মরশুমের শেষ ম্যাচের আগে এসসি ইস্টবেঙ্গলের স্প্যানিশ কোচ মারিও রিভেরা জানিয়ে দিলেন, দলের ফল খারাপ হলেও ফুটবলারদের চেষ্টা ও মানসিকতা তাঁকে গর্বিত করেছে। শনিবার বেঙ্গালুরু এফসি-র বিরুদ্ধে শেষ ম্যাচে নামার আগে শুক্রবার সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে যা বললেন তিনি, তার উল্লেখযোগ্য অংশ এখানে তুলে দেওয়া হল।

আপনি দায়িত্ব নেওয়ার পরে দলকে কেমন অবস্থায় দেখলেন?

দলের ফল ভাল হয়নি ঠিকই। তবে যদি ম্যাচের পারফরম্যান্সের দিকে ফিরে তাকান, তা হলে বলতেই হবে ছেলেরা ভাল খেলেছে। (আমি যোগ দেওয়ার সময়) দলের যে অবস্থা ছিল, তার চেয়ে অনেক পরিবর্তন হয়েছে। আমাদের বিরুদ্ধে জয় প্রতি দলের পক্ষেই কঠিন হয়েছে। বল পাস করা থেকে শুরু করে আক্রমণে ওঠা সব কিছুতেই উন্নতি করেছি আমরা। দল যে স্তরে ছিল, তার চেয়ে উঁচুতে উঠেছে এবং সেই জায়গাটা ধরেও রাখতে পেরেছে। কঠিন সময়ের মধ্যেও গত দু-একটি ম্যাচে আপনারা দেখেছেন, দলের ছেলেরা ১৫-১৮টা করে শট মেরেছে। সব মিলিয়ে ভাল ও আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলেছি আমরা। ফল ভাল না হলেও ছেলেদের জন্য আমি গর্বিত। যতটা অনুশীলন করা সম্ভব হয়েছে, ওরা করেছে। উন্নতি করার চেষ্টা করেছে।

আপনার দলে চোট-আঘাতের তালিকায় অনেক নাম। শেষ ম্যাচে কাদের মাঠে নামাবেন বলে ঠিক করেছেন?

দেখতে হবে কে ফিট আছে বা কে নেই। তার পরে সিদ্ধান্ত নেব কাদের খেলাব। তবে দলের তরুণ খেলোয়াড়দের মাঠে নামার সুযোগ দিতে চাই আমি। এটাই শেষ ম্যাচ। অনুশীলনে ওরা প্রচুর খেটেছে। আইএসএলে ওদের সুযোগ তাই প্রাপ্য।

এই ম্যাচে জিতলেও লিগ টেবলে আপনাদের অবস্থানে কোনও পরিবর্তন হবে না। এই পরিস্থিতিতে খেলোয়াড়দের উজ্জীবিত করা কি কঠিন?

মনে হয় না। প্রতি দিনই খেলোয়াড়রা নিজেদের উজ্জীবিত করার চেষ্টা করে। খেলোয়াড়রা সবাই পেশাদার। ওরা সব ম্যাচেই ভাল খেলতে ও জিততে চায়। নিজেরাই নিজেদের উজ্জীবিত করতে পারে। তা ছাড়া কয়েকজন খেলোয়াড় নিজেদের প্রমাণ করার জন্য ভাল খেলতে মরিয়া। তাই আপনিই উজ্জীবিত হয়ে মাঠে নামবে তারা।

চোট-আঘাতের তালিকায় এখন কারা রয়েছেন?

হীরা মন্ডল বাড়ি ফিরে গিয়েছে। ওর নাকে অস্ত্রোপচার হবে। ড্যারেনের গোড়ালিতে চোট। সোতার কব্জিতে চোট রয়েছে। কব্জির ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা না থাকলে তবেই ও নামবে। রাহুলও এই ম্যাচে খেলতে পারবে না। আর অঘটন না ঘটলে বাকিরা খেলতে পারে।

মরশুম শেষে সমর্থকদের জন্য কী বার্তা দেবেন?

স্পষ্ট করেই বলতে চাই, ভাল ফল করতে না পারার জন্য আমরা দুঃখিত। তবে সমর্থকরা নিশ্চয়ই এই দলটার লড়াকু মানসিকতার জন্য গর্বিত হবেন। প্রতি ম্যাচে ছেলেরা এসসি ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের ঐতিহ্যের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে যে ভাবে লড়াই করেছে, সে জন্য। আশা করি, আগামী মরশুমে ক্লাবের ঐতিহ্যের প্রতি সুবিচার করে দলের খেলোয়াড়রা আরও উন্নত পারফরম্যান্স দেখাবে।