মুম্বই, ফেব্রুয়ারি ১১: শুরুটা হয়ছিল এক। মাঝপথে তা যেন ভিন্ন রুপে পতিত। আই এস এল শুরুটা একদম চেনা ছন্দে শুরু করেছিল ব্যাঙ্গালুরু এফ সি। এভাবেই ১১ চলল ম্যাচ। গায়ে জড়িয়ে ছিল অপরাজিত তকমা। তবে এশিয়া কাপের ছুটি কাটিয়ে দল নামতেই যেন ছন্দ পতন গত মরশুমের ফাইনালিস্ট-দের। 

মুম্বইয়ের কাছে হার। সরে গেল অপরাজিত তকমা। এরপর কোন প্রকারে কেরলের সাথে ড্র। পরেই আবার টেবিলে তলানিতে থাকা চেন্নাইনের কাছে হার। ব্যাঙ্গালুরু যেন আউট অফ ট্র‍্যাক।  

তবে এই 'যেন'-র মাঝেই লুকিয়ে আছে এক প্রশ্ন, সন্দেহ, আশংকা। কি? 

কোথাও কি নিজেদের লুকিয়ে রাখছে কুয়াদ্রাতের দল? কারণ তাঁদের প্লে-অফ প্রায় নিশ্চিত। এহেন অবস্থায় ব্যাঙ্গালুরু শিবির যেন আরো পেশাদার ঢং য়ে মুড়িয়ে। 

' টুর্নামেন্টের প্রথমদিকে যতদিন মিকু আঘাতপ্রাপ্ত হয়নি আমার দল পরিবর্তন হয়নি। প্রায় একই দল খেলছিল। পরে অবশ্য পরিবর্তনের প্রয়োজন হল। আসলে ওরা তো কেউ মেশিন নয়। আমায় ঘুরিয়ে ফিরিয়ে খেলাতেই হবে। সামনে প্লে-অফ, আমার মুল ফুটবলাদের বিশ্রাম দিয়ে চাংগা করতে চাইছি। ' জানিয়েছেন কুয়াদ্রাত।  

১৫ ম্যাচ খেলে ৩১ পয়েন্ট পাওয়া ব্যাঙ্গালুরুর ইচ্ছে এখান থেকেই প্রকাশ পায়। তাদের দলে কেন ঘুরিয়ে ফিরিয়ে খেলানো চলছে। খেলছেন রিনো আন্টো, এডমুন্ড লালরান্ডিকা, অজয় ছেত্রী,  গুরসিমরত গিল দের। 

মিকু চোট সারিয়ে ওঠার পর ছন্দ খুঁজে পাননি এখনও, সেই দলে আছেন নিশু কুমারও। শেষ দু ম্যাচে পরপর দুটি গোল করা ছাড়া সুনীল ছিলেন কিছুটা ব্যাড প্যাচে। 

চেঞ্চোকে ছেড়েছে ব্যাঙ্গালুরু  তাঁর বদলে আসা লুইসমা তেমন আচড় কাটতে পারেননি এখনো। 

গত মরশুমে এই দলে ছিলেন টনি ডোভালে, এদু গার্সিয়া, অলউইন জর্জ, লেনি রডরিগেস, জন জনসনের মত বড় নাম। ব্যাঙ্গালুরু এই রিসার্ভ বেঞ্চ যেন প্রশ্ন ছুড়ে দেয়। 

কুয়াদ্রাতের এই ঘুরিয়ে ফিরিয়ে খেলানো যদি প্ল্যানিংয়ের অংশ হয়ে থাকতে পারে তবে চার ম্যাচে দুটি হার মনোবলে আদতে চির ধরাচ্ছে না তো? অদৃশ্যে প্রশ্ন উঠে রইল।