এটিকে মোহনবাগান যে যথেষ্ট কঠিন প্রতিপক্ষ, তা স্বীকার করতে বিন্দু দ্বিধা নেই জামশেদপুর এফসি-র কোচ আওয়েন কোইল-এর। তবে নিজের দল সম্পর্কেও যথেষ্ট উচ্চ ধারণা পোষণ করেন তিনি। সেই কারণেই সোমবারের ম্যাচে নিজেদের সাফল্য নিয়ে যথেষ্ট আত্মবিশ্বাসী তিনি। রবিবার সাংবাদিক বৈঠকে যা বললেন তিনি, তার উল্লেখযোগ্য অংশ এখানে তুলে দেওয়া হল। 

এটিকে মোহনবাগানের বিরুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ ও উত্তেজনাপূর্ণ ম্যাচ নিয়ে কী বলবেন?

ক্লাবের প্রত্যেকেই ম্যাচটা নিয়ে খুবই তেতে রয়েছে। কারণ, আমরা যে জায়গায় এখন রয়েছি, সেখানে পৌঁছনোর জন্য প্রত্যেকেই খুব পরিশ্রম করেছে। আমরা অসাধারণ এক প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে খেলতে চলেছি, যাদের বেশ কয়েকজন ভাল খেলোয়াড় রয়েছে এবং দল হিসেবে যারা খুবই ভাল। কতদিন ধরে ওরা অপরাজিত রয়েছে! লিগে এটাই ওদের সেরা পারফরম্যান্স। আমাদের দুই দলেরই এক নম্বরে থেকে লিগ শেষ করার সম্ভাবনা রয়েছে। তাই আমাদের নিজেদের সেরা পারফরম্যান্স দিতেই হবে। যাতে এই ম্যাচটায় আমরাই জিততে পারি।

অনেক বাধা পেরিয়ে এসেও আপনার দল এই জায়গায় পৌঁছতে পেরেছে। এই নিয়ে কী বলবেন?

যে কটা ম্যাচ আমরা জিতেছি এবং বাদবাকি আরও একাধিক ম্যাচে আমরা অনেক কঠিন সময় সামলেছি। একাধিক ম্যাচে পিছিয়ে থেকেও এগিয়েছি এবং সাফল্য পেয়েছি। বড় ও ভাল দলের বিরুদ্ধে খেলতে নামলে এমন হয়েই থাকে। অনেক কঠিন সময় আসে এবং সেই কঠিন সময় সামলে ঠিক জায়গায় ফিরে আসতে হয়। মরশুমের দ্বিতীয়ার্ধে আমরা এ ভাবে অনেক ঝড়ঝাপটা সামলে এই জায়গায় পৌঁছতে পেরেছি বলে আমি খুশি।

সোমবারের ম্যাচে আপনাদের জেতার সম্ভাবনা কতটা আছে বলে মনে করছেন?

সোজা কথাটা হল, কাল দুটো এমন দল মুখোমুখি হবে, যাদের মধ্যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই অবধারিত। এটুকু নিশ্চিত ভাবে বলতে পারি, আমরা যদি আমাদের সেরাটা দিতে পারি, তা হলে ইতিবাচক ফল পেতে পারি। আমরা এই ম্যাচে জেতার মানসিকতা নিয়েই নামব, যা আমরা বরাবরই করে থাকি। এখন আমাদের দল সেরা ফর্মে রয়েছে এবং আমরা প্রতি ম্যাচেই জেতার চেষ্টা করছি। আমরা একটা কঠিন দলের বিরুদ্ধে মাঠে নেমে ফ্রন্ট ফুটেই খেলব। জিততে পারলে এক নম্বর জায়গাটা আমরাই অর্জন করব এমন লিগ শিল্ড জয় করব, যা এখন এ দেশের প্রতিটি ক্লাবের লক্ষ্য। এমনিতেই জামশেদপুর এফসি-কে আমরা এমন একটা জায়গায় নিয়ে চলে গিয়েছি, যেখানে তারা আগে কখনও পৌঁছতে পারেনি। কিন্তু এখানেই থেমে থাকতে চাই না আমরা।

দলের ভারতীয় ফুটবলারদের পারফরম্যান্স নিয়ে কী বলবেন?

আমার দলের প্রতিটি খেলোয়াড়কে নিয়ে আমি বেশ খুশি, সে দেশীয়ই হোক বা বিদেশি। কারণ, এই খেলাটায় তো কারও ব্যক্তিগত পারফরম্যান্সে জেতা যায় না, দলগত চেষ্টা প্রয়োজন হয়। এ বার বিদেশির সংখ্যা কমে যাওয়ায় এই দেশের খেলোয়াড়দের সুযোগ আরও বেড়েছে। আমাদের পক্ষে এতে ভালই হয়েছে। কারণ, আমাদের সব খেলোয়াড়ই ভাল। দলকে সাহায্য করতে গেলে যে মাঠে নামতেই হবে, তা নয়। এ কথা আমি আগেও বলেছি। আমাদের দলের অনেক খেলোয়াড়ই আছে, যারা ম্যাচে না নেমেও দলকে অনেক ভাবে সাহায্য করেছে।