এশিয়ান কাপ বাছাই পর্বের নিয়মরক্ষার ম্যাচে মুখোমুখি ভারত, বাংলাদেশ
ভারতীয় দলে ২৩ জনের মধ্যে সাতজন এমন ফুটবলার আছেন, যারা এর আগে কখনও ভারতের সিনিয়র দলের জার্সি গায়ে মাঠে নামেননি।
দীর্ঘ ২২ বছর পর ঢাকার মাঠে নামছে ভারতীয় ফুটবল দল। উদ্দেশ্য এএফসি এশিয়ান কাপের বাছাই পর্বের ম্যাচে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে জয়, যা প্রতিবেশী দেশের বিরুদ্ধে তাদের ১৫তম জয় হয়ে উঠতে পারে। কিন্তু মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ঢাকার ন্যাশনাল স্টেডিয়ামে আদৌও জিততে পারবে ভারত? এটাই এখন সবচেয়ে বড় প্রশ্ন।
ফুটবলে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে বরাবরই আধিপত্য বিস্তার করে এসেছে ভারত। দুই দেশের মধ্যে এর আগে যে ২৯টি ম্যাচ হয়েছে, তার মধ্যে মাত্র চারটিতে জিতেছে বাংলাদেশ এবং ১১টি ম্যাচ ড্র হয়েছে। চলতি বাছাই পর্বে গত মার্চে শিলংয়েও তাদের বিরুদ্ধে ড্র করে তারা। তবে এ বার এই ম্যাচে ভারতকে আরও কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হতে পারে। কারণ, বাংলাদেশ তাদের ঘরের মাঠে খেলার সুবিধা পাবে।
যেমন ২০০৩-এর সাফ গোল্ড কাপে হয়েছিল। সে বার নিজেদের মাঠে ভারতকে ২-১-এ হারিয়েছিল বাংলাদেশ। তবে এ বার আর তা হতে দিতে চান না ভারতের কোচ খালিদ জামিল। ৬ নভেম্বর থেকে এই ম্যাচের জন্য প্রস্তুতি শিবির শুরু করেছে ভারত। ঢাকায় এসে দু’দিন অনুশীলন করার সুযোগ পেয়েছে তারা।
🇮🇳 The #BlueTigers got done with their first training session in Bangladesh today 🇧🇩#ACQ2027 #IndianFootball ⚽️ pic.twitter.com/9E2Fm1xf2W
— Indian Football (@IndianFootball) November 16, 2025
দুই দলের কাছেই এটি নিয়মরক্ষার ম্যাচ। কারণ, দু’পক্ষই বাছাই পর্বের দৌড় থেকে ছিটকে গিয়েছে। চার ম্যাচে দুই পয়েন্ট করে পেয়েছে তারা। ফলে গ্রুপের সেরা দল হিসেবে তাদের মূলপর্বে ওঠা আর সম্ভব নয়। এখন দুই দলেরই লক্ষ্য যথাসম্ভব জয় ও পয়েন্ট অর্জন করে ফিফা ক্রমতালিকায় নিজেদের অবস্থানে উন্নতি করা। নিয়মরক্ষার ম্যাচ হলেও এই দ্বৈরথ নিয়ে বাংলাদেশের ফুটবলপ্রেমীদের যথেষ্ট আগ্রহ আছে বলে জানিয়েছে সর্বভারতীয় ফুটবল ফেডারেশন। স্টেডিয়ামের ২২ হাজার আসন সম্পুর্ণ ভরে যাবে বলে জানিয়েছে তারা।
এ বছর বাছাই পর্বে বাংলাদেশ অবশ্য তাদের ঘরের মাঠে দু’টি ম্যাচেই হেরেছে। সিঙ্গাপুরের কাছে ১-২-এ ও হংকংয়ের কাছে ৩-৪-এ হারে তারা। চার দিন আগে এই মাঠেই এক ফ্রেন্ডলি ম্যাচে নেপালের সঙ্গে ২-২ ড্র করে তারা। সেই ম্যাচে তাদের তারকা মিডফিল্ডার হামজা চৌধুরি জোড়া গোল করেন। তাই এই ম্যাচেও তিনি যথেষ্ট আত্মবিশ্বাস নিয়ে নামবেন এবং অনেকেরই নজর থাকবে হামজার ওপর।
জামিল অবশ্য বিপক্ষের কোনও একজন খেলোয়াড়ের ওপর বাড়তি গুরুত্ব দিতে রাজি নন। তিনি বলেন, “আমরা আমাদের পরিকল্পনা অনুযায়ী খেলব। বাংলাদেশের যেমন ভাল খেলোয়াড় আছে, আমাদের দলেও ভাল ফুটবলার আছে। আমরা প্রতিপক্ষের পুরো দলটাকে নিয়ে ভাবছি। এই ম্যাচটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তাই আমাদের সঠিক মানসিকতা থাকা দরকার। মাথা ঠাণ্ডা রাখতে হবে, যাতে ইতিবাচক ফল নিয়ে দেশে ফিরতে পারি”।
তারুণ্যে ভরা দল নিয়ে ঢাকায় এসেছেন খালিদ জামিল, যে দলে ২৩ জনের মধ্যে সাতজন এমন ফুটবলার আছেন, যারা এর আগে কখনও ভারতের সিনিয়র দলের জার্সি গায়ে মাঠে নামেননি। দলে তরুণ খেলোয়াড়দের এত আধিক্য নিয়ে ভারতের কোচ সোমবার সাংবাদিকদের বলেন, “আমি ওদের নিয়ে খুশি। প্রত্যেকেই পরিশ্রম করছে। নতুন ফুটবলাররা জানে এই ম্যাচের গুরুত্ব কতটা। ওরা ওদের সেরাটাই দেবে বলে আমার ধারণা। বাংলাদেশ ভাল দল। ওদের বিরুদ্ধে বেশ ভালই ম্যাচ হবে”।
তবে এই ম্যাচ নিয়ে কোনও বাড়তি চাপ না নেওয়ার পরামর্শ তাঁর দলের ছেলেদের দিয়েছেন খালিদ জামিল। বলেন, “জানি, এই ম্যাচে চাপ থাকবে। তবে আমাদের বেশি চাপ না নিয়ে ম্যাচে মনোনিবেশ করতে হবে এবং ইতিবাচক ফল পাওয়ার চেষ্টা করতে হবে”।
ম্যাচের বিবরণ
ম্যাচ: বাংলাদেশ বনাম ভারত
তারিখ: ১৮ নভেম্বর, ২০২৫
সময়: সন্ধ্যা ৭:৩০
ভেনু: ন্যাশনাল স্টেডিয়াম, ঢাকা
লাইভ স্ট্রিমিং : ফ্যানকোড













