং জিম সেশনের আগে সময় মতো উপস্থিত থাকা — এই জিনিসগুলো অনেক গুরুত্বপূর্ণ। আমি মনে করি, আমার মানসিকতাই আমার সবচেয়ে বড় শক্তি। যদি আমি একটি শট মিস করি, আমি পরেরটার জন্য আবার চেষ্টা করি। ওখানেই থেমে যাই না”।":0,"335559740":256}"="">
একটা সময়ে মাঠে থাকতেন বলবয় হিসেবে। সে ২০১৯-এর কথা। ভারতীয় দল ও জম্মু-কাশ্মীর অলস্টার দলের মধ্যে ম্যাচে বলবয়ের ভূমিকায় ছিলেন সুহেল। সেই ছেলেটি এখন ভারতীয় দলের তারকা ফুটবলারদের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে অনুশীলন করছেন। ২০০৫-এ সুনীল ছেত্রী যখন ভারতের হয়ে প্রথম গোল করেন, তখন সুহেলের বয়স মাত্র দু’মাস। সেই সুনীল ছেত্রীর সঙ্গে এখন একই ড্রেসিংরুমে থাকার সুযোগ পেয়েছেন। স্বাভাবিক ভাবেই বেশ উত্তেজিত তিনি। ":0,"335559740":256}"="">
২০ বছর বয়সী ফরোয়ার্ড বলেন, "এখন আমি ছেত্রী ভাইয়ের সঙ্গে একই দলে আছি। তিনি ২০ বছর ধরে খেলছেন। তাঁর মানসিকতা এবং দীর্ঘ কেরিয়ার আমার মতো একজন তরুণ খেলোয়াড়কে যথেষ্ট অনুপ্রেরণা জোগায়। ছেত্রী ভাই আমার সঙ্গে কথা বলেন, আমাকে শেখান। তিনি আমাকে প্রতিদিন অনুপ্রাণিত করেন, মাঠের ভিতরে ও বাইরে। যদি তিনি জিমে ১০ মিনিট আগে পৌঁছন, আমি চেষ্টা করি ১৫ মিনিট আগে পৌঁছাতে"। ":0,"335559740":256}"="">
আইএসএলে গত মরশুমে ১২৭ মিনিট ও তার আগের মরশুমে ৭০ মিনিট মাঠে থেকেছেন সুহেল। এই অল্প সময়েই ভারতীয় কোচ মানোলো মার্কেজের নজর কাড়েন তিনি। ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডোর ভক্ত এই ফরোয়ার্ড ভারতীয় দলের গোলখরার মধ্যে আশার আলো দেখাতে পারবেন কি না, এটাই এখন সবচেয়ে বড় প্রশ্ন। এটাই এখন সুহেলের কাছে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। ":0,"335559740":256}"="">
আগামী ১০ জুন হংকংয়ের কাওলুন সিটিতে এএফসি এশিয়ান কাপ ২০২৭ বাছাই পর্বের ম্যাচে হংকংয়ের মুখোমুখি হবে ভারত, যা তাদের পক্ষে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ হতে চলেছে। এই ম্যাচের প্রস্তুতির অঙ্গ হিসেবে বুধবার তারা থাইল্যান্ডের পাতুম থানিতে একটি প্রীতি ম্যাচ খেলবে সে দেশের জাতীয় দলের বিরুদ্ধে।":0,"335559740":256}"="">
এশিয়ান কাপ বাছাই পর্বে ভারতের গ্রুপে রয়েছে হংকং, সিঙ্গাপুর ও বাংলাদেশ। বাছাই পর্বে মোট ২৪টি দলকে ছ’টি গ্রুপে ভাগ করা হয়েছে। প্রতি গ্রুপের এক নম্বর দলগুলি মূলপর্বে উঠবে, যেখানে ইতিমধ্যেই ১৮টি দল জায়গা পাকা করে ফেলেছে। ভারত রয়েছে ‘সি’ গ্রুপে।":0,"335559740":256}"="">
এই গ্রুপে ভারতই (১২৬) ফিফা ক্রমতালিকায় সবার ওপরে থাকা দল। হংকং রয়েছে ১৫৫ নম্বরে, সিঙ্গাপুর ১৬০-এ ও বাংলাদেশ ১৮৫। তবে প্রথম ম্যাচেই ভারত হোঁচট খেয়েছে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে গোলশূন্য ড্র করে। গ্রুপে থাকা অপর দুই দল হংকং ও সিঙ্গাপুর-ও তাদের ম্যাচে গোলশূন্য ড্র করে। ফলে গ্রুপের প্রতিটি দলই একই জায়গায় রয়েছে। এ বার হংকংয়ের বিরুদ্ধে আসন্ন ম্যাচে ভারতকে জয়ের সংকল্প নিয়েই নামতে হবে। ":0,"335559740":256}"="">













