কামিংস, হুগো, আনোয়ারদের ছাড়াও জিততে পেরে খুশি মোহনবাগান কোচ ফেরান্দো
আনোয়ার, আশিক, জেসন, হুগো—কেউই তো খেলতে পারছে না। তা সত্ত্বেও যে জিতেছি, সে জন্য আমি খুশি। যারা খেলেছে, আরমান্দো, গ্ল্যান তারা খুবই ভাল পারফরম্যান্স দেখিয়েছে। তবে আমাদের দলে খুব শীঘ্রই ভারসাম্য আনতে হবে।

দলের নির্ভরযোগ্য তারকাদের ছাড়াই দল জেতায় খুশি মোহনবাগান সুপার জায়ান্টের স্প্যানিশ কোচ হুয়ান ফেরান্দো। বুধবার জেআরডি টাটা স্পোর্টস কমপ্লেক্সে জামশেদপুর এফসি-কে ৩-২ গোলে হারানোর পর সাংবাদিকদের এই কথাই জানালেন তিনি।
এ দিন তরুণ ফরোয়ার্ড শনন খানের গোলে ছ’মিনিটেই এগিয়ে যায় জামশেদপুর। ২৯ মিনিটে সমতা আনেন আরমান্দো সাদিকু ও ৪৮ মিনিটের মাথায় ব্যবধান তৈরি করে নেন লিস্টন কোলাসো। ৮০ মিনিটের মাথায় ফের গোল করে ব্যবধান বাড়ান কিয়ান নাসিরি। কিন্তু ৮৬ মিনিটের মাথায় পেনাল্টি থেকে গোল করে ব্যবধান কমান জামশেদপুরের পরিবর্ত ফরোয়ার্ড গিনির স্টিভ আম্বরি।
টানা চতুর্থ জয়ের ফলে তারা আবার লিগ টেবলের শীর্ষে উঠে পড়ল। চার ম্যাচে তাদের সংগ্রহ ১২ পয়েন্ট। অন্যদিকে, দুর্ভাগ্য জামশেদপুর এফসি-র। খাতায় কলমে তারকাহীন, দুর্বল প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে দুর্দান্ত লড়াই করেও ব্যবধান ধরে রাখতে পারল না তারা। ছ’টি ম্যাচের মধ্যে তিন নম্বর হারের ফলে তারা নেমে গেল আট নম্বরে।
অসুস্থতা ও চোটের কারণে এ দিন খেলতে পারেননি মোহনবাগান সুপার জায়ান্টের ডিফেন্ডার আনোয়ার আলি, মিডফিল্ডার হুগো বুমৌস ও স্ট্রাইকার জেসন কামিংস। তাঁদের জায়গায় মাঠে নামেন হেক্টর ইউস্তে, গ্ল্যান মার্টিন্স ও আরমান্দো সাদিকু। তাঁরাই যথেষ্ট ভাল খেলে দলকে জয় এনে দেন।
সে জন্যই আরও খুশি কোচ। বলেন, “আমি খুশি সমর্থকদের ও খেলোয়াড়দের জন্য। গত সপ্তাহে আমাদের শিবিরে অনেকেই অসুস্থ ছিল। এখনও আছে। তবে এটাই ফুটবল, এ সব সত্বেও আমাদের কাজ করে যেতে হবে। আনোয়ার, আশিক, জেসন, হুগো—কেউই তো খেলতে পারছে না। তা সত্ত্বেও যে জিতেছি, সে জন্য আমি খুশি। যারা খেলেছে, আরমান্দো, গ্ল্যান তারা খুবই ভাল পারফরম্যান্স দেখিয়েছে। তবে আমাদের দলে খুব শীঘ্রই ভারসাম্য আনতে হবে। খেলোয়াড়দের সাহায্য করতে হবে যাতে তারা সুস্থ হয়ে ফিরে আসতে পারে। সামনে অনেক ম্যাচ খেলতে হবে আমাদের”।
দু’দিন আগে অনুশীলনে চোট লাগে হুগো বুমৌসের। তার আগে থেকেই জ্বরে কাবু জেসন কামিংস। আনোয়ার আলি ও আশিক কুরুনিয়ান কবে মাঠে ফিরবেন, এখন কেউই নিশ্চয় করে বলতে পারছেন না। এই অবস্থায়, কী ভাবে আগামী মঙ্গলবার বাংলাদেশে বসুন্ধরা কিংসের বিরুদ্ধে এএফসি কাপের ম্যাচে লড়াই করবেন, সেটাই এখন ভাবছেন সবুজ-মেরুন কোচ।
এই প্রসঙ্গে তাঁকে জিজ্ঞাসা করা হলে ফেরান্দো বলেন, “হুগো ও কামিংসকে নিয়ে নিশ্চিত ভাবে কিছু বলা কঠিন। তবে আশা করি ওরা পরের ম্যাচে খেলতে পারবে। জেসনের জ্বর, সর্দি সারানোর জন্য নির্দিষ্ট প্রক্রিয়া রয়েছে। আমিও গত সপ্তাহে একই সমস্যায় পড়েছিলাম। তাই জানি, অন্তত দু-তিন দিন লাগে এটা সারতে। তবে সবার ক্ষেত্রে একই সময় লাগে না। এখন খেলোয়াড়দের দু’দিন লাগবে রিকভারির জন্য। তারপর দেখব, কে কতটা সুস্থ। সেই অনুযায়ী পরবর্তী এএফসি কাপের ম্যাচের প্রস্তুতি শুরু করব”।
ওই ম্যাচের পরে অবশ্য দল লম্বা ছুটি পেয়ে যাবে ২৬ নভেম্বর পর্যন্ত। আন্তর্জাতিক ফুটবলের জন্য এই দীর্ঘ ছুটিতে দলের খেলোয়াড়দের আরও চাঙ্গা করে তুলতে পারবে তারা, এমনই আশা করা যায়।