বাংলা ও কেরলের ঐতিহাসিক দ্বৈরথ দিয়ে শুক্রবার শুরু হচ্ছে ২০২১-২২ মরশুমের হিরো আইএসএল। গতবারের মতো এ বারেও ভারতীয় ফুটবলের এই ঐতিহাসিক প্রতিদ্বন্দিতা দিয়ে সূচনা হবে দেশের এক নম্বর ফুটবল লিগের অষ্টম সংষ্করণের। গতবারের রানার্স-আপ এটিকে মোহনবাগান ও কেরালা ব্লাস্টার্স এফসি মুখোমুখি হতে চলেছে লিগের প্রথম ম্যাচেই।

কেরল ও বাংলা— দুই রাজ্যেই ফুটবলের জনপ্রিয়তা অন্য যে কোনও খেলাকে হারাতে পারে। তাই ভারতীয় ফুটবলে এই দুই রাজ্যের লড়াইও চিরকালীন। সবচেয়ে বেশিবার যেখানে সন্তোষ ট্রফি জিতেছে বাংলা, সেখানে কেরল এই তালিকায় দুই নম্বরে। তাই বাংলা ও কেরলের ক্লাবের ফুটবল মাঠে মুখোমুখি হওয়া মানে ফুটবলের মহাযুদ্ধ ছাড়া আর কী? তেমনই এক মহাম্যাচ দিয়ে শুক্রবার গোয়ার ফতোরদা স্টেডিয়ামে শুরু হচ্ছে আইএসএল ২০২১-২০২২। যেখানে লড়াই শুধু দুই ক্লাবের নয়, দুই রাজ্যেরও।

গতবার অল্পের জন্য লিগশিল্ড হাতছাড়া হয়েছিল এটিকে মোহনবাগানের। লিগের শেষ ম্যাচে যেখানে মাত্র এক পয়েন্টের প্রয়োজন ছিল তাদের, সেখানে স্প্যানিশ কোচ আন্তোনিও লোপেজ হাবাসের দল মুম্বই সিটি এফসি-র কাছে ০-২-এ হেরে যায়। লিগশিল্ড জিতে এএফসি চ্যাম্পিয়ন্স লিগে খেলার সুযোগ হাতছাড়া হলেও সেমিফাইনালে নর্থইস্ট ইউনাইটেডকে হারিয়ে ফাইনালে ওঠায় তাদের চ্যাম্পিয়ন হওয়ার সুযোগও ছিল। কিন্তু সেই মুম্বই সিটি এফসি-ই ফের তাদের বাধা হয়ে দাঁড়ায় এবং শেষ মুহূর্তের গোলে ম্যাচ বার করে নিয়ে সবুজ-মেরুন শিবিরের হিরো আইএসএল অভিষেকে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার স্বপ্ন ভেঙে চুরমার হয়ে যায়। এ বার তাই কোমর বেঁধে নেমেছে হাবাস-বাহিনী।

অন্যদিকে, গতবার এটিকে মোহনবাগানের কাছে হার দিয়ে শুরু করার পরে জয়ের জন্য আরও ছ’টি ম্যাচ অপেক্ষা করতে হয় হিরো আই লিগজয়ী মোহনবাগান এসি-র কোচ কিবু ভিকুনার প্রশিক্ষণাধীন কেরালা ব্লাস্টার্সকে। হায়দরাবাদ এফসি-র বিরুদ্ধে সেই জয়ের পরে কেরালার দলটি সারা লিগে আর মাত্র একটি জয় পায়, বেঙ্গালুরু এফসি-র বিরুদ্ধে। সবচেয়ে বেশি গোল খাওয়ার দিক থেকে দুই নম্বরে ছিল তারা, ওডিশা এফসি-র পরেই। ২৩ গোল দিয়ে ৩৬ গোল খায় তারা। ২০ ম্যাচে ১৭ পয়েন্ট পেয়ে লিগ তালিকার দশ নম্বরে ছিল ব্লাস্টার্স। তার আগের দুই মরশুমেও লিগ টেবলের নীচের দিকে জায়গা হয় তাদের। টানা তিন বছর প্রিয় দলের বেহাল দশা মোটেই ভাল ভাবে নেননি ফুটবল-পাগল কেরালার সমর্থক ও ক্লাব কর্তারা। তাই এ বার তারা ঢেলে সাজিয়েছে দলকে। কোচ বদল থেকে শুরু করে ফুটবলার পরিবর্তন সবই করেছে তারা। নতুন এই দল নিয়ে এ বার সেরা চারে থাকতে মরিয়া আইএম বিজয়ন, জো পল আনচেরির রাজ্যের ক্লাব।

দলের খবর

এটিকে মোহনবাগান: গতবারের দলে একাধিক পরিবর্তন এসেছে। এ বারের দলে হাবাস রেখে দিয়েছেন চারজন বিদেশিকে। ফিজিয়ান ফরোয়ার্ড রয় কৃষ্ণা, অস্ট্রেলিয়ান ডেভিড উইলিয়ামস, স্প্যানিশ ডিফেন্ডার তিরি ও আইরিশ মিডফিল্ডার কার্ল ম্যাকহিউ। এঁদের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন ফিনল্যান্ডের ইউরো দলের সদস্য ইওনি কাউকো এবং গতবারের চ্যাম্পিয়ন মুম্বই সিটি এফসি থেকে নিয়ে আসা ফরাসি তারকা হুগো বুমৌসকে। দু’জনেই অ্যাটাকিং মিডফিল্ডার। কোচের মতে, এই দু’জন চলে আসায় দলের মাঝমাঠ শক্তিশালী হবে এবং আক্রমণ বিভাগ অনেক বেশি ও নিখুঁত সাপ্লাই পাবে।

এই মরশুমের আগে দলবদলে ভাল মতোই ঘর গুছিয়ে নিয়েছে এটিকে মোহনবাগান। জুনে ২০২০-২১ মরশুমের চ্যাম্পিয়ন মুম্বই সিটি এফসি-র গোলকিপার অমরিন্দর সিংকে পাঁচ বছরের চুক্তিতে সই করায় তারা। তার আগে হায়দরাবাদ এফসি থেকে নিয়ে আসে প্রতিশ্রুতিবান স্ট্রাইকার লিস্টন কোলাসোকে। হায়দরাবাদের দলের হয়ে গত মরশুমে স্মরণীয় পারফরম্যান্সের পর কোলাসোকে ভারতীয় ফুটবলারদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ট্রান্সফার ফি দিয়ে নিয়ে আসে কলকাতার ক্লাবটি।

ভারতীয় দলের ডিফেন্ডার আশুতোষ মেহতাকেও সই করায় সবুজ-মেরুন শিবির। রক্ষণের শক্তি বাড়াতে চেন্নাইন এফসি থেকে দীপক টাঙরিকেও নিয়ে আসে এটিকে মোহনবাগান। ২৩ বছর বয়সি মিডফিল্ডার বিদ্যানন্দ সিংকে নিয়ে আসা হয় মুম্বই সিটি এফসি থেকে। দলটা এ বার বেশ হিসেব কষেই গুছিয়েছেন হাবাস। যে জায়গাগুলোতে সমস্যা ছিল, সেই জায়গাগুলো ভরাট করার জন্য ফুটবলার এনেছেন তিনি।

কেরল ব্লাস্টার্স: খোলনলচে বদলে ফেলেছে কেরল ব্লাস্টার্সও। মোহনবাগান এসি-কে হিরো আই লিগ জেতানো স্পেনের কোচ কিবু ভিকুনাকে সরিয়ে সার্বিয়া থেকে নতুন কোচ ইভান ভুকোমানোভিচকে নিয়ে আসা হয়েছে। এসেছেন একাধিক নতুন ফুটবলারও। এ-লিগ চ্যাম্পিয়ন মেলবোর্ন সিটি থেকে নিয়ে আসা হয়েছে মিডফিল্ডার উরুগুয়ের আদ্রিয়ান লুনাকে। অস্ট্রেলিয়ায় আসার আগে তিনি স্পেন, মেক্সিকোর ক্লাব ফুটবলেও খেলে এসেছেন। চেন্নাইন এফসি থেকে সেন্ট্রাল ডিফেন্ডার এনেস সিপোভিচকে নিয়ে এসেছে কেরালা ব্লাস্টার্স। ২০১৬-র পর একবারও হিরো আইএসএলের সেরা চারে থাকতে না পারা এই ক্লাব এ বার সেমিফাইনালে খেলতে মরিয়া।

লিওনেল মেসির দেশের ফরোয়ার্ড জর্জ পেরেইরা দিয়াজকে লোনে আনা হয়েছে ক্লাব আতলেতিকো প্লাতেন্সে থেকে। স্প্যনিশ স্ট্রাইকার আলভারো ভাসকেস এ বার কেরালার দলের বড় ভরসা হয়ে উঠতে পারেন। স্পেনের স্পোর্টিং দ্য গিজন থেকে তাঁকে নিয়ে এসেছেন কোচ ভুকোমানোভিচ। ডায়নামো জাগ্রেব থেকে নিয়ে আসা হয়েছে ক্রোয়েশিয়ান সেন্টার ব্যাক মার্কো লেসকোভিচকে। তিন বার ক্রোয়েশিয়ান লিগ চ্যাম্পিয়ন দলে ছিলেন তিনি। জাতীয় দলেও খেলেছেন।

এই বিদেশিরা ছাড়াও ভারতীয় মিডফিল্ডার হরমনজ্যোৎ সিং খাবরা ও উঠতি ফুটবলার সঞ্জীব স্টালিনকেও নিজেদের শিবিরে নিয়ে এসেছে কেরালার দল। প্রাক্তন ইস্টবেঙ্গল তারকা খাবরা হিরো আইএসএলে খেলেছেন চেন্নাইন এফসি ও বেঙ্গালুরু এফসি-র হয়ে। অনূর্ধ্ব ১৭ বিশ্বকাপ দলে থাকা লেফট ব্যাক সঞ্জীব গত দুবছর ধরে খেলছেন পর্তুগালের চতুর্থ ডিভিশনে। সেট পিস বিশেষজ্ঞ এই ফুটবলার হিরো আই লিগে খেলেছেন ইন্ডিয়ান অ্যারোজের হয়ে।

সাম্প্রতিক পারফরম্যান্স

এটিকে মোহনবাগান: শেষ পাঁচটি ম্যাচের মধ্যে তারা জয় পেয়েছে দু’টিতে ও হেরেছেও দু’টিতেই। একটি ম্যাচে ড্র। গত হিরো আইএসএলের ফাইনালে মুম্বই সিটি এফসি-র কাছে ১-২ হার থেকে শুরু করে যেমন এর মধ্যে রয়েছে, তেমনই এএফসি কাপের গ্রুপ পর্বের ম্যাচের সাফল্যগুলিও থাকবে এই তালিকায়। বেঙ্গালুরু এফসি-কে তারা ২-০-য় হারায়। মলদ্বীপের মাজিয়া এসআরসি-কে হারায় ৩-০-য়। তবে বাংলাদেশের বসুন্ধরা কিংসের বিরুদ্ধে ১-১ ড্র করে হাবাসের দল। কিন্তু এএফসি কাপের ইন্টার জোনাল সেমিফাইনালে নসফ এফসি-র কাছে ০-৬ হারটা তাদের কাছে ছিল একটা বড় ধাক্কা এবং তাদের ঘুম ভাঙানোর পক্ষে যথেষ্ট।

কেরালা ব্লাস্টার্স: গত পাঁচটি ম্যাচে কিন্তু তাদের কোনও জয় নেই। রয়েছে তিনটি হার ও দু’টি ড্র। এ বছর ডুরান্ড কাপে অংশ নিয়েছিল কেরালা। গ্রুপ পর্বে তারা মাত্র একটি ম্যাচ জিতে ছিটকে যায়। তবে সেই টুর্নামেন্টে পুরো দল নামায়নি তারা। যদিও অক্টোবরে বেশ কয়েকটি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলে তারা। প্রথম ম্যাচে কেরালা ইউনাইটেডের কাছে হেরে যায়, তাদের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় ম্যাচে ৩-৩ ড্র হয়, জম্মু ও কাশ্মীরের বিরুদ্ধে ২-০ জেতে, এমএ ফুটবল অ্যাকাডেমির বিরুদ্ধে ৩-০ জয় পায় ও ওডিশা এফসি-কে ২-১ হারায়। যদিও এগুলো সরকারি ম্যাচ নয়।

নজরে থাকবেন যাঁরা

এটিকে মোহনবাগান

রয় কৃষ্ণা: গত হিরো আইএসএলের গোল্ডেন বল জয়ী ফুটবলার রয় কৃষ্ণা ভারতে এসে প্রথম মরশুমে ১৫টি ও দ্বিতীয় মরশুমে ১৪টি গোল করার পরে এ বার তিনি কতগুলো গোল করেন, সেটাই হতে চলেছে এ বারের লিগে অন্যতম আকর্ষণীয় বিষয়। গতবার সারা লিগ জুড়ে যে দাপট ও ক্ষিপ্রতা দেখা গিয়েছিল এই ফিজিয়ান তারকা স্ট্রাইকারের পারফরম্যান্সে, তাতে এটিকে মোহনবাগানের প্রত্যেক প্রতিপক্ষ তাঁকে রীতিমতো সমীহ করে। তাঁকে আটকানোর জন্য আলাদা করে বিশেষ পরিকল্পনা করতে হয়েছিল প্রত্যেক কোচকে। তা সত্ত্বেও তাঁকে পুরোপুরি আটকানোর সাধ্য হয়নি কারও। গোল করিয়ে নিজের কর্তব্য ঠিক পালন করেছিলেন তিনি। শুক্রবার তাঁর দিকে যেমন নজর থাকবে সমর্থকদের, তেমনই তাঁকে আটকে রাখার পরিকল্পনা নিশ্চয়ই থাকবে প্রতিপক্ষের।

হুগো বুমৌস: এফসি গোয়া ও মুম্বই সিটি এফসি-র হয়ে খেলা এই দুর্ধর্ষ অ্যাটাকিং মিডফিল্ডার এই মরশুমে সবুজ-মেরুন জার্সি গায়ে সে রকমই কার্যকরী হয়ে উঠবেন বলে সমর্থকদের আশা। এএফসি কাপের গ্রুপ পর্বে সে রকম ইঙ্গিতও দিয়েছেন বুমৌস। ২৫ বছর বয়সি বুমৌস মিডফিল্ডার হলেও বিপক্ষের গোল এরিয়ায় তাঁর ঘন ঘন বিচরণই তাঁকে বিপজ্জনক করে তোলে। নিখুঁত পাসে গোল সাজিয়ে দেওয়া বা সুযোগ পেলেই বিপক্ষের জালে বল জড়ানোর ব্যাপারে তিনি বিশেষজ্ঞ। এএফসি কাপে বেঙ্গালুরু এফসি-র বিরুদ্ধে তাঁর ও রয়ের মধ্যে ক্রমশ ভাল বোঝাপড়া গড়ে ওঠে বলে সেই ম্যাচে বেশ চাপে ছিলেন বিপক্ষের বিদেশি ডিফেন্ডাররা এবং গোলকিপার। ম্যাচের প্রথম গোলে তাঁর অবদানও ছিল। সবুজ-মেরুন জার্সিতে সে দিন দুর্দান্ত অভিষেক হয় বুমৌসের। মাজিয়া এসআরসি-র বিরুদ্ধে ম্যাচে বুমৌস দ্বিতীয়ার্ধে রিজার্ভ বেঞ্চ থেকে নামার পরই দলের চেহারা বদলে যায়। এটিকে মোহনবাগানের এক গোলে পিছিয়ে থেকেও ৩-১ জেতে। শেষ দুটি গোলের নেপথ্যে ছিলেন তিনিই।

ইওনি কাউকো: দক্ষ সেন্ট্রাল মিডফিল্ডার হিসেবে সফল ৩০ বছর বয়সি কাউকো ফিনল্যান্ডের হয়ে এ বছর ইউরোর তিনটি ম্যাচ খেলেছেন। তবে শুধু এই জায়গায় নয়, দলের প্রয়োজনে অ্যাটাকিং মিডফিল্ডারের ভূমিকাও পালন করতে পারেন তিনি। ফিনল্যান্ডের সিনিয়র দলের হয়ে খেলার আগে কাউকো দেশের চারটি বয়সভিত্তিক দলেই খেলেছেন। ইউরোয় তিনটি ম্যাচে ৫৭ মিনিট মাঠে ছিলেন কাউকো। তাঁর পাসিং অ্যাকিউরেসি ৮০ শতাংশ। কাউকো যোগ দেওয়ায় এটিকে মোহনবাগানের মাঝমাঠের শক্তি বেড়েছে। তবে সবুজ-মেরুন জার্সি গায়ে শুরুটা তেমন ভাল হয়নি তাঁর। গত তিনটি মরশুমে ডেনমার্কের প্রথম ডিভিশন ক্লাব এসবিয়র্গের হয়ে ৮১টি ম্যাচ খেলেছেন তিনি। ২১টি গোলও রয়েছে সেই ক্লাবের হয়ে।

লিস্টন কোলাসো: গত মরশুমে হায়দরাবাদ এফসি-র হয়ে মাঠে নেমে দুর্দান্ত পারফরম্যান্সের পর আসন্ন মরশুমের জন্য রেকর্ড ট্রান্সফার ফি (কোনও ভারতীয় ফুটবলারের ক্ষেত্রে) দিয়ে তাঁকে নিজেদের শিবিরে নিয়ে এসেছে এটিকে মোহনবাগান। গত বার হায়দরাবাদ এফসি-র হয়ে ১৯টি ম্যাচ খেলেন কোলাসো। দুটি গোল করেন ও তিনটিতে অ্যাসিস্ট করেন। তার আগের তিন মরশুমে ১২টি ম্যাচ খেলে দুটি গোল করেন তিনি। ইতিমধ্যেই সবুজ-মেরুন জার্সি গায়ে কোলাসোকে মাঠে দেখা গিয়েছে। একই সঙ্গে ভারতীয় দলের জার্সি গায়েও সম্প্রতি একাধিক ম্যাচ খেলেছেন তিনি। মাঝমাঠ ও আক্রমণের মধ্যে যোগাযোগ ও সামঞ্জস্য বজায় রাখার কাজটাই দেওয়া হয়েছে তাঁকে।

কেরালা ব্লাস্টার্স এফসি

আদ্রিয়ান লুনা: এ-লিগ চ্যাম্পিয়ন মেলবোর্ন সিটি থেকে নিয়ে আসা হয়েছে মিডফিল্ডার উরুগুয়ের আদ্রিয়ান লুনাকে। অস্ট্রেলিয়ায় আসার আগে তিনি স্পেন, মেক্সিকোর ক্লাব ফুটবলেও খেলে এসেছেন।

এনেস সিপোভিচ: চেন্নাইন এফসি থেকে সেন্ট্রাল ডিফেন্ডার সিপোভিচকে নিয়ে এসেছে কেরালা ব্লাস্টার্স। সারায়াভো থেকে উঠে আসা এই ফুটবলার রোমানিয়া, বেলজিয়াম, মরক্কো, সৌদি আরব, কাতারের ক্লাবে খেলে ভারতে আসেন ২০২০-তে।

জর্জ পেরেইরা দিয়াজ: লিওনেল মেসির দেশের ফরোয়ার্ড দিয়াজকে লোনে আনা হয়েছে ক্লাব আতলেতিকো প্লাতেন্সে থেকে। নিজের দেশে তো বটেই, দক্ষিণ আমেরিকার বিভিন্ন দেশে খেলেছেন তিনি। মালয়েশিয়ার অন্যতম সফল ক্লাব জোহোর দারুল তাজিম এফসি-র হয়েও খেলেছেন তিন বছর।

আলভারো ভাসকেস: স্প্যনিশ স্ট্রাইকার ভাসকেস এ বার কেরালার দলের বড় ভরসা হয়ে উঠতে পারেন। স্পেনের স্পোর্টিং দ্য গিজন থেকে তাঁকে নিয়ে এসেছেন কোচ ভুকোমানোভিচ।

মার্কো লেসকোভিচ: ডায়নামো জাগ্রেব থেকে নিয়ে আসা হয়েছে ক্রোয়েশিয়ান সেন্টার ব্যাক মার্কো লেসকোভিচকে। তিন বার ক্রোয়েশিয়ান লিগ চ্যাম্পিয়ন দলে ছিলেন তিনি। জাতীয় দলেও খেলেছেন।

হরমনজ্যোৎ সিং খাবরা: ভারতীয় মিডফিল্ডার হরমনজ্যোৎ সিং খাবরাকে নিজেদের শিবিরে নিয়ে এসেছে কেরালার দল। প্রাক্তন ইস্টবেঙ্গল তারকা হিরো আইএসএলে খেলেছেন চেন্নাইন এফসি ও বেঙ্গালুরু এফসি-র হয়ে। দুবার হিরো আইএসএল চ্যাম্পিয়ন দলেও ছিলেন।

এটিকে মোহনবাগান স্কোয়াড

গোলকিপার: অমরিন্দর সিং, অভিলাষ পাল, অর্শ আনোয়ার শেখ;

ডিফেন্ডার: তিরি, আশুতোষ মেহতা, সুমিত রাঠি, শুভাশিস বোস, প্রীতম কোটাল, প্রবীর দাস, মাইকেল সুসাইরাজ, দীপক টাঙরি, গুরসিমরত গিল, জোস আরোয়ো, রবি রাণা, রিকি সাবং;

মিডফিল্ডার: ইউনি কাউকো, কার্ল ম্যাকহিউ, হুগো বুমৌস, বিদ্যানন্দ সিং, শেখ সাহিল, অভিষেক সূর্যবংশী, লেনি রড্রিগেজ, ইঙ্গসন সিং, কিয়ান নাসিরি;

ফরোয়ার্ড: রয় কৃষ্ণা, ডেভিড উইলিয়ামস, লিস্টন কোলাসো, মনবীর সিং, কিয়ান গিরি।

ম্যাচ: এটিকে মোহনবাগান বনাম কেরালা ব্লাস্টার্স

তারিখ ও সময়: ১৯ নভেম্বর, সন্ধ্যা ৭.৩০

ভেনু: পিজেএন স্টেডিয়াম, ফতোরদা

সম্প্রচার: স্টার স্পোর্টস ২, স্টার স্পোর্টস ২ এইচডি, স্টার স্পোর্টস ৩, স্টার স্পোর্টস ১ হিন্দি, স্টার স্পোর্টস ১ হিন্দি এইচডি, স্টার স্পোর্টস ১ বাংলা

অনলাইন স্ট্রিমিং: ডিজনি+হটস্টার ও জিও টিভি