ইন্ডিয়ান সুপার লিগ, ২০১৭-১৮ তে এখনও পর্যন্ত নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচেও গোলের মুখ দেখলনা জামশেদপুর এফসি ও কেরালা ব্লাস্টার্স। অসাধারন দুটি সেভ করে কেরালাকে হারের মুখ থেকে বাঁচিয়ে দিলেন পল রাচুবকা। তারই সঙ্গে জামশেদপুরকে আইএসএল-এ তাদের প্রথম জয়ের স্বাদ পেতে দিলেন না ব্লাস্টার্স গোলরক্ষক।

ম্যাচের শুরুটা ধীরে হলেও,দু দলই মাঝে মাঝেই আক্রমণ সাজাচ্ছিল। ১০ মিনিটেই প্রথম সুযোগ পেয়েছিল কেরালা। বিনীতের ক্রস হেড দেন হিউম, কিন্তু বল লক্ষ্যে না থাকায় বেচে যায় জামশেদপুর।

৬ মিনিট পরেই ফের কেরালার কাছে সুযোগ আসে, এবার দিমিতার বের্বাতভের ভলি সেভ করেন সুব্রত পাল।ম্যাচের ৩০ মিনিট পরেই এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ আসে জামশেদপুরের কাছে, মেমোসের দুরন্ত ফ্রি-কিক কিন্তু আটকে দেন পল।

ম্যাচের দ্বিতীয়ার্ধে দু দলই খোলস ছেড়ে বেড়িয়ে আসে। গোলের সন্ধানে খেলার গতি বাড়ায় কেরাল জামশেদপুর। ৭৫ মিনিটে ফারুক চৌধুরীর ভলি বাঁচান রাচুবকা।

তিন মিনিট পরেই সুযোগ আসে কেরালার কারেজ পেকউসনের কাছে। কারেজের দুরন্ত শট আটকান সুব্রত। জামশেদপুর ঠিক করেই নিয়েছিলেন সটপেজ টাইমের প্রথমেই গোল পাবে তারা। কিন্তু সব স্বপ্ন ভেঙে দেন রাচুবকা। কারভেন্সের হেডকে প্রতিহত করেন।

ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের সঙ্গে জড়িত দুই কোচই। জামশেদপুরের স্টিভ কোপেল খেলেছিলেন যেমন, অ্যালেক্স ফার্গুসনের সহকারি ছিলেন কেরালা ব্লাস্টার্সের প্রধান কোচ রেনে মেউলেনস্টীন। স্বাভাবিকভাবেই সতর্কতা হয়ত দুই কোচের মনেই অবচেতনে। ‘ক্লিনশিট’রাখার দিকেই নজর বেশি হয়ত, গোল না খাওয়ার চেষ্টা গোল করার চেয়েও বেশি। তাই দুই দলই দ্বিতীয় ম্যাচেও পেল না গোলের দেখা। সপ্তম ম্যাচে তৃতীয়বার গোলশূন্য ড্র হল। পয়েন্ট ভাগাভাগি করে নিল দুই দল। এদিনের ম্যাচের সেরা নির্বাচিত হন মেহতাব হোসেন।

দুই দলেই প্রথম ম্যাচের প্রথম একাদশে একজন করে বদলানো হয়েছিল। কেরালা জ্যাকিচাঁদ সিংকে নামিয়েছিল মিলন সিংয়ের জায়গায়, আর জামশেদপুর বিদেশি সমীঘ দুতিকে বসিয়ে এনেছিল কেরভেনস বেলফোর্টকে। মেমো আর মেহতাব ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডার হিসাবে খেলছিলেন। বিশেষত মেহতাবের জন্য বের্বাতভকে পিছিয়ে খেলতে বাধ্য হতে হয়েছিল, দুজনের শারীরিক শক্তির যুদ্ধও দেখার মতোই যেখানে আন্তর্জাতিক আসরে খ্যাত বের্বাতভকে এক ইঞ্চিও জমি ছাড়েননি ভারতীয় মেহতাব হোসেন। দুজনেই হলুদ কার্ড দেখলেও তাঁদের এই লড়াই নিশ্চিতভাবেই উপভোগ্য ছিল, যে কারণে ম্যাচের সেরার পুরস্কার নিজের পুরনো দল কেরালার মাঠ থেকে নিয়ে গেলেন মেহতাব।