জিততে না পারলেও দলের পারফরম্যান্সে আশাবাদী লাল-হলুদ কোচ বিনো জর্জ
‘আজ ছেলেদের পারফরম্যান্সের প্রশংসাই করব। বল পজেশনে আমরা অনেক এগিয়ে ছিলাম। গোলের সুযোগও আমরা বেশি তৈরি করেছি’।
প্রথম তিন ম্যাচে হারের হতাশা কাটিয়ে জয়ে ফেরার মরিয়া চেষ্টা করলেও শেষ পর্যন্ত সফল হল না ইস্টবেঙ্গল। শনিবার জামশেদপুর এফসি-র বিরুদ্ধে প্রচুর গোলের সুযোগ তৈরি করেও দু’গোলে হেরে যায় তারা। তাদের স্প্যানিশ কোচ কার্লস কুয়াদ্রাত দায়িত্ব ছেড়ে দিয়ে চলে যাওয়ার পর এই প্রথম মাঠে নেমে লাল-হলুদ বাহিনী উজ্জীবিত ফুটবল খেললেও আসল কাজটাই করতে পারেনি। এ দিন সারা ম্যাচে ২৪টি গোলের সুযোগ তৈরি করা সত্ত্বেও একটিও গোলে রূপান্তরিত করতে পারেননি ক্লেটন সিলভারা। এমনকী পেনাল্টিও মিস করেন তাদের স্প্যানিশ মিডফিল্ডার সল ক্রেসপো।
টানা চতুর্থ হার নিয়ে অখুশি হলেও দলের উন্নত পারফরম্যান্সে খুশি ইস্টবেঙ্গলের ভারপ্রাপ্ত কোচ বিনো জর্জ। শনিবার ম্যাচের পর তিনি সাংবাদিকদের বলেন, “জামশেদপুর এফসি দু’টো ভাল সুযোগ পেয়ে দু’টোতেই গোল করেছে। আমরা নিজেদের সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করেছি। আজ ছেলেদের পারফরম্যান্সের প্রশংসাই করব। বল পজেশনে আমরা অনেক এগিয়ে ছিলাম। গোলের সুযোগও আমরা বেশি তৈরি করেছি। এখন আমাদের কাছে পয়েন্ট গুরুত্ব হলেও আমাদের দুর্ভাগ্য যে, আমাদের কাছে তা নেই”।
তবে শনিবারের ম্যাচে দলের পারফরম্যান্স কোচের মনে আশা জাগিয়েছে। তিনি মনে করেন, এই জায়গা থেকেই ঘুরে দাঁড়াবে লাল-হলুদ বাহিনী। এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “এখনও আমার বিশ্বাস, আমাদের খেলোয়াড়রা যথেষ্ট ভাল। আমার কাজ ওদের উজ্জীবিত করা ও উৎসাহ জোগানো। গত তিনটি ম্যাচের তুলনায় আমরা আজ অনেক আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলেছি। আমরা প্রথম মিনিট থেকেই আক্রমণ শুরু করেছিলাম। সবে চারটি ম্যাচ হয়েছে। আইএসএল অনেক দীর্ঘ। ইস্টবেঙ্গলের যে স্পিরিট আছে, তা আমরা ফিরিয়ে আনব। সামনে দীর্ঘ অবকাশ রয়েছে, তার পরে আশা করি আমরা তরতাজা হয়েই ফিরে আসব। আমি একশো শতাংশ বিশ্বাস করি যে, ইস্টবেঙ্গল সেরা ছয়ের মধ্যেই থাকবে”।
এ দিন দলের অনেক গোলের সুযোগ নষ্ট করা প্রসঙ্গে বিনো জর্জ বলেন, “আজ ভাগ্য আমাদের সহায়তা করেনি। পেনাল্টি মিস করেছি। অনেকবারই আমাদের শট বারে, পোস্টে লেগে ফিরে এসেছে। ওদের গোলকিপারও কিছু অসাধারণ সেভ করেছে। পেনাল্টি থেকে গোল পেলে ম্যাচের ছবিটা অন্যরকম হত”।