চেন্নাইয়িন এফসি - ৩ নর্থইস্ট ইউনাইটেড এফসি – ০
(হাক্কু আত্মঘাতী ১১, রাফায়েল ২৪, রফি ৮৪)

নিজেদের ঘরের মাঠে নর্থইস্ট ইউনাইটেড এফসি-কে হারিয়ে চতুর্থ ইন্ডিয়ান সুপার লিগে জয়ের আভিযান শুরু করল চেন্নাইয়িন এফসি। শুধু জিতলই না, ম্যাচের প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত, খেলায় নিজেদের রাশ ধরে রাখল চেন্নাই। ২০১৫-র আইএসএল চ্যাম্পিয়ন চেন্নাইয়িন এফসি নর্থইস্টকে হারাল ৩-০ গোলে।

চার দিনের ব্যবধানে ঘরের মাঠে দ্বিতীয় ম্যাচ খেলতে নেমেছিল চেন্নাইয়িন। ১১ মিনিটেই প্রথম গোল পায় চেন্নাই। প্রথম গোলের ক্ষেত্রে কিছুতেই দায় এড়াতে পারবেন না নর্থইস্টের আবদুল হাক্কু। বাঁদিক থেকে ঢুকে এসে রাফায়েল অগুস্তোর নির্বিষ শট যাচ্ছিল হয়ত গোলের বাইরেই। কিন্তু হাক্কুর মাথায় লেগে এমনভাবে দিক পরিবর্তন করে, গোলরক্ষক রেহনেশের কিছু করারই ছিল না।

২৪ মিনিটে দ্বিতীয় গোল রাফায়েলের নিজের। বিক্রমজিৎ বলটা তুলে দিয়েছিলেন যেখান থেকে হেডে নামিয়ে রাফায়েলের জন্য রেখে দিয়েছিলেন নেলসন। রাফায়েল শট নেন যা আটকানোর চেষ্টা করেছিলেন হাক্কু ও রেহনেশ, কিন্তু পারেননি।

চেন্নাইয়িনের ইংরেজ কোচ জন গ্রেগরি জানতেন, প্রথম ম্যাচের স্মৃতি ভোলাতে দলে কিছু পরিবর্তন জরুরি। চারজনকে পাল্টে দেন প্রথম একাদশের। নেলসন, ফ্রান্সিস, বিক্রমজিৎ এবং গণেশ সুযোগ পান শুরু থেকেই।

তৃতীয় গোল খেলার একেবারে শেষ দিকে, ম্যাচের বয়স তখন ৮৪ মিনিট, হাল প্রায় ছেড়েই দিয়েছিল নর্থইস্ট। নেলসনকে ফাউল করায় ফ্রি কিক পেয়েছিল চেন্নাইয়িন। গাভিলানের ফ্রি কিক বারে লেগে গোলরক্ষক রেহনেশের পিঠে লেগে উঁচু হয়ে সামনে পড়ছিল যখন, জেজের পরিবর্তে তিন মিনিট আগে মাঠে নামা মহম্মদ রফি এগিয়ে এসেছিলেন, হেডে গোল করতে কোনও অসুবিধাই হয়নি তাঁর।

নর্থইস্ট-এর পর্তুগিজ কোচ হোয়াও দে গেউস নিশ্চিতভাবেই দলের খেলায় খুশি হবেন না। যেখানে ২৫ মিনিটের মধ্যেই দুগোলে পিছিয়ে পড়তে হয়। আর চেন্নাইয়িন কোচ জন গ্রেগরির সন্তুষ্টির কারণ, প্রথম ম্যাচে গোয়ার কাছে হারের পর, দ্বিতীয় ম্যাচেই ঘুরে দাঁড়াল তাঁর ছেলেরা।

চেন্নাইয়ের জওহরলাল নেহরু স্টেডিয়ামে অতীতে তিন বছরে একবারও হারেনি নর্থইস্ট ইউনাইটেড এফসি। অবশেষে সেই ইতিহাসের সমাপ্তি ঘটল। এদিনের ম্যাচ জিতে লিগ টেবিলের ১ নম্বরে চলে গেল চেন্নাই।