আইএসএলে নিজের অভিষেক মরশুমেই দুর্দান্ত পারফরম্যান্স দেখান অস্ট্রেলীয় ডিফেন্ডার টম অলড্রেড। ২০২৪-২৫ মরশুমে মোহনবাগান সুপার জায়ান্টের ইতিহাসের প্রথম ‘ডাবল’ জয়ে (লিগ শিল্ড এবং আইএসএল কাপ) গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন তিনি। হাজার হাজার সমর্থকের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে অলড্রেড জানান, তাদের অকুণ্ঠ সমর্থনই ছিল দলের অসাধারণ অভিযানের চালিকাশক্তি।":0,"335559740":256}"="">

সবুজ-মেরুন রক্ষণভাগের শক্তিশালী স্তম্ভ অলড্রেড ২০২৪–২৫ মরশুম শুরুর আগে এ-লিগ ক্লাব ব্রিসবেন রোর থেকে সবুজ-মেরুন বাহিনীতে যোগ দেন এবং খুব অল্প সময়ের মধ্যেই সমর্থকদের প্রিয় হয়ে ওঠেন। ৩৪ বছর বয়সী এই ডিফেন্ডার দলের রক্ষণভাগে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন কলকাতার ক্লাবের হয়ে।":0,"335559740":256}"="">

পুরো মরশুমে আলবার্তো রড্রিগেজের সঙ্গে দুর্দান্ত জুটি গড়েন। তাঁর ট্যাকল করার দক্ষতা ও তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া দলের রক্ষণভাগকে করে তোলে দুর্ভেদ্য। সারা মরশুমে ১৪টি ক্লিন শিট, ৭৯টি ক্লিয়ারেন্স, ৮৫ বার বল রিকভারি, ১৬টি ব্লক ও ১৭টি ইন্টারসেপশনের পরিসংখ্যানই বুঝিয়ে দেয় দলের সাফল্যে কতটা প্রভাব ফেলেন তিনি। ":0,"335559740":256}"="">

এই দুর্দান্ত মরশুমের পর যে তাঁর চুক্তির মেয়াদ বাড়াবে মোহনবাগান সুপার জায়ান্ট, এটাই স্বাভাবিক। এবং সেটাই হয়েছে। এই নতুন চুক্তির ফলে এই স্কটিশ ডিফেন্ডার ২০২৫–২৬ মরশুমের শেষ পর্যন্ত সবুজ-মেরুন জার্সি গায়ে খেলবেন। আরও এক বছরের জন্য চুক্তিতে সই করে ভবিষ্যতেও সাফল্যের ধারা বজায় রাখতে চান এই অভিজ্ঞ ডিফেন্ডার।":0,"335559740":256}"="">

সম্প্রতি মোহনবাগান সুপার জায়ান্ট টিভি-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, "আমি অত্যন্ত আনন্দিত ও রোমাঞ্চিত। গত মরশুমের পর আমি ঠিক করেছিলাম, ক্লাবের সঙ্গে থাকার চেষ্টা করব। শুধু আমাদের সাফল্যের জন্য নয়, ক্লাব ও আশেপাশের মানুষদের জন্যও আমি এখানে থাকতে চেয়েছিলাম"।

২০২৪-২৫ মরশুমে নিষ্ঠার সঙ্গে যথেষ্ট আত্মবিশ্বাসী ফুটবল খেলে মোহনবাগান সুপার জায়ান্ট। হোসে মোলিনার অধীনে দল ধারাবাহিকভাবে আধিপত্য দেখায় এবং আইএসএলের ইতিহাসে দ্বিতীয় দল হিসেবে জোড়া খেতাব অর্জন করে।":0,"335559740":256}"="">

তবে মরশুমের শুরুটা তাদের খুব একটা ভাল হয়নি। ডুরান্ড কাপ ফাইনালে নর্থইস্ট ইউনাইটেডের বিরুদ্ধে টাইব্রেকারে হার এবং আইএসএলে বেঙ্গালুরু এফসির বিরুদ্ধে ০-৩ ব্যবধানে প্রথম অ্যাওয়ে ম্যাচে হার— এই ধাক্কাগুলোই সম্ভবত তাদের উজ্জীবিত করে তোলে। ":0,"335559740":256}"="">

অলড্রেড বলেন, "ডুরান্ড কাপের হার আমাদের চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়েছিল, ফাইনাল ম্যাচে জেতাটা কতটা গুরুত্বপূর্ণ। আবার বেঙ্গালুরুর কাছে হার যেন ছিল একটা টার্নিং পয়েন্ট। আমরা বুঝেছিলাম, হারকে পিছনে ফেলে আমাদের জয়ের পথে ফিরতে হবে। দুটো হারের পরেই আমরা জয়ের পথে ফিরি। এটাই তো একটা ভাল দলের বৈশিষ্ট্য"":0,"335559740":256}"="">

তিনি আরও জানান, দলের ড্রেসিংরুমে খেলোয়াড়দের মধ্যে আত্মবিশ্বাস ও বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কই ছিল সাফল্যের চাবিকাঠি। বলেন, "আমরা পরস্পরের উপর আস্থা রেখেছি। সেমিফাইনালের প্রথম লেগে হারার পর ড্রেসিংরুমে ফিরে সবাই বলেছিলাম— আমরা পরের ম্যাচগুলো জিতবই। এই আত্মবিশ্বাস পুরো মরশুম জুড়ে তৈরি হয়েছিল"":0,"335559740":256}"="">

ইংল্যান্ড ও স্কটল্যান্ডে দীর্ঘ পেশাদার ফুটবল জীবন কাটিয়ে ভারতে আসা অলড্রেড ভারতীয় ফুটবল সমর্থকদের ইউরোপের সমর্থকদের সঙ্গে তুলনা করে বলেন "এখানকার সমর্থকেরা, বিশেষ করে মোহনবাগান সমর্থকেরা, ইউকে-র ক্লাবগুলোর সমর্থকদের মতোই। তারা শুধু জয় চায়। কারণ, ফুটবলে জয়টাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।"":0,"335559740":256}"="">

ঘরের মাঠ, যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে সারা মরশুম অপরাজিত থাকা প্রসঙ্গে অলড্রেড বলেন, "আমরা সবসময় বিশ্বাস করেছি, ৯০ মিনিটে যেকোনও দলকে হারাতে পারি। সমর্থকদের তৈরি করা পরিবেশ আমাদের অনেক সাহায্য করেছে। ওরা দ্বাদশ ব্যক্তির ভূমিকা পালন করেছে। তাই আমাদের ঘরের মাঠ সত্যিই এক দুর্গে পরিণত হয়েছিল"":0,"335559740":256}"="">

সাক্ষাৎকারের শেষে অলড্রেড জানান, সমর্থকদের অকুণ্ঠ সমর্থন তাঁর প্রচুর উৎসাহ জুগিয়েছে। এই প্রসঙ্গে বলেন, "দুর্দান্ত সমর্থকেরা আমাদের পাশে থেকেছে। শুধু সংখ্যা নয়, তারা মাঠে উপস্থিত থেকে আমাদের প্রেরণা জুগিয়েছে। গত মরশুমে আমরা তাদের প্রত্যাশা পূরণ করতে পেরেছি— এটাই সবচেয়ে আনন্দের"":0,"335559740":256}"="">