এই লেখাটি ইংরেজিতে পড়তে পারেন।

ইস্টবেঙ্গল এফসি-কে বিদায় জানালেন গ্রিক ফরোয়ার্ড দিমিত্রিয়স দিয়ামান্তাকস সোমবার ক্লাবের পক্ষ থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়, দুই পক্ষের সমঝোতার ভিত্তিতে বিদায় নিয়েছেন তিনি। ক্লাবের সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে এই খবর জানিয়ে তাঁকে ধন্যবাদ দেওয়া হয়।

গত মরশুমে তেমন ভাল পারফরম্যান্স দেখাতে না পারলেও চলতি মরশুমের শুরুতে ডুরান্ড কাপে ভাল ফর্মে ছিলেন তিনিচারটি ম্যাচে তিনটি গোল করেন একটি অ্যাসিস্ট করেন দিয়ামান্তাকস। মোহনবাগান সুপার জায়ান্টের বিরুদ্ধে তাঁর করা জোড়া গোলেই জেতে ইস্টবেঙ্গল। তা সত্ত্বেও ক্লাবের সঙ্গে আলোচনা করে লাল-হলুদ সমর্থকদের বিদায় জানালেন তিনি। ক্লাবও আটকায়নি তাঁকে।

আইএসএলের ২০২৩-২৪ মরশুমের আগে গোল্ডেন বুটজয়ী দিয়ামান্তাকসকে সই করিয়ে সাড়া ফেলে দিয়েছিল ইস্টবেঙ্গল এফসি। সে মরশুমে কেরালা ব্লাস্টার্সের পক্ষে ১৩টি গোল করে সবচেয়ে বেশি গোলদাতার সন্মান অর্জন করে নেন তিনি। সেই কারণেই তাঁকে নিয়ে আসা হয় লাল-হলুদ বাহিনীতে।

কিন্তু ২০২৪-২৫ মরশুমে লাল-হলুদ জার্সি গায়ে মাঠে নেমে সমর্থকদের খুব একটা খুশি করতে পারেননি তিনি। আইএসএলে ১৯টি ম্যাচে চারটির বেশি গোল করতে পারেননি। একটি গোলে অ্যাসিস্ট করেন। বরং এএফসি চ্যালেঞ্জ লিগে তুলনামুলকভাবে ভাল খেলেছিলেন। সেই টুর্নামেন্টে পাঁচটি ম্যাচে চারটি গোল করেন। সব মিলিয়ে সারা মরশুমে ইস্টবেঙ্গলের হয়ে ২৮টি ম্যাচে টি গোল তিনটি অ্যাসিস্ট করেন।

তার আগের মরশুমে যেখানে কেরালা ব্লাস্টার্সের হয়ে আইএসএলে ১৭টি ম্যাচে ১৩টি গোল ও তিনটি অ্যাসিস্ট করেছিলেন এবং সুপার কাপে তিনটি ম্যাচে তিনটি গোল করেছিলেন দিয়ামান্তাকস, সেই তুলনায় ইস্টবেঙ্গলের হয়ে প্রথম মরশুমে আশাব্যঞ্জক পারফরম্যান্স দেখাতে পারেননি তিনি। এ মরশুমে চেনা ছন্দে ফিরেছিলেন। তবে ইস্টবেঙ্গল এফসি-তে থাকা হল না তাঁর।

আইএসএলে তিনি কেরালা ব্লাস্টার্সে যোগ দেন ২০২২-এ এবং প্রথম দুই মরশুমে ৩৮টি ম্যাচে ২৩টি গোল করেন দিয়ামান্তাকস। ছ’টি গোলে অ্যাসিস্টও করেন। আইএসএলে প্রথম মরশুমে দশটি গোল করে তিনি বুঝিয়ে দিয়েছিলেন, আরও এক মরশুম থাকলে তিনি দলকে আরও সাফল্য এনে দিতে পারেন। মাঠের মধ্যে তাঁর ক্যারিশমা তো সারা দুনিয়া দেখেছে। কিন্তু মাঠের বাইরে, ড্রেসিংরুমে দলনেতা ও রোল মডেল হয়ে ওঠার যে ক্ষমতা দেখিয়েছেন দিয়ামান্তাকস, তা ছিল অভাবনীয়।