প্রাক্তন হিরো আইএসএল জয়ী দলের ফুটবলার দিমাস দেলগাদোকে দু’বছরের জন্য সহকারী কোচ হিসেবে নিযুক্ত করল ইস্টবেঙ্গল এফসি। ৪০ বছর বয়সি এই প্রাক্তন তারকা তাদের হেড কোচ কার্লস কুয়াদ্রাতের সহকারী হিসেবে কাজ করবেন। কুয়াদ্রাতের প্রশিক্ষণেই বেঙ্গালুরু এফসি-র হয়ে খেলেছেন দেলগাদো। বুধবার ক্লাবের পক্ষ থেকে সরকারি ভাবে জানানো হয় এই খবর।   

উয়েফার এ লাইসেন্সের অধিকারী দেলগাদো ২০১৮-১৯ মরশুমে চ্যাম্পিয়ন বেঙ্গালুরু এফসি দলে ছিলেন। সে বার ফাইনালে এফসি গোয়ার বিরুদ্ধে তাঁর কর্নার থেকেই গোল করে দলকে চ্যাম্পিয়নশিপ এনে দেন রাহুল ভেকে। তার আগের মরশুমে, হিরো আইএসএলে তাঁর প্রথম বছরে, বেঙ্গালুরুকে রানার্স-আপ ট্রফি জিততে সাহায্যও করেন এই স্প্যানিশ মিডফিল্ডার।

২০১৭ থেকে ২০২১—এই চার বছর বেঙ্গালুরু এফসি-র মাঝমাঠে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন দেলগাদো। এই সময়ে ৬৭টি ম্যাচে চারটি গোল, ১৪টি অ্যাসিস্ট, ১৯৮টি ট্যাকল, ৮৩টি ইন্টারসেপশন ও ৭৪টি ক্লিয়ারেন্স করেন তিনি। ২০০৬ থেকে ২০০৮ তিনি ছিলেন পেপ গুয়ার্দিওলার এফসি বার্সেলোনা ‘বি’ দলের সদস্য। ২০০৮-এ সিডি নুমানসিয়ার হয়ে লা লিগায় অভিষেক হয় তাঁর। এর পরে তিনি স্প্যানিস ক্লাব ফুটবলের দ্বিতীয় ডিভিশনে, অস্ট্রেলিয়ায় ‘এ’ লিগেও খেলেন।    

সহকারী কোচ হিসেবে ইস্টবেঙ্গলে যোগ দিয়ে দেলগাদোর প্রতিক্রিয়া, “স্পেনে খেলার সময়ই আমি কোচিং লাইসেন্স পাই। ফুটবল কেরিয়ারে একাধিক কোচের সঙ্গে কাজ করেছি এবং তাঁদের কাছ থেকেও কোচিং শেখার চেষ্টা করেছি। এখন আমার পেশাদার কেরিয়ার শেষ হওয়ার পর কোচ হিসেবে ইস্টবেঙ্গলে যোগ দেওয়া এবং কোচ কার্লস ও বিনোর সঙ্গে কাজ করাটা আমার কাছে বড় সুযোগ। দুই কোচেরই প্রচুর জ্ঞান ও অভিজ্ঞতা রয়েছে। কুয়াদ্রাতের তত্ত্বাবধানে আমি খেলেছি। আমাদের ফুটবল দর্শন ও মানসিকতা প্রায় একই রকম। তাই দু’জনে একসঙ্গে কাজ করতে সুবিধাই হবে”।

ভারতীয় ফুটবলের অভিজ্ঞতা নিয়ে দেলগাদো বলেন, “ভারতে ফুটবল খেলেছি বলেই এখানকার ফুটবল নিয়ে ধারণা রয়েছে আমার। ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের শতাব্দী প্রাচীন ঐতিহ্য রয়েছে। এই ক্লাবের সঙ্গে নিজেকে জড়াতে পেরে আমি গর্বিত। লাল-হলুদ সমর্থকদের সামনে হাজির হওয়ার জন্য আর যেন তর সইছে না”।

তাঁকে সহকারী হিসেবে পেয়ে খুশি দলের হেড কোচ কুয়াদ্রাত ক্লাবের মিডিয়া টিমকে বলেছেন, “ভারতীয় ফুটবল সম্পর্কে দিমাসের যথেষ্ট ভাল অভিজ্ঞতা রয়েছে। বেঙ্গালুরু এফসি-র সুবর্ণ দিনগুলোতে ও ছিল দলের নেতৃস্থানীয় অংশের অন্যতম। খেলোয়াড়দের সঙ্গে কোচিং স্টাফের মধ্যে সেতু হিসেবে কাজ করবে ও। ওকে পেয়ে আমরা খুবই খুশি”।