পেশাদার ফুটবলকে বিদায় জানালেন এটিকে তারকা আগুস গার্সিয়া
গতবারের হিরো আইএসএল চ্যাম্পিয়ন এটিকে এফসি-র অন্যতম সদস্য আগাস্টিন গার্সিয়া ইনিগেজ পেশাদার ফুটবলকে বিদায় জানালেন বৃহস্পতিবার। ৩৫ বছর বয়সি এই স্প্যানিশ ডিফেন্ডার এ দিন নিজের টুইটার হ্যান্ডলে এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে দেন। গত মরশুমে এটিকে-র হয়ে ১৪টি ম্যাচ খেলা গার্সিয়া, যাকে তাঁর সতীর্থরা আদর করে আগুস বলে ডাকতেন, দলের সাফল্যে যথেষ্ট অবদান রেখেছিলেন।


গতবারের হিরো আইএসএল চ্যাম্পিয়ন এটিকে এফসি-র অন্যতম সদস্য আগাস্টিন গার্সিয়া ইনিগেজ পেশাদার ফুটবলকে বিদায় জানালেন বৃহস্পতিবার। ৩৫ বছর বয়সি এই স্প্যানিশ ডিফেন্ডার এ দিন নিজের টুইটার হ্যান্ডলে এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে দেন। গত মরশুমে এটিকে-র হয়ে ১৪টি ম্যাচ খেলা গার্সিয়া, যাকে তাঁর সতীর্থরা আদর করে আগুস বলে ডাকতেন, দলের সাফল্যে যথেষ্ট অবদান রেখেছিলেন।
অবসরের সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে তিনি লেখেন, “অনেক ভাবনা চিন্তা করার পর তোমাদের একটা কঠিন সিদ্ধান্তের কথা জানাতে চাই। ১৬ বছর ধরে একজন পেশাদার ফুটবলার হিসেবে খেলার পরে এ বার আমি অবসর নিচ্ছি। সবাইকে ধন্যবাদ দিতে চাই। এই ১৬ বছরে যাঁদের পাশে ও কাছে পেয়েছি, প্রত্যেককে। আমার পরিবার, বন্ধুবান্ধব, কোচ, সতীর্থ ছাড়াও অন্য সবাইকে”।
আবেগে ঠাসা এই অবসর-বার্তায় গার্সিয়া আরও লিখেছেন, “এই ১৬ বছরে ফুটবলের জন্য ছ’টি দেশে থেকেছি আমি। সারা দুনিয়া ঘুরে বেড়িয়েছি। অন্যদের ভাষা শিখেছি, নতুন নতুন সংস্কৃতিকে জানা ও বোঝার চেষ্টা করেছি কাছ থেকে। অনেক নতুন কিছু বুঝতে শিখেছি। ফুটবলে ও তার বাইরে নিজেকে নতুন ভাবে চিনেছি আমি। নিজেকে অনেক সমৃদ্ধ করেছি”।
সিনিয়র পেশাদার ফুটবলে গার্সিয়া নিজের কেরিয়ার শুরু করেন ২০০৪-এ স্পেনের আলবাসেতে ক্লাবে। পরের বছরই তিনি যোগ দেন রিয়াল মাদ্রিদে। ওই ক্লাবের ‘বি’ টিম রিয়াল মাদ্রিদ কাস্তিয়ার খেলোয়াড় ছিলেন তিনি। ২০০৯ পর্যন্ত সেখানে খেলার পরে দল বদল করে খেলেন কোর্দোবা, আলসরসন এবং আরসিডি মায়োরকার হয়ে। তুরস্কে অরদুস্পরের হয়েও খেলেন ২০১২ ও ২০১৩-য়।
ইউরোপের বাইরে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে মেজর লিগ সকারেও খেলেছেন তিনি। ২০১৬-য় হিউস্টন ডায়নামো ক্লাবের হয়ে সই করেন তিনি। ডেনমার্কের এসবিয়ার্গ ও সাইপ্রাসের নিয়া সালামিনা ফামাগুস্তার হয়েও খেলেছেন আগুস গার্সিয়া। গত মরশুমের আগেই ভারতে হিরো আইএসএলে খেলার প্রস্তাব পান ও এটিকে এফসি-তে যোগ দেন। লিগের দ্বিতীয় সেরা রক্ষণ বিভাগের অপরিহার্য স্তম্ভ হয়ে ওঠেন তিনি। কিন্তু হঠাৎ ব্যক্তিগত সমস্যা তৈরি হওয়ার জন্য ফাইনালের আগেই তাঁকে দেশে ফিরে যেতে হয়।
ফাইনাল জেতার পরে তাঁর সতীর্থরা ট্রফিটি উৎসর্গ করেছিলেন চোখের জলে বিদায় নেওয়া আগুসকেই। এটিকে-র জার্সি গায়ে চাপিয়ে সব মিলিয়ে ১৬১টি ক্লিয়ারেন্স, ২৬টি ট্যাকল, ১৫টি ইন্টারসেপশন ও ১১টি ব্লক করেছিলেন গার্সিয়া। একটি গোলেও প্রত্যক্ষ সাহায্য করেছিলেন তিনি। এই মরশুমেও তাঁকে মাঠে দেখার আশায় ছিলেন সমর্থকেরা। কিন্তু সেই সুযোগ আসার আগেই ফুটবলকে ‘গুডবাই’ জানিয়ে দিলেন এই দুর্ভেদ্য ডিফেন্ডার। বিদায় আগুস। হিরো আইএসএল, এটিকে এফসি তোমাকে মনে রাখবে।