Picture Courtesy: AFC Media

স্কোরলাইন ভারতের বিপক্ষে। যেখানে লেখা থাকবে ০-২ গোলে হারল ভারত। কিন্তু ম্যাচ যাঁরা দেখেছেন তাঁরা বলতেই পারেন যে ম্যাচের ফল ২-২ হতে পারত বা ভারতের পক্ষে ৩-২ ও হতে পারত। হ্যাঁ ঠিক তাই। ভাগ্য এদিন সাথ দিল না ব্লু টাইগার্সদের। সঙ্গে বলতে হবে ভারতীয় ফুটবলারদের সহজ সুযোগ নষ্টের কথাও। নইলে জিতেই মাঠ ছাড়তেন সুনীলরা। অন্ততপক্ষে ম্যাচ ড্র রেখে মূল্যবান এক পয়েন্ট নিয়ে আসা যেত। 

শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলতে শুরু করেন কনস্টানটাইনের ছেলেরা। প্রথম ৩০ মিনিটেই তিন গোলে এগিয়ে যেতে পারত ভারত। ১১ মিনিটে একা গোলকিপারকে সামনে পেয়ে যান আশিক। কিন্তু তাঁর শট দুর্দান্ত দক্ষতায় বাঁচিয়ে দেন বিপক্ষের গোলকিপার। ২৩ মিনিটে ফ্রি হেডার কাজে লাগাতে পারলেন না অধিনায়ক সুনীল ছেত্রী। তাঁর হেড সরাসরি গোলকিপারকে খুঁজে নেয়। এই মিসের জন্য আফসোস করতেই হবে সুনীলকে।

মাঝখান থেকে খেলার গতির বিরুদ্ধে প্রথমার্ধের ৪১ মিনিটে গোল পেয়ে যায় আরব আমিরশাহি। ঠিক পরের মিনিটেই আবার সুবর্ণ সুযোগ পেয়ে যান সুনীল। এবার তাঁর শট কয়েক ইঞ্চির জন্য বাইরে যায়। তখনই মনে হচ্ছিল দিনটা হয়ত ভারতের নয়। ৫৬ মিনিটে আরও একবার ভাগ্য সহায় হল না। এবার উদান্তার দুরন্ত শট ক্রসপিসে লেগে ফিরল! তখন ব্লু টাইগার্সদের মাথায় একটা জিনিসই শুধু ঘুরছে, গোল পাওয়ার জন্য আর কী কী করতে হবে!

ভারতের সামনে সুযোগ এসে যাচ্ছিল কিন্তু কিছুতেই গোলটা শুধু আসছিল না। অন্যদিকে আরও একবার খেলার বিরুদ্ধে গিয়ে ৮৮ মিনিটে গোল পেয়ে যায় এশিয়ান কাপের আয়োজক দেশ। ম্যাচে সমতা ফেরানোর সব আশা তখনই শেষ হয়ে যায় ভারতের কাছে।

দুর্দান্ত খেলেও হার। ম্যাচ শেষে সুনীল বলেছেন, 'আমরা সুযোগগুলো কাজে লাগাতে পারিনি, ওরা সেটা পেরেছে। সুযোগগুলো কাজে লাগালে ম্যাচের ফল অন্যরকম হতে পারত। তবে আমরা এখনও দৌড়ে আছি। দল হিসাবে আমরা ঐক্যবদ্ধ এবং লড়াই করার জন্য তৈরি। আর সেটাই করতে চলেছি বাহরিনের বিরুদ্ধে।