টানা দুবার এএফসি এশিয়ান কাপের মূলপর্বে অংশ নিয়ে দেশের ফুটবল ইতিহাসে এক নয়া মাইলফলক স্থাপন করেছে ভারত। এ বার এক নতুন লক্ষ্যের দিকে এগিয়ে চলেছে ভারতীয় ফুটবল দল। টানা তৃতীয় বার এশিয়ান কাপের মূলপর্বে খেলে নয়া নজির গড়তে চায় তারা। সেই লক্ষ্য পূরণের উদ্দেশ্য নিয়েই অবসর ভেঙে ফের ভারতীয় দলের জার্সি গায়ে মাঠে নেমেছেন তিনি। দলকে সেই লক্ষ্যে পৌঁছে দিয়েই উদ্দেশ্য সফল করতে চান সুনীল ছেত্রী। তবে শুধু এই এশিয়ান কাপ নয়, সুনীল চান, এখন থেকে প্রতিটি এশিয়ান কাপের মূলপর্বে খেলুক ভারত। ":0,"335559740":256}"="">

তাঁর মতে, প্রতিটি এশিয়ান কাপে আমাদের যোগ্যতা অর্জন করা উচিত, এটি বাধ্যতামূলক। তবে আমি ছেলেদের বা দলের উপর চাপ দিতে চাই না। এক একটি ম্যাচ ধরে ধরে এগোতে হবে। হংকং অবশ্যই খুব গুরুত্বপূর্ণ। তবে হ্যাঁ, ভারতের জন্য এশিয়ান কাপে খেলা ন্যূনতম চাহিদা হওয়া উচিত, যেন আমরা এশিয়ার সেরা দলগুলোর সঙ্গে নিজেদের তুলনা করতে পারি এবং প্রমাণ করতে পারি যে আমরা উন্নতি করছি। সর্বভারতীয় ফুটবল ফেডারেশনের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এক একান্ত সাক্ষাৎকারে সুনীল এই কথাগুলি বলেন। ":0,"335559740":256}"="">

মার্চে এশিয়ান কাপের বাছাই পর্বে প্রথম ম্যাচে বাংলাদেশ গোলশূন্যভাবে আটকে দেয় ভারতকে। এর পর আগামী ১০ জুন কোলুন সিটিতে হংকংয়ের মুখোমুখি হবে ভারত। তার আগে, ৪ জুন থাইল্যান্ডের পাতুম থানিতে প্রস্তুতি ম্যাচে থাইল্যান্ডের মুখোমুখি হবে মানোলো মার্কেজের দল।":0,"335559740":256}"="">

বাংলাদেশের সঙ্গে গোলশূন্য ড্র নিয়ে সুনীল বলেন, বাংলাদেশ ম্যাচের পর আমাদের প্রথম যে অনুভূতি হয়, তা হল—আমরা নিজেদেরকে হতাশ করেছি, দেশকে হতাশ করেছি পরে খেলার ভিডিও দেখে মনে হয়েছে, আমরা দল হিসেবে অনেক ভাল করতে পারতাম। টেবিলের শীর্ষে ওঠার এক দারুণ সুযোগ ছিল। অনেক কিছুই ভাল ভাবে করা যেত। শেষ পর্যন্ত মাত্র এক পয়েন্ট নিয়ে মাঠ ছাড়িসে জন্য আমরা নিজেরাই দায়ী। যেভাবে খেলা উচিত ছিল, আমরা তা খেলতে পারিনি। তাই ম্যাচটা ড্র হয়। আমরা এটা নিয়ে কথা বলেছি, ভিডিও দেখেছিনিজেদের সেই ভুল শুধরে নিয়ে মাঠে নামার জন্য যেন আর তর সইছে না”":0,"335559740":256}"="">

সুনীল ছেত্রী একমাত্র ভারতীয় ফুটবলার যিনি তিনটি এএফসি এশিয়ান কাপে অংশগ্রহণের রেকর্ড গড়েছেন। ২০০৮-এ এএফসি চ্যালেঞ্জ কাপের ফাইনালে অবিস্মরণীয় হ্যাটট্রিক করে ভারতকে ২০১১ এশিয়ান কাপে নিয়ে যাওয়া থেকে শুরু করে সৌদি আরবে অনুষ্ঠিতব্য ২০২৭-এর আসরের জন্য যোগ্যতা অর্জনের লড়াই— জাতীয় দলের হয়ে সুনীলের এই অভিযান অসাধারণ":0,"335559740":256}"="">

১৯৬০ থেকে ২০০৭ সালের মধ্যে ভারত মাত্র দু’বার এশিয়ান কাপে যোগ্যতা অর্জন করেছিল। আর এখন, ব্লু টাইগাররা ইতিহাস গড়ার লক্ষ্যে টানা তিনটি এশিয়ান কাপে অংশগ্রহণের লক্ষ্যে এগোচ্ছে। এশিয়ান কাপের বাছাই পর্ব সম্পর্কে ৪০ বছর বয়সী সুনীলের চেয়ে আর কেই বা ভাল জানেন? আগের তিনটি বাছাই পর্বে তিনিই ছিলেন ভারতীয় দলের প্রধান ভরসা। ২০০৮-এ দিল্লির আম্বেদকর স্টেডিয়ামে তাজিকিস্তানের বিরুদ্ধে হ্যাটট্রিক করে ২৭ বছরের এশিয়ান কাপ অপেক্ষার অবসান ঘটান তিনি। ":0,"335559740":256}"="">

২০১৭-য় মায়ানমারের বিরুদ্ধে শেষ মিনিটের গোল এবং কিরগিজ প্রজাতন্ত্রের বিরুদ্ধে তাঁর এক দুর্দান্ত গোল ভারতের ২০১৯-এর মূলপর্বে যাওয়ার পথ সহজ করে তোলে। ২০২২-এর বাছাই পর্বে আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে সল্টলেক স্টেডিয়ামে তাঁর ফ্রি-কিক এবং কম্বোডিয়ার বিরুদ্ধে জোড়া গোল—সবই মনে রাখার মতো। ":0,"335559740":256}"="">

এজন্যই, চলতি বাছাই পর্বে ভারত ভাল ভাবে শুরু করতে না পারলেও সুনীল জানেন সামনে অনেক সময় আছে এবং পথও দীর্ঘ। জুনে ফিফা উইন্ডোর প্রস্তুতি কলকাতায় ১৯ মে শুরু হয়েছে এবং পাঁচটি পূর্ণাঙ্গ ট্রেনিং সেশনও হয়ে গিয়েছে। ":0,"335559740":256}"="">

প্রস্তুতি নিয়ে ভারতীয় ফুটবল কিংবদন্তি বলেন, প্রথম পাঁচ দিন শারীরিক দিক নিয়ে বেশি কাজ হয়েছে। কোচ বলেছেন, অনেক খেলোয়াড় এসেছে ভিন্ন ভিন্ন শারীরিক অবস্থা নিয়ে। প্রথম কয়েক দিন সবার ফিটনেস সমান স্তরে আনতে গিয়ে ব্যাপারটা একটু কঠিন হয়ে যায়। ছেলেরা সবাই ভাল খেলা দেখাচ্ছেসবাই বেশ চটপটে আর আত্মবিশ্বাসী। আমরা কিছু ভিডিও সেশনও করেছি, যেখান থেকে অনেক কিছু শেখার ছিল। সব কিছু ঠিকঠাকই আছে":0,"335559740":256}"="">

২৮ মে ভারতীয় দল থাইল্যান্ডে যাবেসেখানে তারা আরও কয়েক দিন অনুশীলন করবে এবং ৪ জুন থাম্মাসাত স্টেডিয়ামে আয়োজক দেশের বিরুদ্ধে খেলবে। এর পর তারা হংকংয়ে যাবে বাছাই পর্বে প্রথম অ্যাওয়ে ম্যাচ খেলতে। সুনীল মনে করেন, শারীরিক এবং টেকনিক্যাল প্রস্তুতির পাশাপাশি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল সঠিক খেলা":0,"335559740":256}"="">

সুনীল বলেন, কোচের হাতে কিছুটা সময় আছে পরিকল্পনা তৈরির জন্য। আমাদের খেলোয়াড়দের নিশ্চিত করতে হবে আমাদের পরিকল্পনা নিয়ে যেন সবার মধ্যে বোঝাপড়া থাকে এবং সেটি বাস্তবায়নের যথাসাধ্য চেষ্টা করতে হবে। বাংলাদেশ ম্যাচে আমরা খেলাটাই ঠিকমতো খেলতে পারিনি। সব প্রস্তুতি, টেকনিক্যাল দিক—এসব সত্ত্বেও, আমাদের মাঠে সঠিক খেলাটা খেলতে হবে এবং সবটুকু উজাড় করে দিতে হবে। আমরা হংকংয়ের কিছু ফুটেজ দেখেছি। আরও দেখব। তবে এখন আমরা নিজের দলের ব্যাপারে বেশি ভাবছি, পরে প্রতিপক্ষের খেলা বিশ্লেষণ করব":0,"335559740":256}"="">