এটিকে মোহনবাগানের গোলে অতন্দ্র প্রহরীর ভূমিকায় এই মরশুমে দেখা যাবে না অরিন্দম ভট্টাচার্যকে। শনিবার তাঁকে বিদায় জানাল কলকাতার ক্লাব। অরিন্দম নিজেও জানিয়ে দিলেন, এ বার অন্য ক্লাবের দিকে পা বাড়াবেন তিনি।

শনিবার সন্ধ্যায় নিজেদের সোশ্যাল মিডিয়া পেজে এটিকে মোহনবাগান জানিয়ে দেয়, আমাদের অন্যতম অধিনায়ক, (হিরো আইএসএলে) গোল্ডেন গ্লাভজয়ী অরিন্দম ভট্টাচার্যকে বিদায় জানাই। মেরিনার্সের পক্ষ থেকে ভবিষ্যতের জন্য শুভেচ্ছা রইল। সব কিছুর জন্য তোমাকে ধন্যবাদ

তার আগে দুপুরে অরিন্দম তাঁর সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডলে এক দীর্ঘ ও আবেগে ঠাসা বিদায় বার্তা দেন। তাতে তিনি লেখেন, এটিকে মোহনবাগানে ফুটবল জীবনের অন্যতম সেরা সময় কাটিয়েছি। দেশের সেরা দলের হয়ে খেলাটা আমার কাছে খুবই সুখকর অভিজ্ঞতা ছিল। কিন্তু টানা তিনটি সফল বছর কাটানোর পরে এ বার বিচ্ছেদের সময় এসেছে। কারণ, সব ভাল সময়েরই একটা শেষ থাকে

গত মরশুমে হিরো আইএসএলে সেরা গোলকিপারের খেতাব গোল্ডেন গ্লাভ পান অরিন্দম। ২০১৮-১৯ মরশুমের আগে তিনি এটিকে এফসি-তে যোগ দেন মুম্বই সিটি এফসি থেকে। সেই বছর থেকেই কলকাতার দলের এক নম্বর গোলকিপার তিনি। ২০১৯-২০ মরশুমে চ্যাম্পিয়ন এটিকে দলের সদস্য ছিলেন তিনি। গত মরশুমেও অসাধারণ পারফরম্যান্স দেখান ও টানা দ্বিতীয় বার হিরো আইএসএল ফাইনালে খেলেন। ২৩ ম্যাচে ৫৯টি সেভ ছিল তাঁর। ১৯টি গোল খান। গত বছর লিগ পর্বে এটিকে মোহনবাগান সবচেয়ে কম গোল (১৬) খায়। 

তার আগের মরশুমেও ২০ ম্যাচে ৫৩টি সেভ করেছিলেন ও ১৭টি গোল খেয়েছিলেন অরিন্দম। টানা দুই মরশুমে জীবনের অন্যতম সেরা সময়ের মধ্যে দিয়ে যান তিনি। কিন্তু এই মরশুমে হিরো আইএসএলের আর এক সেরা গোলকিপার অমরিন্দর সিং এটিকে মোহনবাগানে যোগ দেওয়ায় তিনি সম্ভবত আশাহত হন এবং হয়তো সেই কারণেই ক্লাব ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিলেন। সদ্যসমাপ্ত এএফসি কাপের গ্রুপ পর্বের তিনটি ম্যাচেই গোলরক্ষার দায়িত্বে ছিলেন অমরিন্দর।

বিদায় বার্তায় অরিন্দম লিখেছেন, জীবনের প্রথম গোল্ডেন গ্লাভ অর্জন করি সবুজ-মেরুনের হয়ে খেলেই। আমার কাছে সেটা ছিল স্পেশাল, কারণ, আমি এই খেতাব জিতেছিলাম আমার সিটি অফ জয়’-এর জন্য। মাঝে মাঝে আমরা ব্যর্থ হয়েছি বটে, কিন্তু ফের ঘুরে দাঁড়িয়েছি। এর নেপথ্যে যে মানুষটার কথা না বললে নয়, তিনি আমাদের কোচ আন্তোনিও লোপেজ হাবাস। উনি আমার জীবনে চিরকাল বিশেষ জায়গায় থাকবেন। আপনার দলে আমাকে জায়গা দেওয়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ, কোচ

সবুজ-মেরুন বাহিনীর গোলকিপার কোচ জেভিয়ার পিনদাদোকেও ধন্যবাদ জানিয়ে অরিন্দম লিখেছেন, আমার কাছে আপনি আমার দাদার চেয়েও বেশি কিছু। সতীর্থদের ধন্যবাদ জানিয়ে অরিন্দম লিখেছেন, নতুন অভিযান শুরুর আগে আমি সতীর্থদের প্রত্যেককে ধন্যবাদ জানাতে চাই। প্রত্যেকে আমাকে যথেষ্ট সাহায্য করেছে এবং আমার পাশে থেকেছে