অঙ্কের হিসাবে ইস্টবেঙ্গল সেরা ছয়ের দৌড় থেকে ছিটকে না গেলেও বাস্তব সম্ভাবনার কথা বিচার করে অনেকেই এখন আর লাল-হলুদ বাহিনীকে সেরা ছয়ে দেখতে পাচ্ছেন না। খোদ ইস্টবেঙ্গল কোচ অস্কার ব্রুজোনও যে এখন আর ততটা আশাবাদী নন, তার ইঙ্গিত গত ম্যাচের পর সাংবাদিক বৈঠকেই দেন তিনি।

আইএসএল প্লে-অফের আশা অনেকটাই ক্ষীণ হয়ে আসায় ইস্টবেঙ্গল শিবির এ বার ক্রমশ এ বার তাদের এএফসি চ্যালেঞ্জ লিগের পরীক্ষার দিকে নজর ঘোরাতে শুরু করেছে, যেখানে তারা সেমিফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে নামবে আগামী মাসে।

এএফসি চ্যালেঞ্জ লিগের এই কঠিন পরীক্ষার আগে তাদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন চেন্নাইন এফসি-র কোচ আওয়েন কোইল, যাঁর দল এ বার আইএসএলে দুই মুখোমুখিতেই ইস্টবেঙ্গলকে হারিয়েছ। অস্কার ব্রুজোনের দলকে শুভেচ্ছা জানিয়ে তিনি বলেন, “আসন্ন এএফসি চ্যালেঞ্জ লিগের জন্য ইস্টবেঙ্গলকে অনেক শুভেচ্ছা জানাই। কারণ, তারা এই লিগে ভারতের প্রতিনিধিত্ব করছে। এই লিগের ক্রীড়াসূচী দেখেছি আমি। দেখে মনে হয়েছে, বেশ কঠিন। কিন্তু আমি চাই এএফসি-র প্রতিযোগিতায় ভারতের ক্লাব ভাল ফল করুক। এই টুর্নামেন্ট অস্কার ব্রুজোন ও তাঁর দলের জন্য সৌভাগ্য বয়ে আনুক, এই শুভেচ্ছাই জানাই। আশা করি, এশীয় মঞ্চে তারা ভারত ও আইএসএল-কে গর্বিত করবে”।

এএফসি চ্যালেঞ্জ কাপের কোয়ার্টার ফাইনালে তুর্কমেনিস্তানের এফসি আরকাদাগকে হারানোই এখন লক্ষ্য ইস্টবেঙ্গলের। ৫ মার্চ সন্ধ্যায় ইস্টবেঙ্গলের হোম ম্যাচ হবে যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে। ১২ মার্চ তাদের তুর্কমেনিস্তানে গিয়ে খেলতে হবে।

গত শনিবার ঘরের মাঠে চেন্নাইন এফসি-র কাছে হেরে গিয়ে আইএসএলের সেরা ছয়ের দৌড়ে অনেকটাই পিছিয়ে পড়ে ইস্টবেঙ্গল। সেদিন যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে ২১ মিনিটের মধ্যে দু’টি গোল খাওয়ার পর থেকেই ছন্দহীন হয়ে পড়ে তারা। প্রতিপক্ষের দুর্ভেদ্য রক্ষণে চিড় ধরিয়ে সারা ম্যাচে চারটির বেশি শট গোলে রাখতে পারেনি ইস্টবেঙ্গল। চেন্নাইন এফসি-ও সারা ম্যাচে চারটি শট গোলে রাখে। কিন্তু তার মধ্যে তিনটি থেকেই গোল পায় তারা, যা পারেনি ইস্টবেঙ্গল।

এই ম্যাচের পর লাল-হলুদ কোচ ব্রুজোন বলেন, “এখন থেকে আমাদের এএফসি চ্যালেঞ্জ লিগ নিয়ে ভাবতেই হবে। এ বছর এটাই আমাদের অন্যতম প্রধান লক্ষ্য। আমাদের এখন লক্ষ্য আইএসএল টেবলের মাঝামাঝি জায়গায় থেকে শেষ করা এবং এএফসি কাপ ও সুপার কাপে সাফল্য। এখন থেকে প্রতিটি ম্যাচ ধরে ধরে এগোতে হবে আমাদের। আগামী সপ্তাহে কলকাতা ডার্বি রয়েছে। এখন ওই ম্যাচটাই আমাদের কাছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ”।

এএফসি-র টুর্নামেন্টের কথা ভেবেই নতুন দুই বিদেশী ফরোয়ার্ড ভেনেজুয়েলার রিচার্ড সেলিস ও ক্যামেরুনের রাফায়েল মেসি বৌলিকে নিয়ে এসেছে ইস্টবেঙ্গল। এই দু’জন এএফসি চ্যালেঞ্জ লিগে দলের আক্রমণে অন্যতম দুই প্রধান অস্ত্র হয়ে উঠতে পারেন।