Photo credit:@rashtrapatibhvn

শনিবার রাষ্ট্রপতি ভবনে ভারতীয় ফুটবল অধিনায়ক সুনীল ছেত্রীকে মেজর ধ্যানচন্দ খেলরত্ন সম্মানে ভূষিত করলেন ভারতের মাননীয় রাষ্ট্রপতি শ্রী রামনাথ কোভিন্দ। 

দেশের ক্রীড়া ও যুব মন্ত্রক আগেই ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে এ বছরের ক্রীড়া সন্মান প্রাপকদের নাম ঘোষণা করে। ভারতীয় ফুটবলে উল্লেখযোগ্য অবদানের জন্য সুনীলকে দেশের সেরা ক্রীড়া সম্মানে ভূষিত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। আন্তর্জাতিক ফুটবলে গত চার বছরে অসাধারণ পারফরম্যান্স দেখানোর জন্য এই সন্মান জানানো হচ্ছে তাঁকে, বলা হয়েছিল ক্রীড়ামন্ত্রকের বিবৃতিতে।

ভারতের আরও এক জোড়া সরকারি সন্মান তিনি আগেই পেয়েছেন। ২০১১-য় অর্জুন পুরস্কার, ২০১৯-এ পদ্মশ্রী পুরস্কার। তবে এই সন্মানই বোধহয় সুনীলের সেরা প্রাপ্তি। এই সেরা সন্মান প্রাপ্তির খবর শুনে সুনীল সর্বভারতীয় ফুটবল ফেডারেশনের ওয়েবসাইটে বলেন, “আমি রোমাঞ্চিত, কৃতজ্ঞ ও সন্মানিত। বরাবরই বলে এসেছি, আমার কাছে পুরো ফুটবল জীবনটাই একটা স্বপ্নের মতো। আমার পরিবার, বন্ধু, স্ত্রী, আমার ঘনিষ্ঠরা, সতীর্থরা ও কোচেদের ছাড়া যা কখনও সম্ভবই হত না। আজ আমি যা, তাতে ওঁদের ভূমিকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। জাতীয় দলের হয়ে এত বছর ধরে এত ম্যাচ খেলাটা আমার কাছে অসাধারণ অভিজ্ঞতা। অসাধারণ এক অভিযান”।  

সুনীলের মতো এত আন্তর্জাতিক গোল ভারতীয় ফুটবলে আর কারও নেই। তাই বিশ্ব ফুটবলে খুব একটা পিছিয়ে নেই তিনি। আন্তর্জাতিক গোলের সংখ্যার দিক দিয়ে বর্তমান ফুটবলারদের মধ্যে ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডোর পরেই তাঁর ও লিওনেল মেসির স্থান। পর্তুগালের হয়ে রোনাল্ডোর দেওয়া গোলের সংখ্যা যেখানে ১১৫, সেখানে সুনীল ও মেসি তাঁদের দেশের জার্সি গায়ে করেছেন ৮০টি করে গোল। মেসির মতো সুনীলও পিছনে ফেলে দিয়েছেন ব্রাজিলীয় কিংবদন্তি পেলেকে। যাঁর আন্তর্জাতিক গোলের সংখ্যা ৭৭।

সর্বকালের সেরা আন্তর্জাতিক গোলদাতাদের তালিকাতেও প্রথম পাঁচের মধ্যেই রয়েছেন ভারতীয় তারকা। এখনও যদি ভারতের হয়ে খেলা চালিয়ে যান তিনি, তা হলে ভবিষ্যতে ফেরেঙ্ক পুসকাসকেও (৮৪ গোল) পিছনে ফেলে দিতে পারেন।

তিনি ছাড়াও এ বছর খেলরত্ন সম্মানে ভূষিত হলেন নিরজ চোপড়া (অ্যাথলেটিক্স), রবি দাহিয়া (কুস্তি), পি আর শ্রীজেশ (হকি), লভলিনা বরগোহাঁই (বক্সিং), মিতালি রাজ (ক্রিকেট), প্রমোদ ভগৎ (প্যারা ব্যাডমিন্টন), সুমিত আন্টিল (প্যারা জ্যাভলিন), অবনি লেখাড়া (প্যারা শুটিং), কৃষ্ণা নাগর (প্যারা ব্যাডমিন্টন), এম নারওয়াল (প্যারা শুটিং) ও মনপ্রীত সিং (হকি)।