এটিকের বাইরে একঝাঁক বাঙালি ফুটবলার আইএসএলে সমানে নজর কেড়ে চলেছেন। নিজের নিজের দলের হয়ে দুর্দান্তভাবে পারফর্ম করে চলেছেন। তেমনই চার ফুটবলারের সঙ্গে পরিচয় করাব  আমরা। 

শুভাশিস বোস

মুম্বই সিটিএফসি'র হয়ে দুর্দান্ত ফুটবল খেলে চলেছেন এই বঙ্গসন্তান। ডিফেন্সে তিনি মুম্বই দলের অন্যতম সেরা স্তম্ভ। আর সেই সুবাদেই এখনও প্লে-অফে যাওয়ার লড়াইয়ে ভীষণভাবে টিকে আছে মুম্বই সিটি এফসি। 

২০১৬-তে স্পোর্টিং গোয়ার হাত ধরে আই লিগের মাধ্যমে প্রফেশনাল ফুটবলে যাত্রা শুরু শুভাশিসের। তারপর আর পিছন ফিরে তাকাতে হয়নি। একে একে মোহনবাগান ঘুরে বেঙ্গালুরু এফসি হয়ে এখন তিনি মুম্বই সিটির অতি গুরুত্বপূর্ণ এক ফুটবলার। শুধু ক্লাব নয়, দেশের জার্সিতেও শুভাশিসের বিকল্প এখন তিনি নিজেই।

সৌভিক চক্রবর্তী

মুম্বই সিটি এফসি'র হয়ে খেলা আর এক বঙ্গ সন্তান ধারাবাহিকভাবে পারফর্ম করে চলেছেন আইএসএলের মঞ্চে। ডিফেন্স থেকে মাঝমাঠ- দৃষ্টিনন্দন ফুটবল দিয়ে নিয়মিত নজর কেড়ে চলেন। 

২০১৪ থেকে ২০১৬, টানা তিন মরশুম সৌভিক ছিলেন দিল্লি ডায়নামোসের অন্যতম স্তম্ভ। নজর এড়ায়নি স্টিভ কপেলের। ডেকে নেন জামশেদপুর এফসি-তে। সেখানেও নিজের জাত চেনান এই বঙ্গসন্তান। এবং নিজস্ব প্রতিভার গুণে চলতি মরশুমে তাঁর ঠিকানা মুম্বই সিটি এফসি। মোহনবাগান অ্যাকাডেমি থেকে উঠে এসে পরে মোহনবাগান এবং ভারতীয় ক্লাব ফুটবলের অন্যতম সেরা মুখ হয়ে ওঠেন। সেখান থেকে পরে আইএসএলে অভিযান শুরু।

নারায়ণ দাস 

২০১৯ আইএসএল মরসুমে দিল্লি ডায়নামোস রক্ষণের অন্যতম ভরসা হলেন নারায়ণ দাস। এই মরসুমে দিল্লির ১৬টি ম্যাচের ১৫টিতেই মাঠে ছিলেন নারায়ণ। পরিসংখ্যানে নজর রাখলে বোঝা যায় রক্ষণ সামলানোর সঙ্গে অ্যাসিস্টও করেছেন এই প্রতিশ্রুতিমান ডিফেন্ডার।

২০১২ সালে টাটা ফুটবল অ্যাকাডেমি  থেকে আই লিগের দল পৈলান আরোজে সই করেন তিনি। সেখান থেকে ডেম্পো। ২০১৪ সালে এফসি গোয়ার জার্সিতে আইএসএল-এ নজর কাড়েন এই বাঙালি ফুটবলার। বাংলা ফুটবলে প্রতিদ্বন্দ্বীতার স্বাদ পেতে ২০১৬তে ইস্টবেঙ্গলে সই করেন নারায়ণ। আইএসএল-এ এফসি পুণে সিটি, এফসি গোয়া হয়ে ২০১৯ মরসুমে দিল্লি ডায়নামোসে পা রাখেন প্রতিভাবান এই ফুটবলার।

দিল্লি এই মরসুমে চ্যাম্পিয়নসিপের দৌড় থেকে ছিটকে গেছে। বেশ কয়েকজন ফুটবলারকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে লোনে। তবে দলের ভরসা নারায়ণ দাসকে ছাড়তে চায়নি দিল্লি ডায়নামোস। এতেই বোঝা যায় দলে তার গুরুত্বের কথা।

সুব্রত পাল

বয়স যে শুধুমাত্র একটা সংখ্যা মাত্র, সেটা দিনের পর দিন প্রমাণ করে চলেছেন এই অভিজ্ঞ গোলরক্ষক। তাই তো তাঁর ওপর অনায়াসে ভরসা রাখতে পেরেছে জামশেদপুর এফসি। আর সেই ভরসার মর্যাদাও রেখে চলেছেন সমানে। তিন কাঠির নিচে তাঁর ভরসার হাত ভরসা দিচ্ছে জামশেদপুরকে। এখনও পর্যন্ত প্লে-অফের লড়াইয়ে প্রবলভাবেই আছে তাঁরা। আর এই পর্যায়ে এসে আগামি দিনগুলোতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিতে চলেছেন বাংলার পোড় খাওয়া গোল রক্ষক সুব্রত পাল। 

আইএসএলের শুরুটা করেছিলেন মুম্বই সিটির হাত ধরে। এরপর নর্থইস্ট ইউনাইটেড ঘুরে নতুন ঠিকানা জামশেদপুর এফসি। শুধু ক্লাব নয়, দেশের ফুটবলে তাঁর অবদান কখনওই ভোলার নয়।