কুয়াদ্রাতের প্রশিক্ষণে রোজই নিজেকে উন্নত করে তোলার চেষ্টা করছি: প্রভসুখন গিল
আমাদের রক্ষণ বিভাগ যথেষ্ট ভাল খেলছে। আমরা কিছু কিছু পরিস্থিতিতে ভাগ্যের সহায়তা পাইনি। খুব ছোট ছোট ভুলে গোল খেয়েছি। আর শুধু রক্ষণ নয়, পুরো দলই রক্ষণকে শক্তিশালী করে তোলার জন্য কাজ করে চলেছে।
এ মরশুমের আগে কেরালা ব্লাস্টার্স থেকে ইস্টবেঙ্গলে যোগ দিয়েছেন তিনি। ব্লাস্টার্স শিবির থেকে মোটা অঙ্কের ট্রান্সফার ফি-র বদলে তিন বছরের জন্য তাঁকে নিয়ে আসে লাল-হলুদ বাহিনী। এ মরশুমে তিনিই দলের এক নম্বর গোলকিপার। এ পর্যন্ত চারটি ম্যাচে আটটি সেভ করেছেন তিনি। অর্থাৎ প্রতি ম্যাচে গড়ে দুটি করে গোলে শট বাচিয়েছেন তিনি। তবে একটির বেশি ম্যাচে ক্লিন শিট রাখতে পারেননি তিনি।
২০২০-তে গিল যোগ দেন কেরালা ব্লাস্টার্সে এবং ২০২১-২২ মরশুমে দলকে হিরো আইএসএল রানার্স আপ হতে যথেষ্ট সাহায্য করেন তিনি। সে বার ২০টি ম্যাচের মধ্যে সাতটিতে কোনও গোল খাননি তিনি। ৪৭টি সেভ করেছিলেন। গত মরশুমে ১৯টি ম্যাচে ৪০টি সেভ করেন ও চারটি ক্লিন শিট রাখেন।
শনিবার তাঁর প্রাক্তন ক্লাব কেরালা ব্লাস্টার্সের মুখোমুখি হতে চলেছেন ২২ বছর বয়সী প্রভসুখন। গত মরশুম পর্যন্ত যাদের দূর্গ বাঁচানোই ছিল তাঁর কাজ, এ বার সেই ব্লাস্টার্সের বিরুদ্ধেই গোলে দাঁড়াবেন তিনি। তার আগে indiansuperleague.com কে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে কী বললেন ইস্টবেঙ্গলের গোলপ্রহরী? পড়ে নিন।
প্রশ্ন: এ পর্যন্ত চারটি ম্যাচে আপনার ম্যাচপ্রতি গড় সেভের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। এই ধরনের তীব্র পরিস্থিতির জন্য নিজেকে শারীরিক ও মানসিক ভাবে তৈরি করেন কী ভাবে?
প্রভসুখন গিল: আসলে বেসিকটা ঠিকমতো বজায় রাখতে পারলে মানসিক ভাবেও ফোকাস বজায় রাখা সহজ হয়ে যায়। আমরা অনুশীলনে যা করি, তা ম্যাচে করতে পারাটাই এখানে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার।
কোচ কার্লস কুয়াদ্রাতের কাছ থেকে এ পর্যন্ত কী রকম সাহায্য পেয়েছেন? আপনার পারফরম্যান্সের উন্নতির জন্য কি উনি আপনাকে বিশেষ কিছু পরামর্শ দিয়েছেন?
অবশ্যই। ওঁর পরামর্শ তো আমার অনেক কাজে লাগে। কোচ এবং সাপোর্ট স্টাফের তত্ত্বাবধানে রোজই কিছু না কিছু শিখি এবং নিজেকে উন্নত করে তোলার চেষ্টা করি।
ইস্টবেঙ্গলের হয়ে খেলার পর থেকে আপনার ক্লিন শিটের সংখ্যা কমে যাচ্ছে। এই সমস্যা দূর করার জন্য কি অনুশীলনে ডিফেন্ডারদের সঙ্গে কাজ করছেন?
আমাদের রক্ষণ বিভাগ এখন পর্যন্ত যথেষ্ট ভাল খেলছে। আমরা কিছু কিছু পরিস্থিতিতে ভাগ্যের সহায়তা পাইনি। খুব ছোট ছোট ভুলে গোল খেয়েছি। আর শুধু রক্ষণ নয়, পুরো দলই রক্ষণকে শক্তিশালী করে তোলার জন্য কাজ করে চলেছে।
আপনাদের পরের ম্যাচ ইস্টবেঙ্গলের ঘরের মাঠে কেরালা ব্লাস্টার্স এফসি-র বিরুদ্ধে। এই ক্লাবে এসে কি অন্যরকম সংস্কৃতি দেখতে পাচ্ছেন? সমর্থকদের কাছ থেকে কী রকম সমর্থন পাচ্ছেন?
আমার সৌভাগ্য যে, সমর্থকদের এত ভালবাসা পেয়েছি। যে কোনও পেশাদার ফুটবলারের পক্ষে সমর্থকদের ভালবাসা খুবই দরকার। আমরা মানসিক ভাবে বিধ্বস্ত হয়ে গেলে সমর্থকদের ভালবাসাই আমাদের ফের চাঙ্গা করে তোলে। কেরালা ব্লাস্টার্সের হয়ে খেলার সময়েও সমর্থকদের কাছ থেকে প্রচুর ভাল অভিজ্ঞতা অর্জন করেছি। তবে কলকাতায় এসে এত কম সময়েও যা ভালবাসা পেয়েছি, তাও অসাধারণ। ওদের জন্যই আমরা ডুরান্ড কাপের ফাইনালে উঠেছিলাম এবং হায়দরাবাদ এফসি-কে হারাতে পেরেছি। ইস্টবেঙ্গলের মতো বড় ক্লাবের প্রতিনিধিত্ব করতে হলে চাপ নিতেই হবে। আমাদের সমর্থকেরা সব সময় আমাদের পাশে থাকেন এবং আমাদের সাহায্য করেন।













