ভারতীয় ক্লাব ফুটবলের মরশুম দীর্ঘ হলে, আগামী বছরের এশিয়ান কাপ মূলপর্বের প্রস্তুতিতে অনেকটা সুবিধা পাবেন এশিয়ান কাপগামী ভারতীয় দলে থাকা ফুটবলাররা, মনে করেন তাঁদেরই অন্যতম আশিক কুরুনিয়ান। সদ্য এটিকে মোহনবাগানে যোগ দেওয়া ভারতীয় দলের এই উইঙ্গার এ রকমই মনে করেন।

এর আগে তাঁর ভারতীয় দলের আর এক সতীর্থ সহাল আব্দুল সামাদও একই কথা বলেছেন। তাঁর মতে, “আমাদের সবারই ম্যাচ খেলা দরকার। মরশুম যত দীর্ঘ হবে, খেলোয়াড়রা তত ভাল তৈরি হবে। এর ফলেই আমরা ছন্দে থাকতে পারব”।

তাঁর সুরেই সুর মিলিয়ে আশিক ‘দ্য নিউ ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস’ সংবাদপত্রকে বলেছেন, “দীর্ঘ মরশুম আমাদের খুব সাহায্য করবে। কারণ, ফুটবলারদের যথাসম্ভব বেশি ম্যাচ খেলা দরকার। তাই আইএসএলের পাশাপাশি ডুরান্ড কাপ ও সুপার কাপ হলে প্রায় ৩০টি ম্যাচ খেলার সুযোগ পাব আমরা। এতে আমরা, ভারতীয় ফুটবলাররাই বেশি লাভবান হব”।

এ বার থেকে, অর্থাৎ ২০২২-২৩ মরশুম থেকে, ফুটবল মরশুমের মেয়াদ বাড়িয়ে ন’মাস করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। যেমনটা ইউরোপের ফুটবলে হয়। তাই আসন্ন মরশুমে ক্লাব ফুটবল অগস্টে শুরু হয়ে মে মাসে শেষ করা হবে, এমনই ঠিক করা হয়েছে। হিরো আইএসএলে ২০টি ছাড়াও ক্লাবগুলিকে দীর্ঘায়িত মরশুমে অন্তত ২৮টি করে ম্যাচ খেলতে হবে। ডুরান্ড কাপ ও সুপার কাপে অন্তত চারটি করে ম্যাচ খেলতে হবে ক্লাবগুলিকে।

চলতি মাসেই এশিয়ান কাপ বাছাই পর্ব থেকে গ্রুপ সেরা হয়ে আগামী বছরের মূলপর্বে খেলার যোগ্যতা অর্জন করেছে ভারত। এই প্রথম টানা দু’বার মূলপর্বে খেলবে ভারতীয় দল। গতবার, ২০১৯-এও সুনীল ছেত্রীর নেতৃত্বাধীন দল মূলপর্বে খেললেও গ্রুপ পর্ব থেকেই ছিটকে যায়।

এ বার বাছাই পর্বে যে রকম দাপটের সঙ্গে খেলে সফল হয়েছে ভারতীয় দল, তাতে দেশের ফুটবলপ্রেমী ও বিশেষজ্ঞরা মূলপর্বে দলের ভাল ফল নিয়ে যথেষ্ট আশাবাদী। এই প্রসঙ্গে আশিক বলেন, “গ্রুপের সেরা হিসেবে এশিয়ান কাপের মূলপর্বে খেলার যোগ্যতা অর্জন করাটা খুবই তৃপ্তিদায়ক। দলের প্রত্যেকেই নিজেদের উজাড় করে দিয়েছে। কলকাতার সমর্থকদের কাছ থেকে যে সাহায্য পেয়েছি, তাও কম নয়। ওঁরা অসাধারণ”।

গতবারের এশিয়ান কাপ মূলপর্বেও ভারতীয় দলে ছিলেন আশিক। সে বার তিনি স্ট্রাইকার হিসেবে খেলেছিলেন। এ বার উইঙ্গার হিসেবে খেলেন এবং হংকংয়ের বিরুদ্ধে ৪-০ জয়ে একটি গোলও পান। কেরলের এই ফুটবল তারকা মনে করেন, গতবারের চেয়ে এ বারের পরিস্থিতি আলাদা। বলেন, “গতবার বাছাই পর্বে না খেলেই সোজা মূলপর্বে খেলতে নেমেছিলাম। সে বার বাছাই পর্বের অভিজ্ঞতা থাকা খেলোয়াড়দের কাছ থেকে অনেক সাহায্য পেয়েছিলাম। এ বার নিজেই বাছাই পর্বে খেলার অভিজ্ঞতা নিয়ে মূলপর্বে খেলব। এতে অনেক বেশি সুবিধা হবে। আমাদের এই দলটাও অসাধারণ”।