বিপুল অর্থব্যয় করে এ বার যে দল গড়েছে মোহনবাগান সুপার জায়ান্ট, তাতে অন্য যে কোনও দলই তাদের নিয়ে ইর্ষা করতে পারে। ইর্ষা করুক না করুক একটা ব্যাপার তাদের নিশ্চয়ই মনে হবে যে, এ বারের ইন্ডিয়ান সুপার লিগের সবচেয়ে বিধ্বংসী ও বিপজ্জনক দল হয়ে উঠতে পারে এই মোহনবাগান সুপার জায়ান্ট।

যে দল গড়েছে গতবারের আইএসএল কাপ জয়ীরা, তাতে তারা এ বারেও যে ভারতসেরা হওয়ার দৌড়ে অবশ্যই থাকবে, এই নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই। গতবারের দলে কিছু জায়গায় খামতি ছিল। নানা বাধাও অতিক্রম করতে হয় তাদের।পরপর চোট-আঘাত অসুস্থতা সামলে তারা শেষ পর্যন্ত ফাইনালে ওঠে এবং নক আউট চ্যাম্পিয়নও হয়। তবে লিগ শিল্ড জেতার সুযোগই পায়নি তারা। সেই জায়গায় পৌঁছনোর আগেই তা নিশ্চিত করে ফেলে মুম্বই সিটি এফসি।

মঙ্গলবার যে রকম দাপুটে ফুটবল দিয়ে এ বারের এএফসি কাপের মূলপর্বের অভিযান শুরু করল তারা, তাতে এই ইঙ্গিত স্পষ্ট যে, দশম আইএসএলে তাদের রোখা কঠিন হবে। যদিও এ মরশুমের শুরুতে ফর্মের তুঙ্গে ছিল না তারা। ডুরান্ড কাপের গ্রুপ লিগে চিরপ্রতিদ্বন্দী ইস্টবেঙ্গলের কাছে হেরে যায়। যা ছিল ৫৫ মাস পরে তাদের প্রথম ডার্বি-হার। সেটাই ছিল মরশুমের শুরুতে তাদের ঘুম ভাঙানোর অ্যালার্ম। টানা চারটি ম্যাচ জিতে ডুরান্ড কাপ চ্যাম্পিয়ন হয় তারা। কোয়ার্টার ফাইনালে মুম্বই সিটি এফসি-কে হারায়, যা ছিল মুম্বইয়ের ক্লাবের বিরুদ্ধে তাদের সর্বপ্রথম জয়। সেমিফাইনালে এফসি গোয়াকেও হারায় তারা এবং ফাইনালে ডার্বি হারের বদলাও নিয়ে নেয়। মরশুমের প্রথম ডার্বিতে হারের পর এখন পর্যন্ত জাতীয় ও আন্তর্জাতিক স্তরের একটিও ম্যাচে হারেনি তারা। সুতরাং পিছন ফিরে তাকানোর কিছু নেই এখন।

অমসৃণ সাফল্যের ইতিহাস

তবে গত মরশুমের চড়াই উতরাইয়ের ওপর একবার নজর দিতেই হবে। তা হলেই ধারনা পাওয়া যাবে, কতটা লড়াকু দল এই মোহনবাগান এসজি। গত আইএসএলের শেষটা যে রকম রোমহর্ষক ও ধারাবাহিক সাফল্য দিয়ে করেতারা, লিগ পর্বে তাদের চলার পথ কিন্তু এতটা মসৃণ ছিল না। এমনকী প্লে অফ পর্বেও ফাইনালের আগে তাদের পারফরম্যান্স সমর্থকদের বেশ চিন্তায় রেখেছিল। দুই সেমিফাইনালের একটিতেও নির্ধারিত সময়ে কোনও গোল করতে পারেনি তারা। হায়দরাবাদ এফসি-র বিরুদ্ধে প্রথম লেগে ০-০ করার পরে দ্বিতীয় লেগেও একই ফলে শেষ করে তারা। অতিরিক্ত সময়েও কোনও গোল করতে পারেনি। শেষ পর্যন্ত পেনাল্টি শুট আউটেজিতে ফাইনালে ওঠে তারা।

একটা সময় যে রকম গোলখরা দেখা গিয়েছিল এটিকে মোহনবাগান শিবিরে, তাতে যথেষ্ট সন্দেহ ছিল আদৌও তারা প্লে-অফ পর্বে উঠতে পারবে কি না। কিন্তু লিগের শেষ বেলায় সঠিক ছন্দ ও ফর্মে ফিরে আসায় অবশেষে বাজিমাত করেন পেট্রাটস, হুগো বুমৌসরা। তাদের লিগপর্বের দৌড় সমর্থকদের কখনওই খুব একটা স্বস্তি দেয়নি। এই জয় তো এই হার, এই কার্ড সমস্যা তো এই চোট-আঘাত। দুই বিদেশি ফুটবলার জনি কাউকো ও ফ্লেরোন্তিন পোগবাকে চোটের জন্য দেশে ফেরতও পাঠিয়ে দিতে হয়। ফলে ধারাবাহিকতার অভাব খুব বেশি রকমই ছিল তাদের।

তারকাদের মেলা

এ বার বোধহয় সে রকম হওয়ার সম্ভাবনা কম। এ মরশুমের আগে দলবদলে বেশ কয়েকটি চমক দিয়েছে মোহনবাগান এসজি। কাতার বিশ্বকাপে নামা সেন্টার ফরোয়ার্ড জেসন কামিংস ও আলবানিয়ার জাতীয় দলের হয়ে ইউরো ২০১৬-য় খেলা সেন্টার ফরোয়ার্ড আরমান্দো সাদিকু যোগ দিয়েছেন মোহনবাগান এসজি শিবিরে। গতবছর দলে যোগ দেওয়া অস্ট্রেলিয়ার তারকা অ্যাটাকার দিমিত্রিয়স পেট্রাটস ও ফরাসি অ্যাটাকিং মিডফিল্ডার হুগো বুমৌস তো রয়েছেনই সবুজ-মেরুন শিবিরে।

এ বার রক্ষণের দায়িত্বে রয়েছেন গত মরশুমে দলে যোগ দেওয়া ব্রেন্ডান হ্যামিল, আশিস রাই ও পুরনো সঙ্গী শুভাশিস বোস। সঙ্গে ক্রিশ্চিয়ান রোনাল্ডোর বিরুদ্ধে খেলা স্প্যানিশ ডিফেন্ডার হেক্টর ইউস্তে। এ ছাড়াও এ বছর এফসি গোয়া থেকে। সবুজ-মেরুন শিবিরে যোগ দিয়েছেন ভারতীয় দলের নিয়মিত ডিফেন্ডার আনোয়ার আলি। যিনি মরশুমের শুরু থেকেই ফর্মের তুঙ্গে।

আনোয়ারের মতো ভারতীয় দলের আরও কয়েকজন নিয়মিত তারকাকেও এ বার সই করিয়েছে সবুজ-মেরুন ব্রিগেড। ভারতীয় দলের আক্রমণাত্মক মিডফিল্ডার অনিরুদ্ধ থাপা এসেছেন দলে। তাঁর সঙ্গে পাঁচ বছরের চুক্তি সবুজ-মেরুন বাহিনীর। এ বার তাঁর সঙ্গে যোগ দিলেন কেরালার আর এক নির্ভরযোগ্য তারকা সহাল আব্দুল সামাদও। এঁদের সঙ্গে মাঝমাঠ সামলানোর জন্য রয়েছেন গত মরশুমে যোগ দেওয়া গ্ল্যান মার্টিন্স। তবে মরশুমের শুরুতেই দুঃসংবাদ এসেছে তাদের শিবিরে, আশিক কুরুনিয়ান ভারতীয় দলের হয়ে খেলতে গিয়ে চোট পেয়ে কার্যত সারা মরশুমের জন্যই ছিটকে গিয়েছেন।

দলবদলে চমক দেওয়ার পরে তারা আরও একটা চমক দেয় মরশুম শুরুর আগে। প্রাক্তন কোচ আন্তোনিও লোপেজ হাবাসকে ফিরিয়ে আনে মোহনবাগান। তবে এ বার অন্য ভূমিকায়। দলের টেকনিক্যাল ডিরেক্টর বা টিডি হিসেবে নিযুক্ত হয়েছেন তিনি। আইএসএলে সফল কোচেদের মধ্যে সামনের সারিতে থাকা হাবাস যখন এটিকে এফসি-র কোচ ছিলেন, তখন তাদের দু’বার হিরো আইএসএল খেতাব জেতান। ২০১৪ ও ২০১৯-২০-তে। ২০১৫-য় তাঁর প্রশিক্ষণে কলকাতার দল সেমিফাইনালে উঠেছিল। ২০২০-২১-এ এটিকে মোহনবাগানকেও তুলেছিলেন ফাইনালে।

এ রকম একজন সফল কোচকে ২০২২-এর ডিসেম্বরে লিগ চলাকালীনই বিদায় জানানো হয় দলকে সঠিক পথে চালিত না করতে পারার জন্য। এ বার সেই হাবাসকেই ফিরিয়ে নিয়ে আসা হয়েছে। কোচ হুয়ান ফেরান্দোর বড় ভরসা হয়ে উঠতে পারেন তিনি। যে কোনও কঠিন পরিস্থিতিতে দুই স্প্যানিশ কোচেরক্ষুরধার ফুটবল বুদ্ধি এক জায়গায় আসার সম্ভাবনা প্রবল।

ইন্ডিয়ান সুপার লিগে পারফরম্যান্স:

২০২০-২১: লিগে দ্বিতীয়,রানার্স-আপ

২০২১-২২: লিগেতৃতীয়, সেমিফাইনালিস্ট

২০২২-২৩: লিগে তৃতীয়,নক আউট চ্যাম্পিয়ন

দলবদলের পর যা দাঁড়াল

গোল: গত মরশুমে আইএসএলে গোল্ডেন গ্লাভ জেতা গোলকিপারবিশাল কয়েথে এ বারও মোহনবাগানের সম্পদ। গত মরশুমে তিনি সবচেয়ে বেশি সেভ করা গোলকিপারদের তালিকায় ছিলেন দুই নম্বরে। এক ডজন ম্যাচে কোনও গোল না খেয়ে নতুন নজিরও গড়েন। সবুজ-মেরুন শিবিরের রক্ষণ এমনিতেই যথেষ্ট শক্তিশালী। তার ওপর বিশালের মতো দুর্ভেদ্য গোলকিপার থাকা মানে প্রতিপক্ষের রাতের ঘুম উড়ে যাওয়ার পক্ষে যথেষ্ট। এ ছাড়াও দলের তাঁর সঙ্গে রয়েছেন অর্শ আনোয়ার শেখ ও ২০ বছর বয়সী সৈয়দ বুখারি।

রক্ষণ: এ বছর এফসি গোয়া থেকে সবুজ-মেরুন শিবিরে যোগ দিয়েছেন ভারতীয় দলের নিয়মিত ডিফেন্ডার আনোয়ার আলি, যিনি মরশুমের শুরু থেকেই ফর্মের তুঙ্গে। গত মরশুমে দলে যোগ দেওয়া ব্রেন্ডান হ্যামিল, আশিস রাই ও পুরনো সঙ্গী শুভাশিস বোস। সঙ্গে ক্রিশ্চিয়ান রোনাল্ডোর বিরুদ্ধে খেলা স্প্যানিশ ডিফেন্ডার হেক্টর ইউস্তে। সুমিত রাঠি ও রবি রাণাও রয়েছেন ফেরান্দোর শিবিরে।

মাঝমাঠ: ফরাসি অ্যাটাকিং মিডফিল্ডার হুগো বুমৌস তো রয়েছেনই সবুজ-মেরুন শিবিরে। এ ছাড়া ভারতীয় দলের আক্রমণাত্মক মিডফিল্ডার অনিরুদ্ধ থাপা এসেছেন মোহনবাগানে। তাঁর সঙ্গে পাঁচ বছরের চুক্তি সবুজ-মেরুন বাহিনীর। এ বার তাঁর সঙ্গে যোগ দিয়েছেন কেরালার নির্ভরযোগ্য তারকা সহাল আব্দুল সামাদও। এঁদের সঙ্গে মাঝমাঠ সামলানোর জন্য রয়েছেন গত মরশুমে যোগ দেওয়া গ্ল্যান মার্টিন্স। আশিক কুরুনিয়ান চোটের জন্য সম্ভবত এই মরসুমে খেলতে পারবেন না। রিজার্ভ বেঞ্চে দেখা যাবে অভিজ্ঞ দীপক টাঙরিও জুনিয়র ফুটবলার লালরিয়ানা হ্নামতে, অভিষেক সূর্যবংশী এবং ইঙ্গসন সিংকে।

আক্রমণ: কাতার বিশ্বকাপে নামা সেন্টার ফরোয়ার্ড জেসন কামিংস ও আলবানিয়ার জাতীয় দলের হয়ে ইউরো ২০১৬-য় খেলা সেন্টার ফরোয়ার্ড আরমান্দো সাদিকু যোগ দিয়েছেন মোহনবাগান এসজি শিবিরে। গত মরশুমে দলে যোগ দেওয়া অস্ট্রেলিয়ার তারকা অ্যাটাকার দিমিত্রিয়স পেট্রাটস তো রয়েছেনই। এ ছাড়া মনবীর সিং, লিস্টন কোলাসো, জুনিয়র তারকা কিয়ান নাসিরি, সুহেল ভাট ও ফারদিন আলি মোল্লাও রয়েছেন শিবিরে। গতবারের মতো গোলখরা বোধহয় এ বার দেখা যাবে না।

নজরে থাকবেন যাঁরা

জেসন কামিংস: মোহনবাগান এসজি তিন বছরের চুক্তি করেছে অস্ট্রেলিয়ার এই গোলমেশিনের সঙ্গে। প্রতিপক্ষের গোল এলাকায় তাঁর ঢুকে পড়া মানে একটা কিছু বিপদ হওয়া, এমনই আশঙ্কা করেন অনেকে। কারণ, তাঁকে আটকানো বেশ কঠিন। তাঁকে আটকাতে গিয়ে একাধিকবার মোহনবাগানকে পেনাল্টিও দিয়ে ফেলেছে প্রতিপক্ষরা। এর মধ্যেই কামিংস চার গোল করে ফেলেছেন সবুজ-মেরুন জার্সি গায়ে। এ-লিগে সেন্ট্রাল কোস্ট মেরিনার্সের হয়ে খেলে ২০২২-২৩ মরশুমে ২৯টি ম্যাচে ২১টি গোল করেন ও ছ’টি গোলে অ্যাসিস্ট করেন তিনি। ফাইনালে মেলবোর্ন সিটি-র বিরুদ্ধে হ্যাটট্রিক করে দলকে ৬-১-এ জিতে চ্যাম্পিয়ন হতে সাহায্যও করেন। কাতার বিশ্বকাপেঅস্ট্রেলিয়াদলেডাক পান এবং খেলেনও। আইএসএলে তিনি থাকবেন স্পটলাইটের আলোয়।

আরমান্দো সাদিকু: লা লিগার দ্বিতীয় ডিভিশন ক্লাব এফসি কার্তাগেনা থেকে তাঁকে দু’বছরের চুক্তি করে নিয়ে এসেছে মোহনবাগান সুপার জায়ান্ট। ২০১৬-র ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপে রোমানিয়ার বিরুদ্ধে আলবানিয়ার হয়ে ঐতিহাসিক গোল করেছিলেন সেন্টার ফরোয়ার্ড আরমান্দো সাদিকু। সেই ঐতিহাসিক গোলেই রোমানিয়ার বিরুদ্ধে প্রথম আন্তর্জাতিক ফুটবলে জয় পায় আলবানিয়া। ৩২ বছর বয়সী এই ছ’ফুট উচ্চতার ফরোয়ার্ড গত মরশুমে লা লিগার দ্বিতীয় ডিভিশনে, কোপা দেল রে-তে যেমন খেলেছেন, তেমনই দেশের হয়ে ৩৮টি ম্যাচে ১২টি গোল করেছেন। তিনটি গোলে অ্যাসিস্টও করেছেন। কলকাতার দলে যোগ দেওয়ার পর এর মধ্যেই গোলের খাতা খুলে ফেলেছেন। দু’টি গোল করেছেন তিনি। জেসন কামিংস ও দিমিত্রিয়স পেট্রাটসের সঙ্গে তালমেল বজায় রেখে তিনি মোহনবাগানের হয়ে যে আক্রমণের ঝড় তুলবেন, আইএসএলে এরকমই পরিকল্পনার ইঙ্গিত পাওয়া গিয়েছে।

সহাল আব্দুল সামাদ: দলের আক্রমণকে আরও তীব্র করে তুলতে, একেবারে রক্ষণ থেকে আক্রমণ গড়ে তোলার উদ্দেশ্য সফল করতে তাই মাঝমাঠে সহালের মতো ক্ষিপ্র ও সুযোগসন্ধানী ফুটবলার প্রয়োজন ছিল মোহনবাগানের। সেই কারণেই কেরালা ব্লাস্টার্স থেকে তাঁকে নিয়ে আসে মোহনবাগান। জেসন কামিংস, আরমান্দো সাদিকু ও দিমিত্রিয়স পেট্রাটসদের মতো বিদেশি অ্যাটাকাররা সহাল ও থাপার কাছ থেকে যে সহযোগিতা পাবেন, তাতেই তাঁরা আরও ধারালো হয়ে উঠবেন। মাঝমাঠ থেকে আক্রমণে গতি ও তীব্রতা বাড়ানোর মতো ভাল ভারতীয় খেলোয়াড় এতদিন মোহনবাগানের হাতে তেমন ছিল না। এ বার দল গড়ার আগেই তাই এই দিকটায় বেশি নজর দেন কোচ হুয়ান ফেরান্দো। তবে নিজেদের মধ্যে আরও বোঝাপড়া দরকার। সেটা তৈরি হয়ে গেলে আসন্ন আইএসএলে সবুজ-মেরুন ব্রিগেডকে রোখা কঠিন হয়ে উঠবে।

মোহনবাগান সুপার জায়ান্টের ক্রীড়াসূচী

২৩ সেপ্টেম্বর- বনাম পাঞ্জাব এফসি (কলকাতা, রাত ৮টা); ২৭ সেপ্টেম্বর- বনাম বেঙ্গালুরু এফসি (কলকাতা, রাত ৮টা); ৭ অক্টোবর- বনাম চেন্নাইন এফসি (চেন্নাই, রাত ৮টা); ২৮ অক্টোবর- বনাম ইস্টবেঙ্গল (কলকাতা, রাত ৮টা); ১ নভেম্বর- বনাম জামশেদপুর এফসি (জামশেদপুর, রাত ৮টা); ২ ডিসেম্বর- বনাম হায়দরাবাদ এফসি (হায়দরাবাদ, রাত ৮টা); ৬ ডিসেম্বর- বনাম ওডিশা এফসি (কলকাতা, রাত ৮টা); ১৫ ডিসেম্বর- বনাম নর্থইস্ট ইউনাইটেড এফসি (গুয়াহাটি, রাত ৮টা); ২০ ডিসেম্বর- বনাম মুম্বই সিটি এফসি (মুম্বই, রাত ৮টা); ২৩ ডিসেম্বর- বনাম এফসি গোয়া (কলকাতা, রাত ৮টা); ২৭ ডিসেম্বর- বনাম কেরালা ব্লাস্টার্স এফসি (কলকাতা, রাত ৮টা)।