মঙ্গলবার ফতোরদায় নর্থইস্ট ইউনাইটেডের কাছে ১-২ গোলে হারার পরেও এসসি ইস্টবেঙ্গলের সহকারী কোচ অ্যান্থনি গ্রান্ট বললেন, “আমরা সেরা চার দলের চেয়ে খুব একটা পিছিয়ে নেই”।

মঙ্গলবার প্রথমার্ধ গোলশূন্য থাকার পরে দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই ভিপি সুহেরের গোলে এগিয়ে যায় নর্থইস্ট ইউনাইটেড। ৫৫ মিনিটের মাথায় লাল-হলুদ ডিফেন্ডার সার্থক গলুইয়ের আকস্মিক আত্মঘাতী গোলে সেই ব্যবধান বাড়ে। সেই সার্থকই ৮৭ মিনিটের মাথায় অসাধারণ হেডে গোল করে ব্যবধান কমালেও তার পরে আর বিপক্ষের ডিফেন্সে চিড় ধরাতে পারেনি তাঁর দল। ৭১ মিনিটের মাথায় ডিফেন্ডার রাজু গায়কোয়াড় ম্যাচের দ্বিতীয় হলুদ কার্ড তথা লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন।

এ দিন কলকাতা ডার্বির প্রথম এগারোয় আটটি পরিবর্তন করে দল নামায় এসসি ইস্টবেঙ্গল, যেখানে মাত্র তিন বিদেশি ছিলেন। তাদের পরিবর্ত খেলোয়াড়দের তালিকাতেও কোনও বিদেশিকে রাখা হয়নি। মূলত রিজার্ভ বেঞ্চের খেলোয়াড়দের এ দিন মাঠে নামানো হয়েছিল।

ম্যাচের পরে অ্যান্থনি গ্রান্ট সাংবাদিকদের ভার্চুয়াল বৈঠকে বলেন, “প্রথমার্ধের অনেকটাই আমরা খেলাটাকে নিয়ন্ত্রণ করি। ওরা আমাদের খুব একটা সমস্যায় ফেলতে পারেনি। ওদের গোলটা হয়েছে একটা লং বল আমাদের গোল এরিয়ায় আসার পরে। ওকে (সুহের) কেউ সাহায্যও করেনি। পরে আমাদের মনসংযোগের অভাবের জন্য গোল দিতে হয়। ২০ মিনিট আমাদের ছেলেরা একটু পিছিয়ে গিয়েছিল। তার পরে কিন্তু ওরা আবার ম্যাচে ফিরে আসে। কিন্তু প্রথম গোলটা ও ভাবে করতে দেওয়া উচিত হয়নি আমাদের”।

চোট-আঘাত ও ক্লান্তির জন্য যে এতগুলো পরিবর্তন করে দল নামাতে হয় তাদের, তা জানিয়ে গ্রান্ট বলেন, “আশা করি শেষ ম্যাচে (ওডিশা এফসি) চোট-আঘাতের সমস্যা মিটিয়ে আমরা সবচেয়ে শক্তিশালী দল নামাতে পারব ও (শনিবার) শেষ ম্যাচে হাসিমুখেই মাঠ ছাড়তে পারব”।

গ্রান্ট মনে করেন সেরা চারে থাকা দলগুলির সঙ্গে তাদের খুব একটা ফারাক নেই। এই নিয়ে তিনি বলেন, “আমাদের সঙ্গে সেরা চার দলের খুব একটা ফারাক নেই। ওদের বিরুদ্ধে আমাদের ম্যাচগুলো বিশ্লেষণ করে দেখলেই বুঝতে পারবেন (পারফরম্যান্সে) সে রকম ফারাক আমাদের মধ্যে কিছু ছিল না। আমাদের ভাল কিছু ফুটবলার আনতে হবে। ট্রেনিংপ্রোগ্রাম আমাদের ঠিকই ছিল। পরের মরশুমে এই বদলগুলো শুধু দরকার”।

অন্য দিকে, নর্থইস্টের কোচ খালিদ জামিল বলেন, “ম্যাচটা মোটেই সোজা ছিল না। এখন আমাদের যা অবস্থা, তাতে আমাদের প্রতিপক্ষ আমাদের চাপে রাখার চেষ্টা করবেই। তাই এই ম্যাচটাকে মোটেই হালকা ভাবে নিইনি আমরা”। এসসি ইস্টবেঙ্গল গোল দেওয়ার পরে তিনি একটুও চাপে পড়ে যাননি বলে জানিয়ে দেন খালিদ। বলেন, “একেবারেই চাপে পড়িনি। তবে এটা ঠিকই যে আমরা চাপ ডেকে আনছিলাম। তবে দলের ছেলেদের ওপর আমার আস্থা রয়েছে। কী ভাবে ঘুরে দাঁড়াতে হয়, তা ওরা জানে। ক্লিন শিট না রাখতে পারাটা আমার কাছে আক্ষেপের নয়। তিন পয়েন্ট পাওায়াটাই আসল। পরের ম্যাচটা (কেরালা ব্লাস্টার্সের বিরুদ্ধে শুক্রবার) আমাদের পক্ষে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। ওই ম্যাচ থেকে আমাদের তিন পয়েন্ট পেতেই হবে”।