মুম্বই সিটি এফসি-র ফরোয়ার্ড লালিয়ানজুয়ালা ছাঙতে টানা দ্বিতীয় বছরের জন্য দেশের বর্ষসেরা ফুটবলারের পুরস্কার পেলেন। ২০২৩-২৪ মরশুমে তাঁর অসাধারণ পারফরম্যান্সের জন্য তাঁকে এই স্বীকৃতি দিল সর্বভারতীয় ফুটবল ফেডারেশন (এআইএফএফ)।

একাধিকবার এই কৃতিত্ব অর্জন করা মাত্র পাঁচজন খেলোয়াড়ের মধ্যে অন্যতম মিজোরামের ২৭ বছর বয়সী এই ফুটবলার। গত মরসুমে মুম্বইয়ের দলের হয়ে ১১ গোল এবং সাতটি অ্যাসিস্ট করেন তিনি। শেষ দু’টি আইএসএল মরশুমে ১০টি করে গোল করেছেন তিনি। ২০২৩–২৪-এ তাদের আইএসএল কাপ জয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন এই মিজো ফরোয়ার্ড। এএফসি চ্যাম্পিয়ন্স লিগেও ভারতের প্রতিনিধিত্ব করেছেন ছাঙতে, যেখানে তিনি এই ক্লাবের হয়ে ছ’টি ম্যাচে অংশ নিয়েছিলেন।
𝐓𝐡𝐞 𝐒𝐞𝐧𝐬𝐚𝐭𝐢𝐨𝐧𝐚𝐥 𝐒𝐮𝐩𝐞𝐫𝐬𝐭𝐚𝐫 🌟

ক্লাব স্তরে সাফল্যের পাশাপাশি, ছাঙতে ভারতীয় দলেও তাঁর শ্রেষ্ঠত্বের প্রমাণ দিয়েছেন। ২০২৪-এর জুনে ফিফা বিশ্বকাপ বাচাই পর্বের ম্যাচে, দোহায় কাতারের বিপক্ষে গোল করেছিলেন তিনি। ২০২৩-এর নভেম্বরে কুয়েতের বিপক্ষে তিনি মনবীর সিংয়ের একমাত্র গোলে অ্যাসিস্ট করেন।

এই পুরস্কার পাওয়ার পর ছাঙতে বলেন, "এই পুরস্কার পেয়ে আমি অত্যন্ত গর্বিত। আমাদের মাননীয় ক্রীড়ামন্ত্রী মহোদয়কে আমি আন্তরিক ধন্যবাদ জানাচ্ছি। এই মর্যাদাপূর্ণ পুরস্কারের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। ধন্যবাদ ঈশ্বরকে, তাঁর আশীর্বাদের জন্য। তিনি ছাড়া আমি এখানে আসতে পারতাম না। এর পর আমার পরিবার, যারা প্রথম দিন থেকেই আমার সবচেয়ে বড় সমর্থক। আমার বন্ধুরা এবং মুম্বই সিটি এফসি পরিবার এবং জাতীয় দলে আমার ভাইয়েরা। তোমরা আমাকে সমর্থন না করলে আমার পক্ষে এ সম্ভব হত না"।

অন্যদিকে, তাঁর প্রাক্তন ক্লাব মহমেডান এসসি-র হয়ে অসাধারণ পারফরম্যান্সের জন্য উদীয়মান বর্ষসেরা ফুটবলারের পুরস্কার অর্জন করেছেন ডেভিড লালনসাঙ্গা, যিনি বর্তমানে ইস্টবেঙ্গলের ফুটবলার। গত মরশুমে ডুরান্ড কাপ ও আই-লিগে মহমেডান এসসি-র হয়ে ১১টি গোল এবং তিনটি অ্যাসিস্ট করেন ২২ বছর বয়সী এই ফরোয়ার্ড। ডুরান্ড কাপে ছ’টি গোল করে সর্বোচ্চ গোলদাতা হন ডেভিড এবং কলকাতা ফুটবল লিগে (সিএফএল) ২১টি গোল করে আধিপত্য বিস্তার করেন। আই-লিগেও তার গুরুত্বপূর্ণ অবদান ছিল, যেখানে তিনি দলকে তাদের প্রথম খেতাব জিততে সাহায্য করেন।

২০২৪-এর মে মাসে ফিফা বিশ্বকাপ কোয়ালিফায়ারের জন্য প্রথমবারের মতো জাতীয় দলের ডাক পান তিনি। সম্প্রতি ইস্টবেঙ্গল এফসির সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষর করেছেন, যা তাঁর ফুটবল জীবনের গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় হয়ে উঠতে চলেছে।

জামশেদপুর এফসির প্রধান কোচ খালিদ জামিল সর্বাধিক ভোট পেয়ে এআইএফএফ-এর বর্ষসেরা কোচের পুরস্কার জিতেছেন। ৪৭ বছর বয়সী প্রধান কোচ খালিদ জামিল মরশুমের মাঝে জামশেদপুরের দায়িত্ব নিয়ে দলকে কলিঙ্গ সুপার কাপের সেমিফাইনালে পৌঁছে দেন। জামিলের প্রশিক্ষণে আইএসএলেও ভাল পারফরম্যান্স দেখায় ইস্পাতনগরীর দলটি। টানা পাঁচটি ম্যাচে অপরাজিতও থাকে তারা। সম্প্রতি জমশেদপুর এফসির সাথে দু’বছরের চুক্তি সই করেছেন জামিল এবং বর্তমানে আইএসএলে তিনিই একমাত্র ভারতীয় প্রধান কোচ।

মহিলাদের ফুটবলে বর্ষসেরা নির্বাচিত হন ওডিশা এফসি-র ইন্দুমতি কাথিরেসন। বাংলাদেশে ভারতকে অনূর্ধ্ব ১৯ সাফ মহিলা চ্যাম্পিয়নশিপজয়ী ভারতীয় দলের সদস্যা নেহা পেলেন সেরা মহিলা উঠতি ফুটবলারের পুরস্কার। সেই ভারতীয় দলের কোচ শুক্লা দত্তকে দেওয়া হল সেরা মহিলা কোচের পুরস্কার।