আইএসএলের দ্বিতীয় সেমিফাইনালে দেখা যাবে পশ্চিমী ডার্বি। কারণ, এই দ্বৈরথে মুখোমুখি হতে চলেছে মুম্বই সিটি এফসি ও এফসি গোয়া। শনিবার ঘরের মাঠে চেন্নাইন এফসি-কে ২-১-এ হারিয়ে চলতি মরশুমের শেষ চারের লড়াইয়ে নামার যোগ্যতা অর্জন করল তারা। আরব সাগরপাড়ের দুই দল আগামী বুধবার প্রথমে ফতোরদায় ও ২৯ এপ্রিল মুম্বই ফুটবল এরিনায় মুখোমুখি হবে ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে। এই নিয়ে আইএসএলের দশটি মরশুমের মধ্যে সাতবারই সেমিফাইনালে উঠল এফসি গোয়া। এর মধ্যে মাত্র দু’বার ফাইনালে উঠেছে। কিন্তু কোনওবারই কাপ জিততে পারেনি আরব সাগরপাড়ের দল।

শুক্রবার ফতোরদার জওহরলাল নেহরু স্টেডিয়ামে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ে এফসি গোয়ার সর্বোচ্চ গোলদাতা নোয়া সাদাউই দলকে এগিয়ে দেন ৩৬ মিনিটের মাথায়। আকাশ সাঙ্গওয়ানের ভুল ক্লিয়ারেন্সের ফলে বল পান কার্ল ম্যাকহিউ, যা তিনি পাঠান নোয়ার কাছে এবং বক্সের মাথা থেকে সোজা গোলে শট নেন মার্কিন মিডফিল্ডার। এই নিয়ে চলতি লিগে ১১ নম্বর গোলটি করে ফেললেন তিনি। ৪৫ মিনিটের মাথায় অসাধারণ গোল করে ব্যবধান বাড়ান তাঁর সতীর্থ ব্র্যান্ডন ফার্নান্ডেজ। মাঝমাঠে বল পেয়ে তিনি দ্রুত দৌড়ে চেন্নাইনের বক্সে পৌঁছন ও বক্সের মাথা থেকে সোজা গোলে শট নেন।

প্রথমার্ধের বাড়তি সময়ের চতুর্থ মিনিটে কর্নার থেকে ব্যবধান কমান চেন্নাইন এফসি-র সার্বিয়ান ডিফেন্ডার লাজার সিরকোভিচ। কর্নারে উড়ে আসা বল প্রথমে গোয়ার গোলকিপার ধীরজ সিং বিপদসীমার বাইরে পাঠালেও তা হেড করে ফের গোলের দিকে পাঠান রায়ান এডওয়ার্ডস। সেই বল এফসি গোয়ার জালে জড়িয়ে দিয়ে ব্যবধান কমান সিরকোভিচ।

দ্বিতীয়ার্ধে দুই দলই একাধিক গোলের সুযোগ হাতছাড়া করে। কিন্তু স্কোরলাইন পাল্টাতে পারেনি কোনও পক্ষই। ম্যাচের শেষ দিকে চেন্নাইন এফসি সমতা আনার জন্য মরিয়া হয়ে উঠলেও এফসি গোয়ার মজবুত রক্ষণে চিড় ধরাতে পারেনি তারা। এ দিন সারা ম্যাচে দশটির মধ্যে আটটি শট লক্ষ্যে রাখে এফসি গোয়া। চেন্নাইন এফসি-র আটটি শটের মধ্যে পাঁচটিই ছিল গোলে। সেমিফাইনালে তাদের প্রতিপক্ষ চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী মুম্বই সিটি এফসি-র বিরুদ্ধে লিগ পর্বে যে দুটি ম্যাচ খেলেছে এফসি গোয়া, দুটিই অমীমাংসিত থাকে। প্রথমটি গোলশূন্য ও পরেরটি ১-১ হয়।