সোমবার যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে যারা জিতবে, তাদের হাতেই উঠবে চলতি ইন্ডিয়ান সুপার লিগের শিল্ড, যে শিল্ড দেওয়া হয়ে থাকে লিগ টেবলে যে দল সবার ওপরে থেকে শেষ করে, তাদের। সোমবার মোহনবাগান সুপার জায়ান্টের ঘরের মাঠে সেই শিল্ড নিজেদের কাছে রেখে দেওয়ার লড়াইয়ে নামছে মুম্বই সিটি এফসি। গতবারও তারাই যে জিতেছিল এই খেতাব। গতবার তারা শেষ দু’রাউন্ড বাকি থাকতেই জিতে নিয়েছিল লিগশিল্ড। কিন্তু প্লে অফে বেঙ্গালুরু এফসি-র কাছে হেরে ছিটকে যায়। এ বার যে রকম দুর্দান্ত ফর্মে রয়েছে মুম্বই সিটি এফসি, তাতে তারা টানা দ্বিতীয়বার এই খেতাব জয় করলেও অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না।  

সোমবারের এই ম্যাচেই নির্ধারিত হবে এ মরশুমে লিগ পর্বের এক নম্বর দল হিসেবে কারা শেষ করবে এবং লিগশিল্ড জিতে কারা আগামী বছর এএফসি চ্যাম্পিয়ন্স লিগের গ্রুপ পর্বে সরাসরি খেলার ছাড়পত্র পাবে। শীর্ষে থাকা মুম্বই সিটি এফসি (৪৭) ও মোহনবাগানের (৪৫) মধ্যে আপাতত মাত্র দু’পয়েন্টের পার্থক্য। অর্থাৎ শীর্ষে উঠতে গেলে মোহনবাগানকে শেষ ম্যাচে জিততেই হবে। কিন্তু মুম্বই সিটি এফসি-র পক্ষে ড্র-ই যথেষ্ট। 

তাই এই ম্যাচে মুম্বইয়ের রক্ষণ যে গোল না খাওয়ার সংকল্প নিয়ে মাঠে নামবে, এই নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই। মুম্বই সিটি এফসি-র এই দুর্ভেদ্য প্রাচীরে ভাঙন ধরিয়ে তাদের জালে একাধিকবার বল জড়ানোই হবে সবুজ-মেরুন বাহিনীর লক্ষ্য। কিন্তু তা করতে গিয়ে তাদের রক্ষণ যদি জনমানবহীন হয়ে যায়, তা হলে সে সুযোগ কাজে লাগাবেই মুম্বই সিটি এফসি। তাই রক্ষণে পাহাড়া বজায় রেখে আক্রমণে ওঠার কৌশল নিয়েই মাঠে নামা উচিত সবুজ-মেরুন বাহিনীর। 

অঘোষিত ফাইনাল 

সুতরাং, আগামী ৪ মে আইএসএলের ফাইনালের আগে সোমবার আর একটি অঘোষিত ফাইনাল দেখার আশায় যুবভারতীর গ্যালারিতে ভিড় জমাবেন হাজার হাজার ফুটবলপ্রেমী। ফাইনাল যে রকম হওয়া উচিত, একেবারে সে রকমই হতে চলেছে এই ম্যাচ। দুর্দান্ত ফর্মে রয়েছে দুই দলই। গত পাঁচটি ম্যাচের সবকটিতেই জিতেছে মুম্বই সিটি এফসি। এই পাঁচটি ম্যাচে ১৬টি গোল করেছে তারা। মাত্র চারটি গোল হজম করেছে এই পাঁচ ম্যাচে। অন্যদিকে, মোহনবাগান শেষ পাঁচটির মধ্যে চারটি ম্যাচেই জিতেছে। এই পাঁচটি ম্যাচে তারা ১৪টি গোল করেছে এবং সাতটি গোল খেয়েছে। শেষ দু’টি ম্যাচে কলকাতার দল যেখানে কোনও গোল খায়নি, দিয়েছে পাঁচটি গোল , সেখানে মুম্বই তাদের শেষ দু’টি ম্যাচে পাঁচ গোল দিয়ে একটি খেয়েছে। দুই প্রতিপক্ষের মধ্যে যেন পুরো ‘এ বলে আমায় দেখ, ও বলে আমায়’ পরিস্থিতি। শেষ পর্যন্ত কারা যে সোমবার রাতে শেষ হাসি হাসবে, তা আগাম বলার ঝুঁকি কোনও বিশেষজ্ঞ নেবেন বলে মনে হয় না। 

ঘরের মাঠে প্রায় হাজার পঞ্চাশ সমর্থক যখন তাদের হয়ে গলা ফাটাবেন, তখন যুবভারতীর আকাশ-বাতাস যে কাঁপবে, এই নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই। এই পঞ্চাশ হাজারকে চুপ করিয়ে ম্যাচ বের করে নেওয়া যে তাদের পক্ষে সম্ভব, তা মুম্বই সিটি এফসি এই মরশুমেই দেখিয়ে দিয়েছে ইস্টবেঙ্গলের বিরুদ্ধে নেমে। 

ফেব্রুয়ারিতে সেই ম্যাচে ৭০ শতাংশ বল ছিল মুম্বইয়ের খেলোয়াড়দের পায়ে। প্রথমার্ধে ইকার গুয়ারৎজেনার অসাধারণ গোলে জেতে তারা। তার পর ঝাঁকে ঝাঁকে আক্রমণ করলেও ইস্টবেঙ্গলের রক্ষণে বারবার আটক হয়ে যায় মুম্বই। ইস্টবেঙ্গলকে একটিও শট তিনকাঠির মধ্যে রাখতে দেয়নি তারা। প্রতিপক্ষের বক্সের মধ্যে মুম্বই যেখানে ৩২বার বলে পা ছোঁয়ায়, সেখানে ইস্টবেঙ্গল অপর প্রান্তের বক্সে ঢুকে ১১বারের বেশি পা ছোঁয়াতে পারেনি। অর্থাৎ, যুবভারতীতে নেমে আধিপত্য করার দৃষ্টান্ত রেখে গিয়েছে পিটার ক্রাতকির দল। তবে মোহনবাগানের বিরুদ্ধে তাদের পরীক্ষা এখনও বাকি আছে এবং এটিই তাদের সবচেয়ে কঠিন পরীক্ষা। 

হাবাসের প্রত্যাবর্তন?

শুধু হোম ম্যাচের সুবিধা নয়, এই ম্যাচের আগে মোহনবাগান আরও অনেকটা অক্সিজেন পেয়ে গিয়েছে তাদের কোচ আন্তোনিও লোপেজ হাবাস মাঠে ফিরে আসায়। হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়ায় তিনি দলের শেষ তিনটি ম্যাচে ডাগ আউটে থাকতে পারেননি। তবে শনিবার তিনি দলের অনুশীলনে ফিরে আসায় লিগের শেষ ম্যাচে তাঁর মাঠে থাকার সম্ভাবনা প্রবল হয়েছে। তাঁর উপস্থিতি যে দলকে বাড়তি অক্সিজেন জোগাবে, এই নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই। 

হাবাস মাঠে ফিরলেও দলের নির্ভরযোগ্য উইঙ্গার সহাল আব্দুল সামাদের ফেরার সম্ভাবনা নিয়ে দলের তরফ থেকে তেমন কোনও আশার বাণী শোনাতে পারেনি কেউ। এখনও তিনি দলের অনুশীলনে পুরোপুরি ফিরতে পারেননি। ফিজিওর সঙ্গেই বেশি সময় কাটাতে হচ্ছে তাঁকে। ফলে এই ম্যাচে তাঁকে পাওয়া যাবে কি না, তা অনিশ্চিত। এ ছাড়া গত দুই ম্যাচের কম্বিনেশন কোচেরা ভাঙতে চাইবেন কি না, সহালকে প্লে-অফের জন্যই রেখে দিতে চাইবেন কি না, এগুলোও গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন। 

সেরা ম্যাচে মোহনবাগান যে সেরা দলই নামাবে, তেমনই আশা করা যায়। আক্রমণে দিমিত্রিয়স পেট্রাটস, জনি কাউকো, লিস্টন কোলাসো, মনবীর সিং, জেসন কামিংস বা আরমান্দো সাদিকুদের মধ্যে একজন, রক্ষণে হেক্টর ইউস্তে, শুভাশিস বোস, আনোয়ার আলি, মাঝামাঠে অনিরুদ্ধ থাপা, আশিস রাই, দীপক টাঙরিদের দেখা যাওয়ার সম্ভাবনাই বেশি। তবে দু-একটি জায়গায় চমকও দিতে পারে তারা। এর আগেও যা হয়েছে। 

বিক্রমহীন মুম্বই 

চলতি লিগে মোহনবাগান শিবির যেমন এ পর্যন্ত ১৫জন গোলদাতাকে পেয়েছে, মুম্বই সিটি এফসি-কে গোল উপহার দিয়েছেন তাদের ১৫জন ফুটবলার। সবচেয়ে বেশি গোল জর্জ পেরেইরা দিয়াজের। তবে দলের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ গোল যাঁর, সেই বিক্রম প্রতাপ সিং এই ম্যাচে খেলতে পারবেন না কার্ড সমস্যার জন্য। যদিও কোচ পিটার ক্রাতকি মনে করেন, তাঁর জায়গায় খেলার মতো যোগ্য পরিবর্ত তাদের কাছে আছে। তবে উইং দিয়ে আক্রমণে ধারালো আক্রমণে উঠে যে ভাবে বারবার ফিনিশ করেছেন বিক্রম, তেমন ধার এখন পর্যন্ত তাঁর দলের অন্য ভারতীয়দের কাছে দেখা যায়নি। লালিয়ানজুয়ালা ছাঙতে, বিপিন সিংরা গোল করলেও বিক্রমের মতো বিপজ্জনক হয়ে উঠতে পারেননি। গত মাসে নর্থইস্টের বিরুদ্ধে হ্যাটট্রিক করেন বিক্রম। গত কয়েকটি ম্যাচে নিয়মিত গোলও পেয়েছেন তিনি। ফলে তাঁর না থাকা মুম্বইকে কিছুটা হলেও দুর্বল করবে। তাঁর জায়গায় গুরকিরাত সিংকে দেখা যেতে পারে। সঙ্গে বিপিন সিং, পেরেইরা দিয়াজ, আলবার্তো নগুয়েরা, লালেঙমাউইয়া রালতে। তবে গোলের জন্য সেই দিয়াজই ভরসা ক্রাতকির। 

মোহনবাগানের প্রাক্তনী তিরিকে নিয়ে গড়া তাদের রক্ষণ বেশ শক্তিশালী। চলতি লিগে সবচেয়ে কম (১৭) গোল খেয়েছে তারাই। গত চারটি ম্যাচের মধ্যে দু’টিতে ক্লিন শিট রাখে তারা, বাকি দু’টিতে একটি করে গোল খায়। অধিনায়ক রাহুল ভেকে, তিরি, মেহতাব সিং, আকাশ মিশ্র এই দলের রক্ষণের প্রধান স্তম্ভ, যাঁরা দলের রক্ষণের দেওয়ালকে দুর্ভেদ্য করে তুলেছেন। সারা টুর্নামেন্টে আটটি ম্যাচে ক্লিন শিট রেখে তারা, যদিও মোহনবাগানের ক্লিন শিটের সংখ্যাও একই। 

সেই রাত আর নয়

বোঝাই যাচ্ছে, একটা হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হতে চলেছে যুবভারতীতে। কিন্তু গত ডিসেম্বরে দুই দলের মধ্যে মুম্বই ফুটবল এরিনায় যে রকম চড়া মেজাজের ম্যাচ হয়েছিল, তার পুনরাবৃত্তি যেন না হয়, সেটাই কাম্য। সে দিন রেফারি রাহুল গুপ্তার পকেট থেকে সাতবার হলুদ কার্ড ও সাতবার লাল কার্ড বেরিয়েছিল, যা আইএসএলে নজির। সেই ম্যাচে মুম্বই সিটি এফসি-র চারজন ও মোহনবাগান এসজি-র তিনজন ফুটবলার লাল কার্ড দেখেন। 

হোম টিমের আকাশ মিশ্র, গ্রেগ স্টুয়ার্ট, বিক্রম প্রতাপ সিং ও অধিনায়ক রাহুল ভেকে লাল কার্ড দেখার সঙ্গে মোহনবাগানের আশিস রাই, লিস্টন কোলাসো ও হেক্টর ইউস্তেকেও মাঠ ছেড়ে যাওয়ার নির্দেশ দেন রেফারি। ম্যাচে শেষ পর্যন্ত দুই দলেরই ন’জন করে ফুটবলার মাঠে রয়ে যান। ম্যাচের পরেও যার রেশ থাকে এবং নিজেদের মধ্যে ঝামেলা করে দুই দলের আরও তিন খেলোয়াড় লাল কার্ড দেখেন। সোমবার যুবভারতীতে যেন ফের সে রকম পরিস্থিতি তৈরি না হয়।   

দ্বৈরথের পরিসংখ্যান

এ বার যেহেতু প্রথম মুখোমুখিতে জয়ী হয়েছে মুম্বই সিটি এফসি, তাই সোমবার যুবভারতীতে লিগশিল্ডের পাশাপাশি মোহনবাগানের বিরুদ্ধে লিগ ডাবলের লক্ষ্য নিয়েও নামবে তারা। চলতি লিগে চারটি দলের বিরুদ্ধে ইতিমধ্যেই লিগ ডাবল করে ফেলেছে মুম্বই। সোমবার জিতলে পাঁচ নম্বর লিগ ডাবল হবে তাদের। মোহনবাগানের ইতিমধ্যেই পাঁচবার লিগ ডাবল করা হয়ে গিয়েছে। সম্প্রতি অ্যাওয়ে ম্যাচে দুর্দান্ত ফর্মে রয়েছে মুম্বই সিটি এফসি। গত পাঁচটি অ্যাওয়ে ম্যাচের মধ্যে চারটিতেই ক্লিন শিট রেখেছে তারা। প্রতিপক্ষের বক্সে এ পর্যন্ত মোট ৪৯৮বার বল ছুঁয়েছে মুম্বই সিটি এফসি, যা মোহনবাগানের চেয়ে কম। 

চলতি লিগে প্রতিপক্ষের ক্রস থেকে মাত্র একটি গোল খেয়েছে মুম্বই সিটি এফসি, মোহনবাগানের ক্ষেত্রে যে সংখ্যাটি হল চার। অন্যদিকে মুম্বই সিটি এফসি ক্রস থেকে গোল করেছে আটটি, মোহনবাগান এ রকম গোল পেয়েছে চারটি।  

মোহনবাগান গত দু’টি ম্যাচে একটিও গোল হজম করেনি। ২০২২-এর নভেম্বর-ডিসেম্বরে তারা টানা চারটি ম্যাচে কোনও গোল খায়নি। ঘরের মাঠে শেষ পাঁচটি ম্যাচেই গোল পেয়েছে মোহনবাগান এসজি। এই পাঁচ হোম ম্যাচে তারা ১৩টি গোল করেছে ও সাতটি গোল খেয়েছে। এই পাঁচটি হোম ম্যাচের মধ্যে তিনটিতে জিতেছে তারা, একটি করে ড্র ও হারও ছিল। প্রতিপক্ষের বক্সে ৫০০ বা তার বেশিবার বল ছোঁয়ার কৃতিত্ব চলতি লিগে মাত্র দুটি দলের আছে। তাদের অন্যতম হল মোহনবাগান এফসি (৫০১)। অন্য দলটি হল এফসি গোয়া (৫৯১)।  

ভারতীয় ফুটবলারদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি গোল-অবদান রয়েছে বিপিন সিংয়ের (৩টি গোল, ২টি অ্যাসিস্ট)। সোমবার তিনি কোনও গোল করলে বা করালে আইএসএলের ইতিহাসে সর্বোচ্চ গোল-অবদান রাখা ভারতীয়দের তালিকায় দু’নম্বরে চলে আসবেন তিনি। ৩৫টি গোলে অবদান রেখেছেন বিপিন। ৬৫টি গোল-অবদান নিয়ে তালিকার শীর্ষে রয়েছেন সুনীল ছেত্রী। সোমবার মোহনবাগানের প্রথম এগারোয় থাকলে লিস্টন কোলাসো এই ক্লাবের হয়ে ৫০তম ম্যাচে শুরু করবেন। তাঁর সতীর্থ মনবীর সিং চলতি লিগে সাতটি গোলে অ্যাসিস্ট করেছেন। যা ভারতীয়দের মধ্যে সর্বোচ্চ এবং এই মরশুমে যুগ্ম ভাবে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ, মাদি তালালের সঙ্গে। সোমবার তিনি যদি কোনও গোলে অ্যাসিস্ট করেন, তা হলে এক মরশুমে সবচেয়ে বেশি অ্যাসিস্ট দেওয়া মোহনবাগান খেলোয়াড়ের নজির গড়ে ছোঁবেন রয় কৃষ্ণাকে। 

 দ্বৈরথের ইতিহাস

আইএসএলে দুই দল মুখোমুখি হয়েছে আটবার। তার মধ্যে ছ’বার জিতেছে মুম্বই সিটি এফসি। দু’বার ড্র হয়েছে। একবারও জিততে পারেনি মোহনবাগান। হিরো আইএসএলে প্রথম মুখোমুখিতে মুম্বই জেতে ১-০ ও ২-০-য়। সে মরশুমে ফাইনালে শেষ মুহূর্তে বিপিন সিংয়ের গোলে মুম্বই জেতে। ২০২১-২২ মরশুমে প্রথম লেগে ৫-১-এ জেতে মুম্বই। দ্বিতীয় লেগে মুম্বইয়ের বিরুদ্ধে প্রথম ড্র ১-১ করে কলকাতার দল। গত মরশুমেও এই ব্যর্থতার খরা কাটেনি। ফল হয় ২-২। ফিরতি লেগে দুই দলের সাত নম্বর যুদ্ধে ফের ১-০-য় জেতে মুম্বই বাহিনী। চলতি লিগে গত ডিসেম্বরে গতবারের নক আউট চ্যাম্পিয়নদের ২-১-এ হারায় গতবারের লিগশিল্ডজয়ীরা। 

ম্যাচ- মোহনবাগান সুপার জায়ান্ট বনাম মুম্বই সিটি এফসি

ভেনু- বিবেকানন্দ যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গন, কলকাতা 

সময়- ১৫ এপ্রিল, ২০২৪, সন্ধ্যা ৭.৩০

সরাসরি সম্প্রচার ও স্ট্রিমিং 

টিভি চ্যানেল: ডিডি বাংলা ও কালার্স বাংলা সিনেমা- বাংলা, স্পোর্টস ১৮ খেল- হিন্দি, স্পোর্টস ১৮ ১ এসডি ও এইচডি- ইংলিশ, ভিএইচ ১ এসডি ও এইচডি- ইংলিশ