ডুরান্ড কাপে ইন্ডিয়ান সুপার লিগ (আইএসএল)-এর দল ইস্টবেঙ্গল এফসি তাদের বড় জয়ের ধারা অব্যহত রাখল ভারতীয় বিমান বাহিনীকে ৬-১-এ হারিয়ে।

রবিবার কিশোর ভারতী ক্রীড়াঙ্গনে শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক মেজাজে থাকা লাল-হলুদ ব্রিগেড সারা ম্যাচেই আধিপত্য বিস্তার করে বড় জয় নিশ্চিত করে।

ইস্টবেঙ্গল এফসি শুরু থেকেই প্রতিপক্ষ সেনা দলের উপর চাপ তৈরি করে। ম্যাচের প্রথম দু’মিনিটের মধ্যেই তারা দুটি গোলের সুবর্ণ সুযোগ তৈরি করে, কিন্তু এয়ারফোর্স গোলকিপার তা রক্ষা করেন। তবে বেশি অপেক্ষা করতে হয়নি। সাত মিনিটে এডমন্ড লালরিন্দিকার নিখুঁত ক্রস থেকে হামিদ আহাদাদ হেড করে গোল করে দলকে এগিয়ে দেন (১-০)।

ইস্টবেঙ্গল এফসি আক্রমণ চালিয়ে যায় এবং ২৫ মিনিটে দ্বিতীয় গোল পায়। অধিনায়ক নাওরেম মহেশ সিং চমৎকার একটি থ্রু বল দেন বিপিন সিংকে, যিনি গোলরক্ষককে কাটিয়ে বল জালে জড়িয়ে দেন (২-০)।

৩৭ মিনিটে বিমান বাহিনীর হয়ে এক গোল শোধ করেন আমান, ফলে প্রথমার্ধের শেষে স্কোরলাইন ইস্টবেঙ্গল এফসি-র পক্ষে দাঁড়ায় ২-১।

দ্বিতীয়ার্ধেও হোম টিম একই ছন্দে খেলা শুরু করে, যেখানে আহাদাদ দু’বার গোলের খুব কাছাকাছি গিয়েও ফিরে আসেন। ইস্টবেঙ্গল এফসি-র তৃতীয় গোলটি আসে আনোয়ার আলির পা থেকে, যিনি মিগেল ফিগেরার কর্নার থেকে আসা বল হেড করে জালে পাঠান (৩-১)। চার মিনিট পর বদলি খেলোয়াড় মোহাম্মদ রাশিদ দূরপাল্লার এক শটে গোল করে লাল-হলুদ ব্রিগেডের ব্যবধান আরও বাড়িয়ে দেন (৪-১) এবং ভারতীয় বিমান বাহিনীর ওপর পূর্ণ আধিপত্য প্রতিষ্ঠা করেন।

নতুন উদ্যমে খেলা ইস্টবেঙ্গল এফসি চাপ বজায় রাখলেও বিমান বাহিনীর গোলরক্ষক দৃঢ়ভাবে প্রতিরোধ করেন। এডমন্ডের ক্রস থেকে সউল ক্রেসপো গোল করে পঞ্চম গোলটি যোগ করেন (৫-১)। ডেভিড লালনসাঙ্গা, যিনি মাঠে নামার পর থেকেই দলের খেলায় নতুন করে আগুন জ্বালান, ৯১তম মিনিটে দলের ষষ্ঠ ও শেষ গোলটি করেন (৬-১)।

ইতিমধ্যেই কোয়ার্টার ফাইনালে উঠে গিয়েছে ইস্টবেঙ্গল এফসি। তিন ম্যাচে ১২ গোল করে সবকটি জিতে ‘এ’ গ্রুপের সেরা দল হিসেবে শেষ আটে উঠেছে তারা। তবে সেমিফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে কাদের মুখোমুখি হতে হবে তাদের, সেটাই এখন দেখার। গ্রুপ ‘এ’ ও ‘বি’-র সব খেলাই শেষ হয়ে গিয়েছে। আগামী দু’দিনে বাকি চারটি গ্রুপেরই খেলা শেষ হয়ে যাবে। তার পরে কোয়ার্টার ফাইনাল লাইন-আপ ঘোষণা করবে টুর্নামেন্টের আয়োজকেরা।