জর্ডনে জোড়া ফ্রেন্ডলি ম্যাচের সফরে দ্বিতীয় ম্যাচে আয়োজক দেশকে হারাল ভারতের মেয়েরা। শুক্রবার মাঝরাতে তারা ১-০-য় জেতে। সফরের প্রথম ম্যাচে তারা ইজিপ্ট (মিশর)-কেও একই ব্যবধানে হারিয়েছিল। গোল করেন প্রিয়াঙ্কা দেবী। এ বার ফরোয়ার্ড মণীশা কল্যাণের গোলে জিতল ভারত।

দ্বিতীয়ার্ধে প্রায় একক দক্ষতায় গোল করে এ দিন ভারতকে এগিয়ে দেন মণীশা। পুরো ম্যাচে একাধিক সুযোগ পেয়েও সেগুলিকে গোলে পরিণত করতে পারেনি তারা। প্রথমার্ধে দুই দলই একাধিক গোলের সুযোগ তৈরি করে কিন্তু ব্যর্থ হয়। ভারতীয়রা প্রথম কর্নার পেয়েই তা থেকে গোলের সুযোগ তৈরি করে নেয়। রতনবালা দেবীর কর্নারে হেড করে বল গোলের দিকে পাঠান মণীশা। কিন্তু বিপক্ষের ডিফেন্ডাররা তা ক্লিয়ার করেন এবং পাল্টা আক্রমণে ওঠেন। ভারতীয় গোলকিপার অদিতি চৌহানের তৎপরতায় সে যাত্রা বেঁচে যায় ভারত। এর পরে জর্ডনের একটি ফ্রিকিক থেকে গোলের দিকে উড়ে আসা বল আটকে ফের দলকে বাঁচান অদিতি।

ম্যাচের বয়স যত বাড়তে থাকে, ততই ম্যাচের ওপর নিয়ন্ত্রণ বাড়াতে শুরু করে ভারত। অঞ্জু তামাং, মণীশা, ডালিমা ছিবাররা একের পর এক চেষ্টা করেন গোল করার। কিন্তু অপর পক্ষের দক্ষতায় গোলের মুখ খুলতে পারেননি তাঁরা।

প্রথমার্ধে কোনও গোল না হওয়ায় আক্রমণে ধার বাড়ানোর উদ্দেশ্যে ভারতীয় কোচ থমাস ডেনারবি দলের ফরোয়ার্ড সন্ধ্যা রঙ্গনাথনের জায়গায় পিয়ারি জাজা-কে মাঠে নামান এবং তাতে কাজ হয়। বহু আকাঙ্খিত গোলটি আসে আসে ৪৮ মিনিটের মাথায়, মণীশার পা থেকে। মাঝমাঠ থেকে বল পেয়ে মণীশা বল নিয়ে বাঁ দিক দিয়ে ওঠেন এবং বিপক্ষের পেনাল্টি বক্সে ঢুকে পড়েন। বক্সের বাঁ দিকের কোণ থেকে সোজা গোলে শট নেন তিনি, ডানদিকের ওপরের কোণ দিয়ে বল গোলে ঢুকে যায়।

এই গোল খাওয়ার পরে সমতা আনার সুবর্ণ সুযোগ পান জর্ডনের লিন ইয়াসিন মহম্মদ। কিন্তু কার্যত ফাঁকা গোল পেয়েও বারের ওপর দিয়ে বল উড়িয়ে দেন তিনি। ৭২ মিনিটের মাথায় কর্নার থেকে ব্যবধান বাড়ানোর সুযোগ পেয়ে যায় ভারত। অঞ্জুর কর্নারে ফ্লিক করে মণীশা প্রথম পোস্টের দিক দিয়ে গোলের চেষ্টা করলেও তা অল্পের জন্য বাইরে দিয়ে চলে যায়।

ম্যাচের শেষ দশ মিনিটে অঞ্জু দু-দু’টি সুযোগ তৈরি করেন। কিন্তু দু’বারই তাঁর বাড়ানো বল পেয়েও গোল করতে পারেননি পিয়ারি। ফলে একের বেশি ব্যবধানে জেতা সম্ভব হয়ে ওঠেনি ভারতের পক্ষে।