এটিকে মোহনবাগানের স্প্যানিশ কোচ হুয়ান ফেরান্দো কেরালার দলের বিরুদ্ধে তিন পয়েন্ট না পেয়ে হতাশ। শনিবার ম্যাচের পরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ রকমই ইঙ্গিত দিলেন ফেরান্দো। সেই প্রশ্নোত্তর পর্বের উল্লেখযোগ্য অংশ এখানে তুলে ধরা হল।

এটিকে মোহনবাগানের কোচ হিসেবে প্রথম হার বাঁচালেন শেষ মুহূর্তের গোলে। এই নিয়ে কী বলবেন?

প্রথমার্ধে একাধিক সুযোগ পেয়েছিলাম আমরা। দ্বিতীয়ার্ধের চেয়েও বেশি। দ্বিতীয়ার্ধ অনেক কঠিন ছিল। তবে শেষ পর্যন্ত যে এক পয়েন্ট অর্জন করতে পারলাম, এতেই খুশি আমি।

বিরতির পর উইলিয়ামসকে বসালেন কেন?

সবাই জানেন আমাদের দলে অনেকেরই চোট-আঘাত রয়েছে। তাই খেলোয়াড়দের সুরক্ষিত রাখতে হবে। ডেভিডকে নামানোটাই ঝুঁকির ছিল আজ। আশা করি ও ঠিকই আছে।

প্রবীরের লাল কার্ড এড়ানো যেত বলে মনে হয় আপনার?

আপনারা দেখে নিতে পারেন। আমার মতে, ট্যাকলটা অসাধারণ ছিল। তবে প্রবীরের প্রতিক্রিয়াও সঠিক ছিল না। রেফারিরা খেলোয়াড়দের সুরক্ষিত না রাখতে পারলে, তা ভাল লাগে না।

দুই পয়েন্ট খোয়ানোয় কি শীর্ষে থাকার দৌড়ে ক্ষতি হবে?

না। মাঠে নেমে আমাদের সব সসময়ই তিন পয়েন্ট জেতার মানসিকতা থাকে। তিন পয়েন্ট পাওয়ার কথা ভেবেই দলকে প্রস্তুত করি। সেই তিন পয়েন্ট না এলে তো খারাপ লাগবেই।

জিততে না পারায় সমর্থকদের কাছে ক্ষমাপ্রার্থী

কেরালা ব্লাস্টার্সের কোচ ইভান ভুকোমানোভিচ মনে করেন, এটিকে মোহনবাগানের মতো দলের বিরুদ্ধে তাঁর দল জেতার মতো খেলায় তাঁর গর্বিত হওয়া উচিত। শনিবার ম্যাচের পর সাংবাদিক বৈঠকের উল্লেখযোগ্য অংশ এখানে তুলে দেওয়া হল। 

যারা গত দুমাস কারও কাছে হারেনি, সেই এটিকে মোহনবাগানকে আপনারা প্রায় হারিয়েই দিয়েছিলেন। এই নিয়ে কী বলবেন?

এই পরিসংখ্যানগুলো নিয়ে আমরা মাথাব্যথা করি না। কারণ. আমরা আজকের ম্যাচে মনোনিবেশ করতে চেয়েছিলাম এবং সংগঠিত ভাবে খেলতে চেয়েছিলাম। আমরা আজ অনেক সুযোগ তৈরি করতে পেরেছি, যেগুলো কাজে লাগাতে পারলে হয়তো জিততাম। কিন্তু ব্যর্থ হই। বিপক্ষে জাতীয় দলে খেলা বেশ কয়েকজন খেলোয়াড় রয়েছে। ওরা এই লিগের অন্যতম দাবিদার। ওদের মতো দলের বিরুদ্ধে এ রকম খেলা ও কঠিন মানসিকতা নিয়ে হারানো যথেষ্ট গর্বের। আরও গোল করতে পারতাম। কিন্তু না পারায় সমর্থকদের কাথে ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি। তবে আমরা হতাশায় ভুগছি বলে মনে হয় না। আমরা পজিটিভই থাকতে চাই। তবে এই মরশুমে অনেক উন্নতি করেছি আমরা। আরও উন্নতি করে আমরা টেবলের আরও ওপরে উঠতে চাই। এর পরে আমাদের খেলোয়াড়দের তরতাজা করে তুলতে হবে ও পরের ম্যাচের জন্য প্রস্তুত হতে হবে। আমাদের এখন ফোকাস ও স্বাভাবিক আচরণ বজায় রাখতে হবে।

আজ দুপয়েন্ট হারানোয় কি আপনারা সেমিফাইনালের দৌড়ে দুর্বল হয়ে পড়লেন?

হতে পারে। কিন্তু এখনও তা জানি না। অন্য ম্যাচে কী ফল হবে, তার ওপর নির্ভর করছে এটা। তবে আমি আর বাকি চারটি ম্যাচের কথাই শুধু ভাবছি। ওই ম্যাচগুলো থেকে পুরো পয়েন্ট আনতে হবে। সেরা চারে থাকতে গেলে যা যা করতে হবে করব।

শেষ দিকে আপনাদের খেলোয়াড়কে (দিয়াজ) লাল কার্ড দেখানো ঠিক হয়েছে বলে মনে হয় আপনার?

এই ধরনের উত্তেজনাপূর্ণ ম্যাচে এ রকম আবেগ, উত্তেজনার বাড়াবাড়ি হতেই পারে। রেফারিরা তাদের সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা সব সময়ই করে বলে আমি বিঃশ্বাস করি। কিন্তু কয়েকটা সিদ্ধান্ত ঝামেলা ডেকে আনে। খেলোয়াড়দের আচরণও উস্কানি দেয়। এই ধরনের আচরণ এড়ানো যেতেই পারে। তবে ফুটবলে এসব হয়েই থাকে। আমাদের এ সব নিয়েই চলতে হবে।