মাঝে আর মাত্র তিনটে দিন। তার পরেই ভারতীয় ফুটবলের সেই মহাদ্বৈরথ দেখতে পাবেন ফুটবলপ্রেমীরা। এটিকে মোহনবাগান বনাম এসসি ইস্টবেঙ্গল। ডার্বির শতবর্ষে কেমন হবে তাদের লড়াই, সে তো সময় জানে। কিন্তু ইতিমধ্যেই তা নিয়ে জল্পনা শুরু হয়ে গিয়েছে ফুটবল মহলে।

কারা এগিয়ে, কারা পিছিয়ে। কার প্রস্তুতি কেমন। কে কোথায় দাঁড়িয়ে— এইসব প্রশ্নে এখন সরগরম বঙ্গের অলিগলি। রক মাতাচ্ছেন দুই দলের সমর্থকেরা। আড্ডাগুলো দু’ভাগে ভাগ হতে শুরু করে দিয়েছে ইতিমধ্যেই। যেগুলো এখনও ভাগ হয়নি, সেগুলোতে রোজ উঠছে ঝড়। সোশ্যাল মিডিয়া তো সবসময়ই সরগরম। শনিবার রাতে কাদের মুখের হাসি বেঁচে থাকবে, তা এখনই আন্দাজ করা কঠিন। তবু বিতর্ক থামা নেই।  

স্বাভাবিক ভাবেই হিরো আইএসএলে কলকাতা ডার্বিই জনপ্রিয়তার শীর্ষে। গত বছরেই দেশের এক নম্বর ফুটবল লিগে প্রথমবার মুখোমুখি হয় সবুজ-মেরুন ও লাল-হলুদ বাহিনী। রেকর্ডসংখ্যক দর্শক সেই ম্যাচ দেখেন টিভি ও ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে। এ বারের ডার্বির আবহ যখন তৈরি হয়েই গিয়েছে, তখন ফিরে যাওয়া যাক গত মরশুমের ডার্বির দিনগুলোতে।

প্রথম ডার্বি, এসসি ইস্টবেঙ্গল বনাম এটিকে মোহনবাগান

২৭ নভেম্বর, ২০২০, তিলক ময়দান স্টেডিয়াম, ভাস্কো 

এ বারের মতো গতবারও প্রথম ডার্বি হয়েছিল একই দিনে, ২৭ নভেম্বর। সেটাই ছিল এসসি ইস্টবেঙ্গলের প্রথম হিরো আইএসএল ম্যাচ। অন্য দিকে এটিকে মোহনবাগানের কাছে সেটি ছিল লিগের দ্বিতীয় ম্যাচ। প্রথম ম্যাচে কেরালা ব্লাস্টার্সকে এক গোলে হারানোর পরে স্বাভাবিক ভাবেই সবুজ-মেরুন শিবির ছিল আত্মবিশ্বাসী। আর প্রথম ম্যাচই চিরপ্রতিদ্বন্দী দলের বিরুদ্ধে হওয়ায় এসসি ইস্টবেঙ্গল ছিল নার্ভাস।

বিশেষজ্ঞদের ভবিষ্যদ্বাণী

নব কলেবরে মাঠে নামা কলকাতার দুই প্রধানের ম্যাচ মানেই প্রাক্তন তারকাদের বিশেষজ্ঞ হিসেবে চাহিদা বাড়ে। ফুটবলপ্রেমীরা শুনতে চান, কারা কাকে এগিয়ে রাখছেন, কার কোথায় গলদ, কোথায় শক্তি। গতবারেও তার ব্যতিক্রম হয়নি। ভারতীয় ফুটবলের অন্যতম সেরা তারকা বাইচুং ভুটিয়া সেই প্রথম ডার্বি নিয়ে মন্তব্য করেন, “হিরো আইএসএলের প্রথম ডার্বিতে আমি এটিকে মোহনবাগানকেই এগিয়ে রাখব। প্রস্তুতির দিক থেকে ওরা এগিয়ে আছে। কোচ হাবাস ভারতীয় ফুটবলে অনেক দিন ধরেই আছেন। ভারতীয় ও বিদেশি ফুটবলারদের সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা আছে ওঁর”।

বরাবর ইস্টবেঙ্গলের ঘরের ছেলে বলে পরিচিত মনোরঞ্জন ভট্টাচার্য-র ভবিষ্যদ্বানী ছিল, “ফাউলার এই দলের বিদেশিদের নিজে বাছাই করেছেন তাদের খেলা দেখে, বায়োডাটা দেখে নয়। এদের মধ্যে তিনজন ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে খেলা ফুটবলার রয়েছেন। অন্যরা এ-লিগে খেলত। যে দলে ভাল বিদেশি ফুটবলার আছে, তারাই আইএসএলে সফল হয়।”

আশির দশকের আর এক লাল-হলুদ তারকা বিকাশ পাঁজি বলেছিলেন, এই ধরনের ম্যাচে ফারাক গড়ে দেয় অভিজ্ঞতা ও লড়াই করার ক্ষমতা। যে দলের সেটা ভাল, তারাই সফল হবে। এটিকে মোহনবাগানকে আমি এগিয়ে রাখছি অঙ্ক ও যুক্তিতে। মন কিন্তু চাইছে ইস্টবেঙ্গলই জিতুক।

মোহনবাগানে খেলা তারকা স্ট্রাইকার শিশির ঘোষ সেই ম্যাচের আগে বলেছিলেন, রয় কৃষ্ণাকে প্রথম ম্যাচে দেখে পুরো ফিট মনে হল না। প্রীতমদের সঙ্গে সন্দেশ ঝিঙ্গনকে রক্ষণে নেতৃত্ব দিয়ে খেলতে দেখলাম। অনেকটা আমাদের সময়ে সুব্রত ভট্টাচার্য, মনোরঞ্জন ভট্টাচার্যদের মতো। ডার্বিতেও এ রকম দেখতে চাই

কোচেদের আগাম বার্তা

আন্তোনিও লোপেজ হাবাস: এটা স্পেশ্যাল ম্যাচ হতে পারে। কিন্তু সে ম্যাচের আগে ও পরে। ম্যাচের সময় আর পাঁচটা ম্যাচের মতোই। তবে কলকাতায় এই ম্যাচটাকে কতটা গুরুত্ব দেওয়া হয় ও সমর্থকেরা কী চায়, সবই জানি। সমর্থকদের শ্রদ্ধা করি এবং তাঁদের চাহিদা অনুযায়ী ফল করার চেষ্টা অবশ্যই করব। ফুটবল ৯০ মিনিটের খেলা। কেউই ম্যাচের আগে জানে না স্কোর কী হবে। তাই চাপের দিক থেকে কে এগিয়ে বা পিছিয়ে, তা বলা যায় না। তা ছাড়া পেশাদার ফুটবলাররা এ সব চাপ-টাপ মাঠের বাইরে রেখেই খেলতে নামে। আমাদের ফুটবলাররাও সে রকমই।

রবি ফাউলার: এটিকে মোহনবাগানের বিরুদ্ধে খেলছি বলে নয়। এটা আমাদের দলের প্রথম ম্যাচ বলেই আমার কাছে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। ভারতীয় ফুটবলের অন্যতম সেরা ম্যাচ এটা। আমাদের দলটা ঠিক কেমন, তা সবাইকে বুঝিয়ে দেওয়ার এর চেয়ে বড় সুযোগ আর কিছুই হতে পারে না। এই ম্যাচেই বোঝা যাবে আমাদের দলের বৈশিষ্ট কী আর আমাদের প্রস্তুতি ঠিক কেমন হয়েছে। প্রস্তুতির দিক থেকে আমরা অন্য সব দলের থেকেই হয়তো পিছিয়ে রয়েছি। এটিকে মোহনবাগান ইতিমধ্যেই একটা ম্যাচ খেলে ফেলেছে। যেখানে আমরা পিছিয়ে। আমরা মাঠে নেমে কী কী করতে পারি, সেই ধারণা এখন কারও নেই। দুর্দান্ত একটা ধারণা সবাইকে দিতে হবে। যেন দৃষ্টান্ত স্থাপন করার মতো পারফরম্যান্স দেখাতে পারে আমাদের ছেলেরা।

ম্যাচে যা হয়েছিল

৪৯ মিনিটে রয় কৃষ্ণা ও ৮৫ মিনিটে মনবীর সিংয়ের দুর্দান্ত দুই গোলে চিরপ্রতিদ্বন্দীদের হারায় সবুজ-মেরুন শিবির। প্রথম ম্যাচে শুরুর দিকে যে সমস্যা হয়েছিল আন্তোনিও লোপেজ হাবাসের দলের, সাত-আট মাস পরে ম্যাচে নেমে সেই সমস্যায় সে দিন পড়তে হয় এসসি ইস্টবেঙ্গলের ফুটবলারদেরও। কিন্তু সেই জড়তা কাটিয়ে উঠে যে ভাবে জয়ে ফিরতে পেরেছিল এটিকে মোহনবাগান, তাদের চিরপ্রতিদ্বন্দী ক্লাব কিন্তু তা করতে পারেনি। বিপক্ষের কড়া ডিফেন্সের দুর্ভেদ্য দেওয়াল ভেঙে গোল করার সে রকম সুযোগ তৈরি করতে পারেনি তারা। ৫৮ শতাংশ বল পজেশন থাকলেও ম্যাচের দখল নিতে পারেনি এসসি ইস্টবেঙ্গল।

এটিকে মোহনবাগান সেদিন মাঠে দল সাজিয়েছিল ৩-৫-২-এ। প্রথম ম্যাচে চোট পেয়ে লিগ থেকে প্রায় ছিটকে যাওয়া মাইকেল সুসাইরাজের জায়গায় জয়েশ রানেকে মাঝমাঠে রেখে এবং আক্রমণে রয় কৃষ্ণার সঙ্গে ডেভিড উইলিয়ামসকে রেখে। অন্য দিকে, এসসি ইস্টবেঙ্গলের কোচ রবি ফাউলার তাঁর দল সাজান ৪-২-৩-১-এ। গোলে অভিজ্ঞ দেবজিৎ, রক্ষণে দুই কঠিন বিদেশি প্রহরী স্কট নেভিল ও ড্যানিয়েল ফক্সকে রেখে। পাঁচ মিডফিল্ডারের মধ্যে অ্যান্থনি পিলকিংটন ও জাক মাঘোমা আক্রমণাত্মক ভূমিকায় ও সঙ্গে ফরোয়ার্ড বলওয়ন্ত সিং।

প্রথম ২০ মিনিটে বেশির ভাগ সময় হলুদ শিবিরের দখলেই ছিল বল (৬০-৪০)। ডানদিকের উইং দিয়ে নবাগত সুরচন্দ্র সিং বল নিয়ে ওঠার চেষ্টা করছিলেন বারবার। শুরুর দিকে আক্রমণের প্রবণতা বেশির ভাগই দেখা যায় এসসি ইস্টবেঙ্গলের মধ্যে। ওই সময়ে হয়তো বিপক্ষকে পরখ করে নিচ্ছিলেন আন্তোনিও লোপেজ হাবাসের দলের ছেলেরা। ২৫ মিনিটের পর থেকে আক্রমণে ওঠার চেষ্টা শুরু করে সবুজ মেরুন শিবির। এই সময় থেকেই নিজেদের গোলের মুখ বন্ধ রেখে আক্রমণে ওঠার পরিকল্পনা দেখা যায়  দুই দলের মধ্যেই। অর্থাৎ, কৌশলের আসল লড়াই দেখা যায় প্রথমার্ধের মাঝামাঝি সময়ের পর থেকেই। ৩৬ মিনিটে থ্রো ইনে পাওয়া বলে বক্সের বাঁ দিক থেকে নেওয়া হাভিয়ে হার্নান্ডেজের গোলমুখী শট দুর্দান্ত ভাবে ডাইভ দিয়ে বাঁচান এসসি ইস্টবেঙ্গল গোলকিপার দেবজিৎ। পরের মিনিটেই সুরচন্দ্রের ক্রস থেকে বক্সের মধ্যে সুবর্ণ সুযোগ পেয়ে গিয়েছিলেন বলওয়ন্ত। কিন্তু ঠিকমতো পা ছোঁয়াতে পারেননি তিনি। দুই দলেরই রক্ষণ সে দিন বিপক্ষের আক্রমণকারীদের রোখার জন্য যথেষ্ট তৎপর ছিল।

প্রথম ৪৫ মিনিটে এটিকে মোহনবাগানের তারকা স্ট্রাইকার জুটি রয় কৃষ্ণা ও ডেভিড উইলিয়ামসকে দেখে কিন্তু একবারও মনে হয়নি তাঁরা স্বচ্ছন্দে ছিলেন। তবে দ্বিতীযার্ধের শুরুতেই খোলস ছেড়ে বেরিয়ে আসেন ফিজির তারকা এবং ৪৯ মিনিটের মাথায় বক্সের মাথা থেকে দুর্দান্ত শটে গোল করে এগিয়ে দেন দলকে। বাঁদিকের উইং দিয়ে জয়েশ রানে আক্রমণটি তৈরি করে প্রথমে দেন ফাঁকায় থাকা হার্নান্ডেজকে। তিনি বিপক্ষের এক ডিফেন্ডারকে বোকা বানিয়ে পাস দেন রয়কে এবং নিখুঁত ভাবে কাজটা শেষ করেন তিনি। ড্যানিয়েল ফক্স তাঁকে আটকানোর চেষ্টা করেও পারেননি। তাঁর পায়ের তলা দিয়েই রয় দূরপাল্লার শটে ঝড়ের গতিতে বল পাঠান সোজা গোলে।

সে বার হিরো আইএসএলে অন্যতম সেরা রক্ষণ ছিল এটিকে মোহনবাগানের। সে দিন তা প্রমাণ করে দেন সবুজ-মেরুন ডিফেন্ডাররা। তাঁদের তৎপরতায় গোলকিপার অরিন্দম ভট্টাচার্যকে ৭০ মিনিট পর্যন্ত মাত্র একটি বল সেভ করতে হয়। অন্য দিকে, দেবজিৎকে কিন্তু এ দিন অনেক বেশি পরীক্ষার মুখোমুখি হতে হয় এবং মাত্র একবার ছাড়া তিন প্রতিবারই পাশ করে যান। গোল পেয়ে যাওয়ার পরে যে ভাবে নিজেদের সামনে দেওয়াল তুলে দেয় এটিকে মোহনবাগান, তাতে এসসি ইস্টবেঙ্গেলের পক্ষে বিপক্ষের গোলমুখ খোলা বেশ কঠিন হয়ে পড়ে। পিলকিংটন, মাঘোমারা বারবার বল নিয়ে উঠেও সফল হননি। এসসি ইস্টবেঙ্গলের হতাশা বাড়িয়ে তুলতে ৮৫ মিনিটে অসাধারণ একটি গোল করেন মনবীর সিং। ডান দিকের উইং দিয়ে উঠে নিজেই গোল তৈরি করে কোনাকুনি শটে দর্শনীয় গোলটি করেন মনবীর।

প্রথম ডার্বির লাইন-আপ

এটিকে মোহনবাগান দল: অরিন্দম ভট্টাচার্য (গোল), প্রীতম কোটাল, তিরি, সন্দেশ ঝিঙ্গন, প্রবীর দাস (সুমিত রাঠি), শুভাশিস বসু, হাভিয়ে হার্নান্ডেজ (গ্লেন মার্টিন্স), কার্ল ম্যাকহিউ, জয়েশ রানে (প্রণয় হালদার), রয় কৃষ্ণা (ব্র্যাড ইনম্যান), ডেভিড উইলিয়ামস (মনবীর সিং)।

এসসি ইস্টবেঙ্গল দল: দেবজিৎ মজুমদার (গোল), স্কট নেভিল, রানা ঘরামি (অভিষেক অম্বেকর), ড্যানিয়েল ফক্স, নারায়ণ দাস, ম্যাটি স্টাইনমান, লোকেন মেতেই (ওয়াহেংবাম লুয়াং) , সুরচন্দ্র সিং, অ্যান্থনি পিলকিংটন, জাক মাঘোমা, বলওয়ন্ত সিং। 

ম্যাচের পরে কোচ-বার্তা

হাবাস: এই জয়ে আমি খুবই খুশি। দারুণ খেলেছে ছেলেরা। খুব খেটেছে। প্রথম ৪৫ মিনিট আমরা সেরা জায়গায় ছিলাম না। তবু গোলশূন্য রাখতে পেরেছি। ম্যাচটা তো ৯০ মিনিটের। ৯০ মিনিট পরে ফল ২-০। এটাই তো আসল। প্রথম দিকে রক্ষণ বেশি হয়েছে তো পরের দিকে আক্রমণে উঠেছি। ফুটবল তো রক্ষণ ও আক্রমণ নিয়েই হয়। শুধু রক্ষণ বা শুধু আক্রমণ তো আর সম্ভব নয়। সব মিলিয়ে যে আমরা প্রতিপক্ষের চেয়ে অনেক এগিয়ে ছিলাম। স্কোরেই সেটা প্রমাণ হয়েছে। দ্বিতীয়ার্ধে ছেলেদের বলি বিপক্ষকে আরও চাপে ফেলতে। ওদের আরও আক্রমণাত্মক হওয়ার পরামর্শ দিই। প্রথমার্ধে এই জায়গাটাই আমাদের ঠিক হচ্ছিল না। সাত-আট মাস পরে মাঠে নেমে শুরু থেকেই মানিয়ে নিতে একটু তো অসুবিধা হবেই।

ফাউলার: এটিকে মোহনবাগানের আধিপত্য ছিল, এটা মানতে পারছি না। প্রথমার্ধে আমরা ওদের চেয়ে অনেক এগিয়ে ছিলাম। দ্বিতীয়ার্ধে ওরা যে সুযোগগুলো পেয়েছে, সেগুলো কাজে লাগিয়ে নিয়েছে, যেটা আমরা পারিনি। তাই বলে ওরা আধিপত্য করেছে, এটা ঠিক নয়। হারের পরে কী করে সন্তুষ্ট হব, বলুন? আমরা সপ্তাহ দুয়েক প্রস্তুতি নিতে পেরেছিলাম। গত বারের আইএসএল চ্যাম্পিয়ন দলের বেশির ভাগ খেলোয়াড়ই বিপক্ষে খেলেছে। তাও আমরা ওদের বিরুদ্ধে লড়াই করেছি। বিশেষ করে প্রথমার্ধে। সব কিছু ঠিকমতো বুঝে নিতে চাইছিলাম আমরা। তাও শুরুর দিকে অনেকগুলো সুযোগ তৈরি করার চেষ্টা করেছি। আমরা আক্রমণে ওঠার সময় বিপক্ষের গোল এরিয়ায় জায়গা তৈরি করার চেষ্টা করছিলাম। তবে ওদেরও কৃতিত্ব দিতে হবে, সেটা ওরা করতে দেয়নি আমাদের। এটাই ফুটবল।

(আগামী কাল দ্বিতীয় ডার্বি ফিরে দেখা)